ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট রমজানে বেশ সরব ভূমিকায় থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে যেন চুপসে গেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিদ্রোহীরা। ঈদ পরবর্তী সময়ে তাদের তেমন কোনো কর্মসূচি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। অনেকটা নীরবেই তাঁরা সময় পার করছেন। যদিও ঈদ পরবর্তী সময়ে বিএনপি এখনও সরবতা দেখাচ্ছে না। তবে ইতোমধ্যে মহানগর বিএনপির কমিটির শীর্ষ পদে থাকা নেতারা সরব হতে শুরু করেছেন। সে তুলনায় মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী নেতাদের তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। দলীয় সূত্র বলছে, গত ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসকে কেন্দ্র করে বরাবরই নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সরব ভূমিকা পালন করেন। তবে এবার আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় কর্মসূচি পালন করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। আর সেই কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। আর সেখানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরাও অংশ গ্রহণ করেন। এচাড়া নারায়ণগঞ্জে মীর্জাআব্বাসের সমাবেশেও তাদের দেখা যায়নি। অন্য সময় তাঁরা সরব ভূমিকায় থাকলেও এবার যেন তাঁরা নীরব হয়ে পড়েছেন। এর আগে, ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে অ্যাডভোকেট মো. শাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব হিসেবে অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর এই কমিটি ঘোষণার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পরেছেন। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি থেকে ১৫জন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। পদত্যাগকারী নেতারা হলেন- মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে থাকা আব্দুস সবুর খান সেন্টু, হাজী নুরুদ্দিন, বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ও সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা। সেই সাথে সদস্য পদে থাকা পদত্যাগকারী নেতারা হলেন- আওলাদ হোসেন, হান্নান সরকার অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন শোখন, আলমগীর হোসেন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, শহীদুল ইসলাম রিপন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, আমিনুর ইসলাম মিঠু, ফারুক হোসেন, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, মো. ফারুক হোসেন। কিন্তু তাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য দুই দফায় আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ খান টিপু। প্রথম দফায় আল্টিমেটাম দেয়া হয় ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মহানগর বিএনপির কার্যকরী কমিটির প্রথম সভায়। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছিলেন, কমিটি গঠন করার পর ১৪ জন পদত্যাগ করেছেন। সেন্ট্রালের সাথে আলাপ আলোচনা না করেই তাঁরা পদত্যাগ করেছেন। সেই সাথে তাদের পদত্যাগের প্রক্রিয়া আমাকে দলকে কেন্দ্রকে ব্যতীত করেছে। যারা পদত্যাগ করেছে তাঁরা যদি ২৫ সেপেম্বর ২টার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন সে সকল বক্তব্য প্রত্যাহার করে তাহলে ১১ জনের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না। তবে যে তিনজন মাস্টারমাইন্ড হিসেবে ১১ জনকে পদত্যাগরে জন্য বিভিন্নভাবে প্ররোচনা দিয়েছে তাদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করলেও ফেরত নেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেন্দ্রে প্রস্তাব করা হবে। এরপর আবার দ্বিতীয় দফায় একই বছরের ১৮ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির এক সভার আয়োজন করা হয়। আর এই সভায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সব ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত করে দেয়া হয়। পাশাপাশি পদত্যাগকারীদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। আল্টিমেটাম প্রসঙ্গে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছিলেন, ইতোমধ্যে কমিটি থেকে পদত্যাগ করাদের মধ্যে মাস্টারমাইন্ড তিনজন ছাড়া বাকিদের আবেদন পুনঃবিবেচনার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যদি তাঁরা না ফিরে আসে তাহলে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে তাদের শূন্য পদে অন্যদের দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করা হবে। তবে তাদের এই দ্বিতীয় দফার আল্টিমেটাম প্রসঙ্গে পদত্যাগকারী নেতা আতাউর রহমান মুকুল বলেছিলেন, তাদের এই আল্টিমেটামে কি আসে যায়। আর এভাবে শেষ পর্যন্ত এই আল্টিমেটাম কোনো কাজেই আসেনি। আল্টিমেটামকে পাত্তাই দেয়নি মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী নেতারা। সেই সাথে তাদের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিএনপিও এতদিন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। বরং আল্টিমেটামের বিপরীতে তাদের বলয় দিন দিন বড় হতে শুরু করেছে। বিশেষ করে পাল্টা কমিটি ঘোষণার পর থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছেন। এরই মধ্যে গত ২ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত আতাউর রহমান মুকুলের বরাবর প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২ সালের গত ১৩ সেপ্টেম্বর গঠিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে আপনাকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে মনোনীত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই পদে দায়িত্ব পালন করা আপনার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না মর্মে আপনি আবেদন করেছেন। আপনার আবেদনের প্রেক্ষিতে আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। একইভাবে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নুরুদ্দিনের বরাবরও এই বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আতাউর রহমান মুকুল বলেছিলেন, আমরা তো পদত্যাগপত্র জমায় দেইনি। তাঁরা আমাদের পদত্যাগপত্র পেলো কোথায়? পদত্যাগপত্র ছাড়া কিভাবে অব্যাহতি দিলো। এখানে সাখাওয়াত আর টিপু আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছে। আমরা থেমে থাকবো না। আমরা বিএনপির এখনও একজন সদস্য হিসেবে আছি। সদস্য পদ থেকে তো আর আমাদের অব্যাহতি দেয়নি। আমাদের রক্তের সাথে মিশে রয়েছে বিএনপি। বিএনপি আমাদের বিকল্প কোনো পথ নেই। সুতরাং আমরা এই অব্যাহতি নিয়ে কোনো চিন্তা করছি না। একইভাবে মহানগর বিএনপির পদত্যাগকারী এক নেতা বলেছিলেন, আমরা তো অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সাথে কাজ করবো না বিধায় আগে থেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলাম। এখন কেন্দ্র অব্যাহতি দিয়েছে এ নিয়ে আমাদের কোনো চিন্তার কারণ নেই। আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। সাখাওয়াতের সাথে কাজ করার কোনো ইচ্ছা নেই আমাদের। সেই সাথে কেন্দ্রীয় বিএনপির এই অব্যাহতি প্রদানের পরও আতাউর রহমান মুকুল ও নুরউদ্দিন এবং তাদের অনুসারীরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা তাদের সমর্থিতদের নিয়ে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছিলেন। কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। তবে বর্তমান সময়ে যেন তাদের সেই সবর ভূমিকা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়। চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯