ছিটকে পড়ছে বিএনপির বিদ্রোহীরা!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি বর্তমানে স্বচ্ছ রাজনীতির মাধ্যমে ধীরে ধীরে সংগঠন গুছিয়ে নিচ্ছে। যার কারণে তাদের আওতাধীন সকল নেতাকর্মীরা শক্তিশালী হয়ে উঠছেন। কিন্তু মহানগর বিএনপির সাথে বিদ্রোহীতা করে কিছুদিন আলাদাভাবে চিল্লা-ফাল্লা করে অবশেষে হারিয়ে গেছেন মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী নেতারা। জানা গেছে, চলতি বছর হঠাৎ নানা ঢাঁকঢোল পিঠিয়ে টাইম লাইনে আসার চেষ্টা করেছেন বিদ্রোহী নেতৃবৃন্দরা। কিন্তু পবিত্র মাহে রমজানের মাস থেকে আবারও পিছিয়ে পরেছেন তারা। ইতিমধ্যে দফায় দফায় দলীয় কর্মসূচি পালনে তাদের অনিহার কারণে ভাঙছে শুরু করেছে বিদ্রোহীদের মুকুল বলয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যাচ্ছে তাদের বলয়ে থাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকিরসহ কিছুসংখ্যক নেতারা মহানগর বিএনপির সাথে মিলে কর্মসূচি পালন করেছেন। এমনকি তাদের বলয়ের কিছূ নেতাকর্মীরাই বলছে, মহানগর বিএনপির কমিটির বিরুদ্ধে নানা বক্তব্যে দিয়ে নিজেরাই হারিয়ে যাচ্ছে। আর বিদ্রোহীরা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে রাজপথে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তার পদত্যাগপত্র কেন্দ্র জমা দেওয়ার কারণে বর্তমানে অনেকে তাকে পদ বিহীন নেতা বলেই থাকে। কিন্তু মুকুলের দাবি, তিনি কোন পদত্যাগপত্র জমা দেয়নি কেন্দ্র। অপর দিকে বর্তমানে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। মহানগর বিএনপিকে গতিশীল করার লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা সভা ও যোগ্য নেতৃত্ব দ্বারা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন কমিটি গঠন করে যাচ্ছেন। যার কারণে মহানগর বিএনপির মূল দ্বারার রাজনীতিতে শক্তিশালী করতে উজ্জ্বীবিত নেতাকর্মীরা। আর এরই মাঝে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক বিষয় থেকে বর্তমানে অনেকটাই দূরে রয়েছে। যার কারণে দফায় দফায় দলীয় কর্মসূচি করতে পিছিয়ে থাকতেন না। আর সকল রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে আলদা ভাবে হলেও পালন করতেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছে, বর্তমানে এই দূসময়ে রাজপথে কোন কর্মসূচিকেই অবহেলা করেনি মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দরা। কিন্তু বিদ্রোহীদের দেখা গেছে বিগত দিনে ছোট পরিসরে হলেও রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মসূচিকে অবহেলা করে পিছিয়ে পরেছেন তারা। যার কারণে দেখা যাচ্ছে মহানগর বিএনপির পাল্টাপাল্টিতে তলিয়ে গেছে বিদ্রোহী নেতৃবৃন্দরা। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আহ্বায়ক করা হয়েছিল এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব করা হয় আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে। যারপর থেকে এই নেতৃত্ব না মেনে কমিটি থেকে ছিটকে পরে ১৫জন বিদ্রোহী নেতৃবৃন্দ। আর তারা কমিটি থেকে বেড়িয়ে মুকুল ও সেন্টুর নেতৃত্বে আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করা শুরু করে। যার কারণে মহানগর বিএনপি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পরে। তার কয়েক মাসপর তাদের সাথে আবার মূল মহানগর বিএনপির কমিটি থেকে আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক এম. এইচ মামুন বিদ্রোহীদের সাথে একত্মতা প্রকাশ করে। তারপর থেকেই ঢাঁকঢোল পিঠিয়ে বিদ্রোহীরা মূল কমিটির বিরুদ্ধে দফায় দফায় বক্তব্যে দিতে দেখা যায়। এছাড়াও মহানগর বিএনপির আওতাধীন সকল ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা বিএনপির পাল্টা কমিটি গঠন শুরু করেন। কিন্তু সদর থানা, বন্দর থানা, বন্দর উপজেলা ও কিছু বন্দরের কিছু ওয়ার্ডের কমিটি গঠন শেষে হঠাৎ নিস্কীয় হয়ে পরলেন বিদ্রোহীরা। এরই মাঝে দফায় দফায় সম্মেলনের মাধ্যমে মহানগর বিএনপির আওতাধীন সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটিগুলো গঠন করছেন। যার কারণে বর্তমানে আন্দোলন সংগ্রামের চূড়ান্ত রাজনীতির জন্য প্রস্তত রয়েছে মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দরা। আর কমিটি গঠনের পর থেকে এই ৮ মাসে একটি ও দলীয় কর্মসূচি অবহেলা করেননি তারা। আর সকল কর্মসূচিতে ব্যাপক হারে নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত থাকেন নেতৃবৃন্দরা। কিন্তু দফায় দফায় কর্মসূচি থেকে পিছিয়ে থাকে মহানগর বিএনপির বিদ্রোহীরা এমনকি বর্তমানে রাজনীতি থেকে নিস্কীয় ভূমিকা পালন করছে মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী নেতৃবৃন্দ। যার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতৃবৃন্দ বলছে, যে নেতাকর্মী দলের দূসময়ে দলের থেকে পিছিয়ে থাকে তাদেরকে দলের জন্য ভাইরাস বলা হয়ে থাকে। তাদের দ্বারা মূল দ্বারার রাজনীতি কখনোই সম্ভব না।