না’গঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জে বিএনপির একটি পদযাত্রা কর্মসূচীতে শীর্ষ দুই নেতার অনুগামীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে অনুষ্ঠানস্থল ও শহরের মিশনপাড়া রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ওই সময়ে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় কয়েকজনকে। এছাড়া চলে যাওয়ার সময়ে গাড়ি থেকে নামিয়েও মারধর করা হয়েছে। রক্ত ঝরেছে নেতাদের অনেকের। এতে আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে শহরের খানপুরে হাসপাতাল রোডে কয়েক দফা মারামারির পর পদযাত্রা শেষ করে ফের শহরের মিশনপাড়ায় মারামারির ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার ছিল মহানগর বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচী। এতে হাজির হন দলের যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। বিকেলে সভা শুরুতেই যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ মিছিল নিয়ে প্রবেশের সাথে সাথেই মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তুর লোকজনদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা ঘটনা ঘটে। ওই সময়ে বিএনপির জেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীবের মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটলে দোষ পড়ে জোসেফের সঙ্গে থাকা লোকজনদের। বাকবিতন্ডা থামাতে গেলে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ আহমেদের উপর চড়াও হয় জোসেফের লোকজন। শুরু হয় মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনা। পদযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে একই সময়ে রিজভীর পাশে দাঁড়ানো নিয়ে বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও আড়াইহাজার থানা বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান সুমনের লোকজনদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ঘটে। তখন সুমনের পক্ষে যুবদলের জেলার সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির লোকজন মিলে আজাদের লোকজনদের উপর চড়াও হয়। বিপরীতে আজাদের পক্ষে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব ও যুবদল নেতা রফিকুল ইসলামের লোকজন পাল্টা শাসাতে গেলে শুরু হয় ফের মারামারি। প্রধান অতিথি রুহুল কবির রিজভী মাইক হাতে নিয়ে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ওই ঘটনার পর সুমনের লোকজন মিছিল নিয়ে চাষাঢ়ার দিকে যাওয়ার সময়ে তাদের উদ্দেশ্য করে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আজাদের অনুগামী রফিকুল ইসলাম। ওই সময়ে সুমনের পক্ষ নিয়ে রনির অনুগামীরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। তখন রফিককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। রক্তাক্ত হয় আরো কয়েকজন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মিশনপাড়া মোড় কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াতে অন্তত ২০ জন আহত হয়। তাদেরকে শহরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উত্তেজনা।