আজ শুক্রবার | ১ নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬ | সকাল ৭:৩৩

মহানগরে পদ প্রত্যাশীরা বিপাকে

ডান্ডিবার্তা | ২৭ মে, ২০২৩ | ১১:১১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের বিরোধ ফের চাঙ্গা হয়েছে। আর এ বিরোধের কারণে ইউনিট কমিটি গঠন নিয়ে বিপাকে পড়েছে পদ প্রত্যাশীরা। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির আলোচনা সমালোচনা ছিল সর্বত্র। এর পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা অঞ্চলের ১০টি ওয়ার্ড সম্মেলনকে ঘিরে এবং অঘোষিত শহর ও বন্দরের ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহার মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়। তাদের মধ্যে বিরোধের কারণে ২৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পৃথকভাবে ডেকে ওয়ার্ড সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই নিয়ে আলোচনা করার নির্দেশনা দেয়। ওই স্থগিত থেকে মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পায়। এর ২ মাসের মাথায় ১৪ এপ্রিলে বন্দর শহীদ মিনারে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি অনুষ্ঠানে আনোয়র হোসেনকে তুলোধোনা করে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা। এ সময় তিনি আনোয়ার হোসেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য দলকে বিশ টুকরো করার অভিযোগ তুলেন। আনোয়ার হোসেন থেকে দূরে থাকা পরামর্শ ও শায়েস্তা করার ইঙ্গিতও দেন তিনি। ১৮ মে ঢাকায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম এমপি মহানগরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদককে তলব করেন। এ নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের টনক নড়ে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, তাদের ওই তলবের পর শহরের অঘোষিত ৪টি ওয়ার্ড নিয়ে আলোচনা তুলেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তাদের একটি বৈঠকে শহরের ৮টি ওয়ার্ড পরিপূর্ণ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা তার পছন্দের প্রার্থীকে ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করার চেষ্টা করলে সভাপতি আনোয়ার হোসেন অনীহা প্রকাশ করে। এতে তাদের মধ্যে ২টি ওয়ার্ডের সমাধান হলেও ২টি ওয়ার্ড নিয়ে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়। আরও জানা যায়, ১১নং ওয়ার্ড সভাপতি পদে সেলিম আহম্মেদ হেনা’র নাম খোকন সাহা প্রস্তাব করলে ওই একই ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের পরিবারের কামাল হোসেনের নাম প্রস্তাব করেন আনোয়ার হোসেন। হেনাকে সভাপতি পদ দেয়ার অনুরোধ হলেও সভাপতি আনোয়ার হোসেন কর্ণপাত করেনি। কামাল হোসেনের বড় তিন ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি নিয়ে আওয়ামী লীগের বড় বড় পদে ছিলেন ও নেতৃতে দিয়েছেন। তিনিসহ তার আরও ছোট ভাইয়েরা ও ভাতিজারা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অপরদিকে সেলিম আহম্মেদ হেনা বিগত কমিটিতে থাকলেও তার পরিবার বিএনপি ঘেঁষা বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জসিমউদ্দিনকে সম্মেলনের পর খোকন সাহার কর্মসূচিতে দেখা গেছে। ১৩নং ওয়ার্ডে সভাপতি পদে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) রবিউল হোসেন ও আকতারুজ্জামান রয়েল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে শামীম খাঁ ও সাখাওয়াত হোসেন সুমনকে নিয়ে আলোচনা হলেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুইজনকেই চায়। এদের নিয়েও আনোয়ার হোসেন ও খোকন সাহার মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হলে বৈঠকটি অসমাপ্তি হয়ে শেষ হয়। এর আগে ১৬নং ওয়ার্ড সভাপতি পদে নিপু-আরাফাতের জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ ওমর খালেদ এপন ও নিপু-আরাফাতের জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও- সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক (অব্যাহতিত্রাপ্ত) মাহবুব আলম চঞ্চলের নামে উঠে। এপন হলেন আনোয়ার হোসেনের বর্তমানে সক্রিয় কর্মী ও চঞ্চল হলেন খোকন সাহা আস্থাভাজন একজন কর্মী হিসেবে পরিচিত। এখানে সভাপতি প্রার্থী ও সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি মনোয়ার হোসেন মনা রাজনীতিতে নিস্কিয়তা ও দলীয় কর্মসূচীতে অনুপস্থিতি থাকার অভিযোগ উঠে। মনা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর মামা হন। ওই সভায় তার নাম কেউ নেয়নি বলে শুনা গেছে। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক আরেকজন প্রত্যাশী সাব্বির আহম্মেদ সাগরকে আগামী মহানগর কমিটিতে ভালো স্থানে রাখার আলোচনায় উঠে। ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে আলোচনা উঠে এই ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিস আহম্মেদ। আরেক প্রার্থী আব্দুর মন্টুকে রাজনীতি নিস্ক্রিয়তা ও অন্যত্র আওয়ামীলীগের পদপদবী থাকার অভিযোগ উঠে। আনিস একজন প্রবীন সক্রিয় নেতা এবং এমপি শামীম ওসমানও তাকে এই পদে চান বলে জানা যায়। তাকে নিয়ে সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জোরালো সমর্থন ছিলো বলে জানা গেছে। এই ওয়ার্ডের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামানকে সম্মেলনের পরে এখনও দলীয় কর্মসূচীতে দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, ১৩ জানুয়ারী থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের ১৭টি ওয়ার্ড সম্মেলন শুরু হয়। প্রথম সম্মেলনে ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ২৬নং ওয়ার্ড সভাপতি মেছবাহউদ্দিনকে ঘোষনা দেয়া হয়। ওই সম্মেলনে ২৬নং ওয়ার্ড সেক্রেটারী পদে ৩জন এবং ২৭নং ওয়ার্ড সভাপতি ২জন ও সেক্রেটারী ৪জন প্রার্থী হন। পরে সম্মেলনগ্তলোতে ২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ২জন ও সেক্রেটারী ৭জন, ২৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ২জন ও সেক্রেটারী ৬জন, ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ১০ জন ও সেক্রেটারী ১৩জন, ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ৮ জন ও সেক্রেটারী ১৫জন, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ১১ জন ও সেক্রেটারী ৮জন, ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ৭জন ও সেব্রুটারী ৮জন, ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ৫ জন ও সেক্রেটারী ১০ জন, ১৮নং ওয়ার্ড সভাপতি কামরুল হাসান মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক কবির হোসাইন নির্বাচিত, ১৭নং সভাপতি ২জন, সেক্রেটারী আসাদউল্লাহ নির্বাচিত, ১৬নং ওয়ার্ডেসভাপতি ৫জন ও সেক্রেটারী ৩জন, ১৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম ও সাধারণ সম্পাদক প্রতীক ঘোষাল পাল নির্বাচিত, ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির নির্বাচিত, ১৩নং ওয়ার্ড সভাপতি প্রার্থী ২জন ও সেক্রেটারী ১০জন, ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম খান ও সেক্রেটারী জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচিত এবং ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ২জন ও সেক্রেটারী জসিম উদ্দিনকে নির্বাচিত করা হয়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৬
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:২৩
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫১
  • ১১:৪৫
  • ১৫:৪৩
  • ১৭:২৩
  • ১৮:৩৮
  • ৬:০৪
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা