আজ রবিবার | ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ১২ জিলকদ ১৪৪৬ | দুপুর ১:৫১

এবার উজ্জীবীত বিএনপির তৃনমূল

ডান্ডিবার্তা | ০৬ জুন, ২০২৩ | ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলাজুড়ে অসংখ্য দোয়া, মিলাদ ও খাবার বিতরণ হয়েছে। গত ৩০ মে মৃত্যুদিবসে সর্বাধিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলেও এর ধারাবাহিকতা রয়ে গেছে পরের দিনেও। গত বুধবারেও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে খাবার বিতরণ ও মিলাদ মাহফিল পালন করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গত ১০ বছরে বিএনপি নেতাকর্মীদের এতটা সক্রিয় হতে দেখা যায়নি দলীয় কর্মসূচিতে। বিশেষ করে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পাড়া মহল্লায় শোকের আমেজ তৈরি করে কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। এমনকি গত বছরেও চোখে পরেনি দলটির এত সক্রিয়তা। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের বছরেও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ছিল না দলটির বাড়তি সক্রিয়তা। চলতি বছর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনকে এতটা সক্রিয় হতে দেখে বেশ খুশি হয়েছেন কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ। সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লা, বন্দর, সোনারগাঁ এলাকায় সবচেয়ে বেশি দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। জেলা ও মহানগর পর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের পদপ্রত্যাশী নেতারাও ব্যক্তিগত উদ্যোগে দোয়া ও খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছেন। শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ব্যস্ত সময় অতিক্রম করেছেন পুরো সময়জুড়ে। দম ফেলবার সময়ও পাননি অনেকে। ব্যস্ততা মাথায় রেখেই ছুটে বেড়িয়েছেন এই প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল সকলেই ছিলেন অগ্রগামী ভূমিকায়। তৃণমূলের কর্মীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, গত ১০ বছরে বিএনপির নেতারা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে এতটা সক্রিয় ছিলেন না। কিন্তু এবার এত বেশি সক্রিয় যে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় সাধারণ মানুষের চোখে বিএনপির সক্রিয়তা চোখে পড়েছে। সবাই বুঝতে পেরেছে বিএনপি এখনও পাড়া মহল্লায় রাজনীতি করার সক্ষমতা রাখে এবং তারা সক্রিয়। এতদিন ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ভয়ে প্রকাশ্যে সভা করতে না পারলেও এবার সেই ভয় কাটিয়ে ফিরেছেন স্বদর্পে। জানা যায়, এবার সক্রিয় হবার পেছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী বছর। সরকারের চাপের মুখে থাকা। আগের চাইতে অনেক বেশি সক্রিয় ভূমিকায় বিএনপি। ধারাবাহিক আন্দোলন ও মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা। বৈদেশিক চাপ ও বিএনপির প্রতি নমনীয়তা। সরকারের ভিন্ন ও নরম সুর। এসব দিক বিবেচনা করে নেতাকর্মীরা মনে করছেন আসন্ন নির্বাচনে পাল্টে যেতে পারে দৃশ্যপট। আর সেই কারণেই হারিয়ে ফেলা উদ্যোম নতুন করে ফিরে পেয়েছেন। এর বাইরেও সক্রিয় হবার পেছনে রয়েছে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়া। পাড়া মহল্লায় যেসব বিএনপির নেতাকর্মীরা এতদিন নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি, তারা প্রকাশ্যে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিয়েছেন। পাশাপাশি রয়েছে বিএনপির বিভিন্ন কমিটিতে স্থান পাওয়ার প্রতিযোগিতা। এসব কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে নেতাদের সাথে কর্মীদের সুসম্পর্ক বাড়ে ও ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। প্রতিটি কর্মসূচির ছবি নেতাদের কাছে পাঠিয়ে নিজেকে সক্রিয় হিসেবে দেখানোর সুযোগ আসে। নির্বাচনী বছর ও পরিবেশ অনুকূল বিধায় নেতারা আবারও সক্রিয় ভাবে রাজনীতিতে ফিরতে পদের জন্য মুখিয়ে আছেন। দলের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপি এবার যতটা ঘটা করে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছেন, ঠিক একইভাবে মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এত বেশি মঞ্চ রাস্তাঘাটে তৈরি হয়েছে যে একবারও মনে হয়নি বিএনপি এতদিন অলিগলিতে লুকিয়ে লুকিয়ে রাজনীতি করতো। প্রকাশ্যে সামনে এসে মাইক বাজিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছে। যেখানে নেতাকর্মীরা ক্ষমতাসীন দলের হামলার ভয়ে থাকতো, মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াতো, সেখানে নেতাকর্মীদের প্রত্যবর্তন সত্যিই চমকপ্রদ। যেকোন স্বার্থে বা লক্ষ্যে এই গণদোয়ার আয়োজন হলেও পজেটিভ বার্তা পেয়েছেন কর্মী সমর্থকরা। হারানো মনোবল ফিরে পেতে এই সক্রিয়তা অনেক বেশি ভূমিকা রাখতে সক্ষম।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা