আজ শুক্রবার | ১ নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬ | সকাল ৮:২২

রাজপথ দখলে মরিয়া আ’লীগ-বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা | ০৫ জুলাই, ২০২৩ | ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ঈদের পর পরই নির্বাচন কেন্দ্রীক প্রস্তুতি নিয়ে রাজপথে অবস্থান নিবেন এমন ঘোষনা দিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের বিএনপি-আওয়ামীলীগ। ঈদের পরের দিন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের সাথে মত বিনিময়ও করা হয়েছে। এসময় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ তাদের নেতা কর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক আন্দোলনে মাঠে থাকার জন্য বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও সূত্রে জানা গেছে। সূত্রমতে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচন। ইতিমধ্যে সাংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তপ্ততা বিরাজ করছে। বাদ পড়েনি দেশের আলেচিত জেলা নারায়ণগঞ্জও। নির্বাচন কেন্দ্রীক উত্তপ্ত রাজনীতি এ জেলায় এতটাই প্রকট আকার ধারনে করেছে, জেলার রাজপথের দখল নিতে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে ক্ষমতাসীনদলের নেতৃবৃন্দ এবং তাদের সমর্থকরা অপরদিকে মাঠের প্রধান বিরোধী দলও ছাড় দিতে নারাজ। জেলা বিএনপি এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দও ১০ দফা দাবি আন্দোলনে রাজপথে অবস্থান নিয়েছেন। সরকার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথে থাকার ঘোষনা দিয়েছে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্বক মূলক কর্মকান্ডে প্রতিহত করতে রাজপথে থাকবে ক্ষমতাসীনদল আওয়ামীমীলীগ। এ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে কোন পথে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি। সূত্রে জানা যায়, পনেরো বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচন সামনে রেখে সরকারবিরোধী লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে দলীয় হাই-কমান্ড। যার প্রস্তুতিতে রাজনৈতিক ভাবে আন্দোলনে রাজপথে থাকার ঘোষনা দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সদ্য ঘোষিত হওয়া আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ। তবে এসব কর্মসূচি রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করার পাল্টা হঁশিয়ারি দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ। জেলার রাজনীতিতে বিএনপি দীর্ঘদিন নিষ্কিয় হয়ে থাকলেও আওয়ামী লীগের কাছে এখনো বিএনপিই তাদের মূল প্রতিপক্ষ। তাই ভেতরে-বাইরে, সভা-সমাবেশে বিএনপির সমালোচনায় মুখর থাকেন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। এদিকে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা এবং সরকার পতনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে বিএনপি। তবে সফলতা না পাওয়ায় দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মসূচির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পালনে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন। দলটির তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অনেকে বলেছেন, তাদের নেতৃত্বের ওপর মাঠ পর্যায় থেকে রাজপথের আন্দোলনের ব্যাপারে চাপ রয়েছে। এদিকে দ্বাদশ নির্বাচন অন্যদিকে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের চাপ এ দুইয়ে মিলে আন্দোলন থেকে ফেরার পথ নেই দলটির। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে আওয়ামীলীগের কাছে বিএনপি নেতৃত্বশূন্য হলেও তাদের কর্মীদের সংখ্যা দলটির যে কোনো কর্মসূচি এখনো মাথাব্যথার কারণ। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা হারলেও কোনো কোনো স্থানে বিএনপির ভোটসংখ্যা দেখে আওয়ামী লীগের নেতারা অবাক হয়ে উঠছেন। এ প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের আগ মুহুর্তে বিএনপিকে আরো চাপে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। মাঠে-ঘাটে, রাজনীতিতে ও নির্বাচনে বিএনপিকে একবিন্দুও ছাড় দেবে না ক্ষমতাসীনরা। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপিকে মাঠে সীমিত পরিসরে নামতে দিলেও হামলা-মামলা হতে পারে বড় আকারে এমন ধ্যান ধারনা থেকেই ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ মাঠে অবস্থান নিবেন বলে জানা গেছে জেলা আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারক ফোরামের একাধিক নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে। নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক পরবর্তী আন্দোলন কেমন হতে পারে এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ¦ মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন বলেছেন, এখন বাংলাদেশ উদ্ধার করতে হবে। ভোট চোরদের হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে। আওয়ামীলীগ সংবিধান স্বীকৃত জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশের আত্মা বিক্রি করে দিয়েছে। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। তবে নাশকতা নয় বরং নিয়মতান্ত্রিক এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই নারায়ণগঞ্জের গলি থেকে শুরু করে সর্বত্র বিএনপির কর্মী সমর্থকরা অবস্থান নিবেন। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এখন পেছনে তাকানোর আর সুযোগ নেই বিএনপির। সমাবেশ কর্মসূচির মাধ্যমে শুরু হয়েছে। যার শেষও দেখতে হবে। আমরা মনে করি, জনগণই আমাদের শক্তি। সরকারকে বিদায় করতে জনগনকে সাথে নিয়ে পাড়া মহল্লায় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এখন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হলেও যে কোনো সময় বড় ধরনের কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে নামার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। অন্যদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃহাই বলেন, বিএনপি দেশবিরোধী রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তারা জনগণের সহানুভূতি পেতে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। দেশের মানুষের কাছে বিএনপির রাজনীতি দুর্নীতির-লুটপাটের ও মানুষ খুনের। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মানুষ দেখেছে। তাই দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির এই দেশে রাজনীতি করার বৈধতা আর নেই। মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বিএনপির কাছ থেকে। আওয়ামী লীগের জন্য এটি বড় সুযোগ। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে ক্ষতি হবে আওয়ামী লীগেরই। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল বলেন, বিএনপির ধারাটাই হলো সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য যে ইতিবাচক চিন্তাচেতনা দরকার, তারা সেখানে সম্পৃক্ত হতে পারছে না। তারা যতই উল্টা পথে চলবে, তারা ততই বিভ্রান্তির বেড়াজালে আবর্তিত হবে। এটা তাদের দলকে অস্তিত্বহীন করে দিয়েছে। অস্তিত্বহীনবিরোধী দলের প্রয়োজন বাংলাদেশে নেই। আন্দোলনের নামে জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেললে তা কঠোর ভাবে প্রতিরোধ করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৬
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:২৩
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫১
  • ১১:৪৫
  • ১৫:৪৩
  • ১৭:২৩
  • ১৮:৩৮
  • ৬:০৪
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা