আজ বৃহস্পতিবার | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১ | ২৭ শাবান ১৪৪৬ | বিকাল ৪:২৬

রাজনৈতিক উত্তাপে জনমনে আতঙ্ক

ডান্ডিবার্তা | ১৪ জুলাই, ২০২৩ | ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলা হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি। বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মাঠ দখলে রাখার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে ইতিমধ্যে। পাল্টাপাল্টি সভা-সমাবেশ, মিছিল-শোডাউনের পাশাপাশি হামলা-সংঘাত বাড়ছে। তাতে সাধারণ মানুষের মনে আগামী রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক-সংশয়। নির্বাচনকালীন সরকার, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) কয়েকটি ইস্যুতে বিপরীত মেরুতে অবস্থান দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির। সংকট নিরসনে দুই দলের আলোচনা বা সংলাপের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। উল্টো নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ব্যস্ত বাগযুদ্ধে। সাংসদ নির্বাচনের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত রাজপথ দখল-পাল্টা দখলের হুংকার দিয়ে মাঠে নামছেন প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এতে করে দেশের আগামীতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংঘাতের পথেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত না থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন স্থানে মিটিং-মিছিলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি হামলার ঘটনা ঘটছে। এই রাজনৈতিক উত্তাপে সংঘাত সৃষ্টি হয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। রাজনৈতিক মাঠে এই উত্তাপের পেছনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতি কাজ করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় দলীয় মনোনয়ন ও আধিপত্য ধরে রাখতে স্থানীয় নেতারাই বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছেন। আগামীতে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখেও অনেকে নিজেদের শক্তি ও উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন। নির্বাচনের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের কর্মসূচি নিয়ে সংযত থাকবে বলে জানিয়েছিলেন নেতারা। তারা বলছেন, নির্বাচনকে টার্গেট করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সক্রিয়ভাবে মাঠে আছে। বিএনপি মূলত লাশ ফেলার দুষ্ট চক্রে আবদ্ধ বলে দাবি করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ কাউকে আক্রমণ করে না, কেউ আক্রমণ করলে পাল্টা জবাব দেয়। আওয়ামী লীগের নেতারা আরও বলছেন, বিএনপির আন্দোলন মানেই নিজেরা নিজেরা মারামারি। তাদের বিক্ষোভ মানেই পুলিশের দোষ, পুলিশের ওপর হামলা। জনগণ কারো সাথে মারামারি করে না। দেশের জনগণের নিরাপত্তা ও জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব সময় মাঠে আছে। এদিকে বিএনপি নেতারা বলেছেন, সরকারের পতনই তাদের মূল লক্ষ্য, এই লক্ষ্যে তারা মাঠে নেমেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবেন না তারা। বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় সরকারবিরোধী আন্দোলন করছেন দলের নেতাকর্মীরা। সরকার যতই দমন-পীড়ন করুক, তাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের থামানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি করেছেন নেতারা। প্রধান দুই দলের পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি সম্পর্কে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়ালে স্বাভাবিকভাবেই জনমনে অসন্তোষ ও আতঙ্ক দেখা দেয়। কিন্তু এখনো হরতাল-অবরোধের মতো কোনো বড় কর্মসূচি না আসায় অর্থনীতিতে সেই প্রভাব পড়েনি। আওয়ামী লীগ সংঘাত নয় জনগণের জানমাল রক্ষায় মাঠে থাকবে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ হাই। তিনি বলেন, জনগণকে নিরাপত্তা দিতে আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের পাশে আছে। কোনো রাজনৈতিক দল যদি দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করে, সন্ত্রাসী কর্মকা- করে, জনগণকে জিম্মি করতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেবে।’ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে। দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় মানুষের পাশে ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতে থাকবে। জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন বলেন, বিএনপি জনগনের কথা বলে। জনগনের ভোটাধিকার রক্ষার্থে বিএনপি মাঠে রয়েছে। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথে অবস্থান করবেন বলেও তিনি জানান।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা