
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট জাতীয় নির্বাচনের বাকি আর ৫ মাস। এদিকে সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। মনোনয়ন পত্যাশীরা স্ব স্ব এলাকায় নির্বাচনী পচারনায় নেমে পড়েছেন। প্রতিটি এলাকার তৃনমূল নেতা-কর্মীদের সাথে সর্বদাই যোগাযোগ রাখছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে জেলা আওয়ামীলীগ নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন। এমনকি জেলার ৫টি আসনেই দলীয় দেওয়ার ব্যাপারে ইতিমধ্যে কেন্দ্রে জোড় লবিং চলিয়ে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা। এমনকি আওয়ামীলীগের দলীয় সভায় নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে আওয়ামীলীগের ৫টি আসনেই নৌকার প্রার্থী দেওয়ার জন্য দাবি তুলছেন জেলার শীর্ষ নেতারা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখানে ‘লাঙ্গল ঠেকাও’ মিশনে একাট্টা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ। এদিকে জাতীয় পার্টি এখনো মহাজোটের সঙ্গে আছে। বর্তমান সরকারের অন্যতম শরিক দলও জাপা। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে এর চিত্র ভিন্ন। দলীয়ভাবে নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য ও বিরোধ থাকলেও লাঙ্গল ঠেকাও মিশনে তারা এক। এক সুরে বক্তব্য-বিবৃতিও দিচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগ, মহানগর আওয়ামী লীগ এমনকি নাসিক মেয়রও আগামী নির্বাচনে নাঙ্গল নয়, নারায়ণগঞ্জের সবগুলো আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী দাবি করেছেন। এখানকার আওয়ামী লীগের বক্তব্য হচ্ছে, সদর-বন্দর আসনে আওয়ামী লীগের লোকজন নবম ও দশম এবং একাদশ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে পারেনি। দল ক্ষমতায় থাকলেও এখানে নৌকা মার্কার এমপি না থাকায় দলের নেতাকর্মীরা নির্যাতিত হচ্ছে। উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছে এই আসনের জনগণ। তাছাড়া দলীয় এমপি না থাকায় দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডও মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই জাতীয় পাটি মহাজোটে থাকলেও অন্য কোনো জেলায় ছাড় দিয়ে হলেও নারায়ণগঞ্জে যাতে আগামী নির্বাচনে তাদের কোনো ছাড় দেয়া না হয় এজন্য তারা দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অপরদিকে, একাধিক সূত্রে জানা গেছে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই আগামী নির্বাচনে লাঙ্গনের প্রার্থী দেয়ার জন্য জাপা’র নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। মহাজোটের অন্যতম শরিক দল জাতীয় পার্টি। এই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা বর্তমানে সোনারগাঁ আসনের সংসদ সদস্য এবং একই দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ বন্দর-সদর আসনের এমপি। জোটের শরিক হওয়ার কারণে জাপাকে এই দু’টি আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। ফলশ্রুতিতে তারা এই দুই আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। গত নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ তাদের পক্ষে থাকলেও এবার তারা এই দুই সংসদ সদস্যের ঘোর বিরোধী। কোনোভাবেই জাপার এই দুই সংসদ সদস্যকে ছাড় দিতে চাইছে না। বেশ কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতানেত্রীরা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নৌকার প্রার্থীর গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছেন। সবশেষ, সোনারগাঁয়ের একটি দলীয় অনুষ্ঠানে নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, আমি নারায়ণগঞ্জের সব আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী চাই। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেছেন, আমাদের দাবি নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই আমরা নৌকা চাই। মহাজোটের শরিক হিসেবে যদি জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিতে হয় তবে, সেটি অন্য কোনো জেলায় দিক। নারায়ণগঞ্জে নয়। নেত্রীর কাছে আমাদের দাবি আমরা নৌকার প্রার্থী চাই। নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, সদর-বন্দর আসনে সবার দাবির সঙ্গে আমারও দাবি আগামী নির্বাচনে এখানে যেন নৌকার প্রার্থী দেয়া হয়। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবি করবো। কিন্তু সব কথার শেষ কথা হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেটা ভালো মনে করেন সেটাই করবেন। আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে নৌকা প্রতীককে জয়ী করা। আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় নিয়ে আসা। সুতরাং, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হলে নেত্রী যা করবেন সেটি মাথায় রেখে আমাদের তার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। তবে আমরা নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই নৌকার মনোনায়ন দাবি করব। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, নৌকা ছাড়া অন্য কোনো মার্কা মেনে নেবো না এটা ঠিক নয়, আমাদের দাবি ৫টি আসনেই নৌকার প্রার্থী চাই। সেক্ষেত্রে দলীয় প্রধান যদি নৌকা না দিয়ে অন্য কাউকে ছাড় দেন, তার কথা কি আমরা অমান্য করতে পারবো। তবে ভবিষ্যৎ কি হবে এখনই বলতে পারবো না। আমরা নৌকার পক্ষে দাবি করে আসছি, দাবি করবোই। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল বলেছেন, আমাদের একটাই দাবি নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনেই নৌকার প্রার্থী চাই। প্রার্থী হিসেবে যেই হোক, তাকেই আমরা মেনে নেবো। কিন্তু কোনোভাবেই অন্যকোনো দলকে ছাড় দেবো না। কোনো কমপ্রোমাইজ করবো না। তিনি বলেন, মহাজোট আছে, থাকুক অসুবিধা নেই। মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিলে অন্যকোনো জেলায় ছাড় দিক। নারায়ণগঞ্জে নয়। এখানে আমরা নৌকা চাই, এটাই আমাদের শেষ কথা। নৌকার প্রশ্নে অন্য কোনো দলের সথে কোনো কমপ্রোমাইজ করবো না। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা বলেছেন, শুধু সদর-বন্দর আসনই নয়। জেলার সবগুলো আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী চাই। প্রধানমন্ত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো। এখানে নৌকার প্রার্থী না থাকায় দলের লোকজন ভালো নেই। তিনি বলেন, সদর-বন্দর আসনে নৌকা মার্কার মনোনীত লোক থাকতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯