আজ শনিবার | ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১ | ২৯ শাবান ১৪৪৬ | বিকাল ৩:১০

বিএনপির পূনাঙ্গ কমিটি ধোয়াশায়!

ডান্ডিবার্তা | ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বর্তমানে সরকার পতনের ১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে দফায় দফায় আন্দোলন সংগ্রামের ডাক দিয়ে যাচ্ছে। সকল আন্দোলনেই অন্য সকল জেলা থেকে অন্যতম ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। বিগত দিনে জেলা বিএনপির কার্যক্র ধীরগতি থাকায় কোন ইউনিটে কমিটি গঠন হয়নি এমনকি আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমেই ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ বছর যাবৎ পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বঞ্চিত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। যার কারণে গত বছর সাবেক নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি গিয়াস উদ্দিন ও সাবেক জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুককে খোকনকে নিয়ে জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। যার কয়েক মাসের মাথায় তারা দুইজন একত্রিত হয়ে জেলা বিএনপির সকল ইউনিটের কমিটি গঠন করে এবং সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। যার কারণে তাদের উপরেই আস্থা রাখতে শুরু করেন জেলা বিএনপির তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনের ৪ মাস অতিক্রম হয়ে গেলে কেন্দ্রের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া দিতে বলা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে নেতাকর্মীরা আবারও রাজপথে আরো উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠে সকলে দাবি করা শুরু করে দিয়েছিলেন নানা চড়াই উতরাই অতিক্রম করে এবার হয়তো জেলা বিএনপির পূর্নাঙ্গ কমিটি আসতে যাচ্ছে। কিন্তু সপ্তাহের পর সপ্তাহ গেলে ও এখানো কোন রেজাল্ট পাওয়া যাচ্ছে না যার কারণে নেতাকর্মীরা বলছে আবার ও ঝিমিয়ে পরছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কার্যক্রম। সূত্র মতে জানা গেছে, বর্তমানে জেলা বিএনপির আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিট থেকে প্রায় ৩০০ নেতাকর্মী জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আসতে ইচ্ছা পোষন করছে এদের সাথেই সমন্বয় করে ১৫১ সদস্য বা ১৬১, ১৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের আবাস ও পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এবার পূর্নাঙ্গ কমিটি নিয়ে নেই আর কোন আলাপ আলোচনা বা নেই কোন মিটিং যা নিয়ে নেতাকর্মীরা দুশচিন্তায় রয়েছে। তৃণমূলের দাবি, ঢাকার লাগোয়া জেলা নারায়ণগঞ্জ হওয়ায় বর্তমানে সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষে নারায়ণগঞ্জ। সেই ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি একটি মূল পয়েন্ট এই সংগঠন যদি বর্তমানে দুই জনের আওতায় থাকে তাহলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপ রেখা দেখাতে ব্যর্থ হবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি যার কারণে দরকার একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। যার কারণে কোন দৃঢ়গতি না করে অতি শীঘ্রই জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়ে গেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক গতি আরো বৃদ্ধি পাবে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে দীর্ঘ ১৪ বছর পর (১৭ জুন) নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সভাপতি পদে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদকপদে গোলাম ফারুক খোকন। জানা গেছে, জেলা বিএনপির ৯ সদস্য আহ্বায়ক কমিটির গঠনের পর থেকে এই গিয়াস ও খোকন একের পর এক চমক দেখিয়েছেন। এমনকি এদের ধারা সকল ইউনিট আরো শক্তিশালী ও গতিশীল হয়ে উঠেছে। এদিকে জেলা বিএনপির সম্মেলনের চার মাসে ও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে চলছে জেলা বিএনপি। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই পূর্ণাঙ্গ কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। কিন্তু কয়েকদিন কেন্দ্রীয় এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষে নানা তৎপরতা দেখা গেলেও বর্তমানে আবারো ঝিমিয়ে পরছে। যা নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ মান রয়েছে। এদিকে কেন্দ্রের নির্দেশে কয়েক দফা মিটিং হলে ও এখন আর সেই মিটিংয়ের দেখা পাওয়া যায় না। সকলে আবার পূর্ণাঙ্গ কমিটির কার্যক্রম রেখে যে যার মতো নিজস্ব কার্যক্রমে ব্যস্ত সময় পার করছে। যার কারণে আবার ও সাংগঠনিক শক্তি হারানোর পথে জেলা বিএনপি। এদিকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক পদগুলোতে আসতে ইতিমধ্যেই অনেক নেতাকর্মীরা লবিং চালিয়ে যাচ্ছে। সকল নেতাকর্মীরাই সুপার ফাইভে থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কে কোন ছোট পদে থাকতে ইচ্ছুক নয়। যার কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কার্যক্রমে দৃঢ়গতি হচ্ছে এমটা বলছে সূত্র। তৃণমূলের দাবি একটা বিগত দিনের মতো পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হলে ও এবার যাতে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির মূখ দেখতে পায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।প্রসঙ্গত, বিগত দিনে ছিল জেলা বিএনপির নাজেহাল দশা কখনো আংশিক, কখনো আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেয়া হতো কেন্দ্র থেকে। যার কারণে জেলা বিএনপির সকল প্রকারের কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখা গেছে। দলীয় তথ্যমতে, ২০০৩ সালে জেলা বিএনপি’র সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক রেজাউল করিম ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। ওয়ান ইলেভেনের সময় সংস্কারবাদী হিসেবে অধ্যাপক রেজাউল করিমের নাম আলোচনায় থাকায় ২০০৯ সালের ২৫শে নভেম্বর শহরের আলী আহমেদ চুনকা পৌর মিলনায়তনে জেলা বিএনপি’র সর্বশেষ সম্মেলনে তাকে বাদ দেয়া হয়। সেই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র প্রয়াত কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকারকে সভাপতি ও কাজী মনিরুজ্জামানকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাধরণ সম্পাদক করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছরেও তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি। ফলে ২০১৭ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মুখ না দেখায় সাড়ে ৩ বছর পর জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে ২০২০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর কেন্দ্র থেকে পুনরায় এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে আহ্বায়ক ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র ৪১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। এর মধ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মেয়র নির্বাচন করায় তৈমূর আলমকে আহ্বায়কের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয় মনিরুল ইসলাম রবিকে। দুই বছরের মাথায় একই বছরের ১৫ই নভেম্বর মনিরুল ইসলাম রবি ও মামুন মাহমুদের আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দিয়ে কেন্দ্র থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তার পর পরই ১৪ বছর পর ১৭ জুন সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয় গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচত হয় গোলাম ফারুক খোকন এবার পূর্নাঙ্গ কমিটি হতে যাওয়ার কথা থাকলে ও কার্যক্রম আবার ও ঝিমিয়ে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা