আজ শনিবার | ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১ | ২৯ শাবান ১৪৪৬ | রাত ৯:১৭

না’গঞ্জে বাজছে নির্বাচনী ডামাঢোল!

ডান্ডিবার্তা | ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১২:১৮ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বাকি কয়েক মাস। এর মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ জুড়ে শুরু হয়েছে নির্বাচনী ডামাডোল। প্রতিটি রাজনৈতিক দলই ভোটের নানা সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত। বড় দলগুলো জেলার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী ঐক্যবদ্ধ করছে ঝিমিয়ে পরা কর্মীদের। একই সঙ্গে কদর বেড়েছে ছোট ও নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলগুলোর। এসব দল নিয়ে তৈরি হচ্ছে জোট-উপজোট। নারায়ণগঞ্জে হুট করেই ছোট এসব দলগুলোকে প্রাধান্য দিতে দেখা যাচ্ছে। তবে ভোটের মাঠে এসব দলের প্রভাব না থাকলেও রাজপথে শক্তি দেখাতে বড় রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কাছে টানছেন বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভোট এলেই জোট বাড়ে, আবার ভোট শেষ জোটও শেষ। এই রীতি দীর্ঘদিন থেকেই চলছে নারায়ণগঞ্জের বড় উভয় দলগুলোর মধ্যে। এসব দল ভোটের মাঠে খুব একটা প্রভাব ফেলতে না পারলেও দলের অনেক সমর্থন আছে-এ কথা জানান দিতেই কাছে টানছে বড় দলগুলো। নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনের আগে বড় দল গুলোর যা পরিবর্তন হতে পারে, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার পাশাপাশি ১৪ দলীয় জোটের বিচ্ছিন্ন হয়া দলের সাথে একত্রিত হচ্ছে। তাছাড়া এরি মধ্যে, নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি আসনের প্রায় প্রতিটি আসনের এমপিদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তবে এর আগে মিল ছিলো না খোদ নিজ দলের মধ্যেই। যা দলের হাই কমান্ডের নির্দেশে আপাতত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই মিল থাকার কথা শোনা গেছে। তবে বিভেদ রয়েছে মেয়ের আইভি ও ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানে মধ্যে। যা দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে। ফলে তাদের বিভেদ নির্বাচনি মাঠে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসন ও সদর-বন্দর আসনে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাছাড়া পুরো জেলার ৫টি আসনেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, খাতা কলমে প্রধান বিরোধী দল না থাকলেও নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে রাজপথে আবারো উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী পুরো জেলায় লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি, জেলা বিএনপির সম্মেলন হয়ার কারনে আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে কর্মী-সমর্থকরা। তাছাড়া, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর গণ- সমাবেশের আগে একটি সভার মাধ্যমে ২০ দলীয় জোটে ভেঙে দেয়া হয়। তার পর থেকে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন গুলোর দ্বায়িত্ব বেড়েছে । দেখা গেছে, দলের ডাকা কর্মসূচি গুলোতে ফ্রন্ট লাইনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন গুলো। এদিকে, প্রধান বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টি নারায়ণগঞ্জে তেমন প্রভাবিত নয়। এ দলের নেতা-কর্মীরা অনেকটা আওয়ামী লীগের ইশারায় চলে। পাশাপাশি জতীয় পার্টির নেতা- কর্মীরা আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশে আড়াল থেকে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। এককথায় নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালীর নির্দেশে চলে। সূত্র বলছে, বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৩৯টি। এই দলগুলোই কেবল নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ভোটের লড়াইয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ছাড়া আর কারও তেমন সমর্থন নেই। তবে জেলার সর্বমোট ৫ আসনের হিসেব অনুযায়ী নিবন্ধন বাতিল হওয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অল্প সংখ্যক সমর্থন রয়েছে। তাছাড়া, নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক দলের প্রায় দেড় শতাধিক দল রয়েছে, যারা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারে না। তারা বড় দল গুলোর সাথে জড়িয়ে পড়ে। নয়তো স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। ফলে দেখা যায়, নির্বাচনের আগে বড় দল গুলোর কর্মী সমর্থন বেড়ে যায়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা