আজ সোমবার | ৩ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১ | ২ রমজান ১৪৪৬ | রাত ১০:৩১

রাজনীতিতে ভোটের উত্তাপ!

ডান্ডিবার্তা | ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ | ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে তৎপর হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক দলগুলো। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটের হিসেব-নিকেশের অংকের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা সাধারন মানুষের নজর কেড়েছে। নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি আসনে বিজয়ের লক্ষ্যে নতুন কৌশলে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। বসে নেই রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও। প্রতিযোগিতায় মেতেছে কে কার চেয়ে বড় শোডাউন দিয়ে জনতার কাছে বিজয়ী হতে পারে। এক কথায় বলতে গেলে দ্বাদশ নির্বাচনের মাঠে ভোটের উত্তাপ এখন রাজপথে। জানা গেছে, নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। নিজেদের শক্তি প্রদর্শন শুরু করে দিয়েছে দেশের প্রাক্তন শাসকদল তথা প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক নারায়ণগঞ্জের রাজপথে বিভিন্ন সভা সমাবেশ করেছে বিএনপি। সভা সমাবেশে ক্ষমতাসীনদলের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অপরদিকে, ছেড়ে কথা বলছে না শাসকদল নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ। তারাও অচিরেই একাধিক জনসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সভা সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্ততির জাগান দিয়েছে ক্ষমতাসীনদলের নেতৃবৃন্দ। সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলার ন্যায় দ্বাদশ নির্বাচনের উত্তাপ নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতেও বিরাজ করছে। ভোটকেন্দ্রিক নির্বাচনের উত্তাপ ক্রমশ ছড়াচ্ছে নারায়ণগঞ্জের রাজপথে। বিপরীতে ক্ষমতায় থাকা দলকে আপাতদৃষ্টিতে বিরোধীদলের কর্মসূচীর দিকে নজর দেয়াসহ সাংগঠনিক শক্তি তৎপরতায় তারাও বসে নেই। তবে, দৃশ্যমান কোনো কর্মসূচিতে নেই ক্ষমতার অংশীদার জোটও। এই পরিস্থিতিতে টানা তিন মেয়াদের ক্ষমতায় থাকা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ভোটের হিসাব কষে ভেতরে ভেতরে নতুন কৌশল ঠিক করছে। যা নিয়ে আগামী বছরের শুরু থেকে নারায়ণগঞ্জের রাজপথে থাকবে দলের নেতা কর্মীরা। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ এখন ব্যস্ত সময় পার করছে দল, অঙ্গ ও সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো গোছানোর কাজে। দ্বাদশ নির্বাচনের আগেই মূল দলসহ সকল সংগঠনের সম্মেলন শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন উপজেলার ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলনের মাধ্যমে ত্যাগীদের হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দিচ্ছেন। জেলা ক্ষমতাসীনদলের নেতারা মনে করছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো একের পর এক সমাবেশ করে তাদের লক্ষ্যে আসতে সময় লাগবে। সে ক্ষেত্রে কাছাকাছি সময়ে পাল্টা জনসভা করে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ। তবে দ্বাদশ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে বিরোধীদের আন্দোলনে রাজপথে ব্যাপক উত্তাপ ছড়াতে পারে, তার মধ্যে জেলা ও মহানগরসহ উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলন শেষ করে মাঠে নামার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে ক্ষমতাসীনরা। আর বিরোধীদের আন্দোলন সহিংস রূপ নিলে কঠোর অবস্থানে থেকে তা প্রতিহত করবে বলেও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপকালে জানা গেছে। সে ইঙ্গিত দিয়ে ক্ষমতাসীনদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে বাধা দেওয়া হবে না। তবে অশান্তি সৃষ্টি করলে শক্ত হাতে দমন করা হবে। যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে হবে। তাদের কোনও ছাড় নেই। জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের উন্নয়ন কর্মকা- জেলার সর্বত্র মানুষের মাঝে বিলি করা হবে। আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদে তৈরি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন এবং স্থানীয়ভাবে সভা-সমাবেশ করে জনসম্পৃক্ত থাকতে নৌকার সংসদ সদস্যদের বলা হবে শিগগিরই। বিভিন্নভাবে পরিচালিত জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে ভোটে জেতার মতো প্রার্থীদের আগামীতে মনোনয়ন দেওয়া এবং তা না মেনে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও থাকবে এমপিদের উদ্দেশে। একইসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দুর্নীতি ও অনিয়ম, আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ, মানুষ হত্যা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মতো বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসার জন্য তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছেও বার্তা পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার নির্দেশও দেওয়া হবে। অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনসহ দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃহাই বলেন, আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে রাজপথে আছি, থাকব এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। যারা রাজপথ নতুন করে দখল করার কথা বলছে তাদের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার দরকার। শত নির্যাতনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বিএনপি এখনো শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন। দলীয় নেতৃবৃন্দে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে নামলেই ক্ষমতাসীনদলের নেতৃবৃন্দের মাথা খারাপ হয়ে যায়। তারাতো নিজেরা কিছু করতে পারেন না’ পুলিশ দিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে দমন নীপিড়নসহ মিথ্যা মামলার মাধ্যমে আন্দোলন থেকে দূরে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা চালাতে পারেন শুধু! তবুও নারায়ণগঞ্জে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, অনেকে জানতে চান কবে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তাদের কথা শুনে আমি অবাক হই। বিএনপি তো আন্দোলনের মধ্যেই আছে। সরকারের নানা ব্যর্থতায় আমরা রাজপথেই প্রতিবাদ করছি। আন্দোলন মানে তো গাড়ি ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও নয়, আমরা এসবে বিশ্বাস করি না। জনগণও সেটা চায় না। আমরা চাই সরকারবিরোধী একটি গণআন্দোলন। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু সরকার তার গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে সবসময় বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। অতীতে আমরা সরকারের এমন নীলনকশা দেখেছি। সরকার একটা বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করে বিএনপিকে আন্দোলনে উসকে দিতে চাইছে। কিন্তু আমরা সরকারের কোনো উসকানিতে পা দেব না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সময়মতো চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা