আজ শুক্রবার | ৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ | ১০ জিলকদ ১৪৪৬ | দুপুর ১:৫৬
শিরোনাম:
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজরা বেপরোয়া কোটি টাকার মালামাল লুট    ♦     শেখ হাসিনা গডফাদারদের রক্ষা করতে ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ করে রেখেছিল    ♦     পুলিশ কেন আত্মহত্যা করে?    ♦     শেখ হাসিনা গডফাদারদের রক্ষা করতে ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ করে রেখেছিল    ♦     রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন খালেদা জিয়া    ♦     সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল    ♦     রূপগঞ্জে জমিদার সিটির সাইনবোর্ড গুড়িয়ে দিলো ভ্রাম্যমান আদালত    ♦     মুসলিমনগর এলাকার জ্বলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন    ♦     বন্দর উপজেলা বিএনপি সভাপতির মামলা বাণিজ্যের অডিও ফাঁস    ♦     আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞ: জাকির খান    ♦    

হরতালে লঞ্চ ও বাস থেকে নিরাপদ ট্রেন

ডান্ডিবার্তা | ২০ নভেম্বর, ২০২৩ | ৯:২৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতাল কর্মসূচিতে কোনো প্রভাব নেই নারায়ণগঞ্জে। নগরী ও জেলা উপজেলায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে স্বাভাবিকভাবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চলতে দেখা গেছে দূরপাল্লার যানবাহনও। এছাড়া শহরতলীতে লঞ্চ, ট্রেন, বাসসহ ক্ষুদ্র গণপরিবহনেও ছিলো স্বাভাবিক দিনের মতো। তবে, যাত্রী সংকটের অভিযোগ করেছে লঞ্চ ও বাস কতৃপক্ষ। হরতাল আতঙ্কে ট্রেনের সফরই নিরাপদ ভাবছে সাধারণ যাত্রীগণ। গতকাল রবিবার সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও মহাসড়কে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সর্বত্র সব ধরনের যানবাহন চলছে স্বাভাবিকভাবে। তবে, কঠোর অবস্থানে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। সর্বত্র ছিলো নিরাপত্তা। বাস, ট্রেন অথবা লঞ্চ সব খানেই পুলিশের চেকসহ নানা তৎপরতা ছিলো দৃশ্যমান। এদিকে, হরতালের কারণে বিপাকে পড়েছে দূর দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। পড়াশোনার চাপ, চিকিৎসার জর”রী কাজসহ নানান সমস্যা বের হতে হয় বাসা থেকে। শিক্ষার্থীরা বলছে, ‘এই অবস্থায় বাসা থেকে বের হতে দেয় না, বাবা-মা’। অপর দিকে নৌ পরিবহন ও সড়কের পরিবহন শ্রমিকরা বলছে ‘একদিকে রাস্তায় আতঙ্ক অন্য দিকে যাত্রী সংকট’। সরকারি তোলারাম কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেনীর শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, আমার বাসা চাঁদপুর। আমি সপ্তাহে ২দিন কলেজে আসি কলেজে। হরতালের এই সময়ে অনেকটা আতঙ্কে থাকি। বাবা-মাও আসতে দেয় না কারণ তাঁরাও ভয় পায়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষাগ্রহন করতে চাই। নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল লঞ্চ ঘাটে দেখা হয় চাকরিজীবী মো. স্বপন মিয়ার সাথে। তিনি জানান, আমার জর”রী কাজে চাঁদপুর যাবো। কিন্তু এমন সময়ে রিস্ক নিয়ে চাঁদপুর যেতে হচ্ছে। একটু ভয় তো কাজ করেই। তবুও বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে। আমি চাই দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসুক। হরতালের প্রভাব নিয়ে নৌ শ্রমিক আবু সোহেল জানান, হরতালের কারণে আমাদের যাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছি আমরা। আমাদের চলাফেরায় রাস্তায় কোন সমস্যা নাই আতঙ্ক নাই। কিন্তু যাত্রী আগের থেকে অনেক কমে গেছে। তবে ভিন্ন মতবাদ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বি আইডব্লিউটিএ) উপ-পরিচালক বাবুলাল বৈদ্য। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে হরতালের প্রভাব অতটা পরে নাই নৌ পথে। এখানে যাত্রীরা সাচ্ছন্দবোধ করে নৌ পথে যেতে। ইতোমধ্যে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের আমারা নিরাপত্তার জন্য চিঠি দিয়ে অবগত করেছি। তফসিল ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জে লঞ্চ যাত্রীর সংখ্যা অনেক বাড়ছে। এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক আছে। একই অবস্থা সড়ক পরিবহনে। বাসে যাত্রী সংখ্যা নেমেছে অর্ধেক। নিত্যদিনের শ্রমিকের এখন পরিবার নিয়ে শঙ্কায় প্রকাশ করছে। ঠিক মতো গাড়ি না চললে সেদিন আর রান্না করা হয় না বাড়িতে। সাধারণ যাত্রীরা বলছে বাধ্য হয়েই যেতে হচ্ছে। পরিবারের সবাই ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি। আতঙ্ক থাকলেও সময় মতো হসপিটালে পৌছাতে হবে। লাইলী আহম্মেদ নামে এক যাত্রী জানায়, আমার পরিবারের সবাই অসুস্থ। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আমার পরিবারের অনেক গুলা মানুষ একসাথে ভর্তি। বাধ্য হয়ে বাসে যেতে হচ্ছে। আমরা চাই দেশে শান্তি ফিরে আসুক। আমরা আবার দেশে তত্বাবধায় সরকারের মাধ্যমে সুষ্ঠ নির্বাচন দেয়ার জন্য প্রস্তুত। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে অন্তত ভোট দিতে পারি যাতে। বন্ধু পরিবহনের হেলপারের কাজ করে আমির হোসেন রিংকু বলেন, এখনো কোন দূর্ঘটনা ঘটে নাই। তবে একটু আতঙ্কে আছি। পুলিশ আমাদের ভালো ভাবেই টেককেয়ার করছে। তবুও একটু আতঙ্ক তো থাকবেই। কারণ কখন কোন ঘটনা ঘটে যায়, বলা তো যায় না। সারা দিনে ২টা ৩টা ট্রিপ মারি, এই দিয়ে আর আমাদের সংসার চলে না। বন্ধন বাসের সুপারভাইজার মো. সুমন বলেন, আগের তুলনায় যাত্রী একেবারেই কম। ১০জন করে যাত্রী দিয়ে বাস ছেড়ে দিতে হচ্ছে। আগের তুলনায় অর্ধেক কমে গেছে। হরতাল ঘিরে এখনো কোন দূর্ঘটার ঘটেনি। তবে যাত্রীরা অনেক আতঙ্কে আছে। হরতাল চলে গেলে আমরা আবার আগের মতো যাত্রী পাবো। অন্যদিকে সাধারণ যাত্রীরা নিরাপদ যাত্রা হিসেবে বেছে নিয়েছে রেলপথকে। হরতালের আতঙ্ক থেকে কিছুটা ঝুকি মুক্ত রেলপথ। নারায়ণগঞ্জ স্টেশনের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন মো. হালিম। তিনি গাজিপুরে যাবেন। কথা হয় এই প্রতিবেদকের সাথে। তিনি জানান, সকালে বের হইছে গাজিপুর যাবো। বিভিন্ন জায়গায় শুনছি বাসে আগুন দিচ্ছে। তাই নিরাপদ হিসেবে ট্রেনে করেই যাচ্ছি। আজ সকালে শুনলাম এখন ট্রেনের মধ্যেও আগুন দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহীনি যদি এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাহরে ভালো আমাদের জন্য। আমাদের কোন চাওয়া নাই। আমাদের একটাই চাওয়া, সেটা হলো শান্তি। আমরা শান্তি চাই ও ভালোভাবে বাঁচতে চাই। নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার কামর”ল ইসলাম খান বলেন, সকাল থেকে যথা সময়ে ট্রেন চলাচল শুরি হয়েছে। হরতালের প্রথম দিনে কোন প্রভাব পড়েনি নারায়ণগঞ্জ ট্রেনের যাত্রায়। তবুও আমরা সর্তক অবস্থানে আছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা