হাবিবুর রহমান বাদল
সাংবাদিক নামধারী ও কিছু অখ্যাত এমন পত্রিকার কার্ডধারী কথিত সাংঘাতিকরা এখন নারায়ণগঞ্জের অন্যতম সমস্য হিসাবে দেখা দিয়েছে। পেশাদার সাংবাদিকরা এ ব্যপারে বারংবার প্রশাসনকে অবহিত করার পরও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এসব কার্ডধারী সাংঘাতিকরা পেশাদার সাংবাদিকদের সুনাম নষ্টসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে চলেছে। চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে অটো রিকশায় স্টীকার ভাড়াসহ সবকিছুই এখন তাদের নাগালে। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, দেশের সর্বত্রই এসব কার্ডধারী সাংঘাতিকদের কারণে পেশাদার সাংবাদিকরা বিভ্রত অবস্থায় পড়েছে এমনটাই মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক। আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা সাংসদ শামীম ওসমান একই অনুষ্ঠানে বলেছেন, এইসব সাংবাদিক নামধারী সাংঘাতিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে সমাজে বিশৃঙ্খলা যেমন বাড়বে তেমনই অপপ্রচার রোধ করা সম্ভব হবে না। নিজের নাম লিখতে জানেনা এমন শত শত সাংঘাতিকের ভিড়ে সাধারণ মানুষ দিন দিন অতিষ্ট হয়ে উঠছে। আর এই সুযোগে থানায় থানায় একাধিক সাংবাদিক সংগঠন নাম দিয়ে চাঁদাবাজি চলছে। গত রবিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর কল্যান তহবীলের চেক বিতরণকালে সাংসদ শামীম ওসমান ও সাংবাদিক নেতা ওমর ফারুক এমনটাই মন্তব্য করেন। পেশাদার সাংবাদিকরা মনে করেন, প্রশাসন কঠোর হলে পেশাদার সাংবাদিকদের কাজ করতে যেমন সুবিধা হবে তেমনই সাধারণ মানুষ অপপ্রচার কিংবা হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পাবে। নামধারী কিংবা কার্ডধারী এসব সাংবাদিক এই সুযোগে গ্রæপিং লবিংয়ের স্বার্থে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য প্রেসক্লাব কিংবা সাংবাদিক ইউনিয়নের মত বৈধ প্রতিষ্ঠানের সদস্য হিসাবে ঢুকে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব একটি ঐতিহ্যবাহী প্রেসক্লাব। জাতীয় পর্যায়ের অধিকাংশ সাংবাদিক এই প্রেসক্লাবের সদস্য। কিন্তু এরা কতিপয় সুযোগ সন্ধানী কর্মকর্তার আশ্রয় প্রশ্রয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য হয়ে পড়েছেন। একই অবস্থা নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নেও দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থার অবসান কল্পে পেশাদার সাংবাদিকদের নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য পদ প্রদান করে নামধারী সাংবাদিকদের সদস্যপদ বাতিল হওয়া জরুরী বলে আমি মনে করি। আর এ অবস্থার অবসান করতে হলে দলমত নির্বিশেষে পেশাদার সাংবাদিকদের ঐক্য এখন অনেকটাই জরুরী। শুধুমাত্র নেতা হওয়ার জন্য অসাংবাদিকদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে আর পেশাদার সাংবাদিকদের বাইরে রেখে এ সমস্যরা সমাধান হবে বলে মনে হয় না। তাই পেশাদার সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই পেশার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে হবে। দল বা মতের অমিল থাকতে পারে, তাই বলে পেশার স্বার্থে কতিপয় নামধারী সাংবাদিক নেতাদের দাপটও অনেকটাই কমে আসবে। আর তখনই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে আসলেই সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন কিংবা রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ব। যার কোনটাই এখন সমাজে বিরাজমান নেই এমনটা আমাদের নিদির্ধায় স্বীকার করতেই হবে। আর এই ঐক্যবদ্ধ নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব থেকে শুরু হলে তা জেলা ও দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। এখনো সময় আছে প্রশাসনের যেসব দুর্নীতিবাজ ঘাপটি মেরে আছে তাদের চিহিৃত করতে হলে পেশাদার সাংবাদিকদের আবেঘ নয় বিবেক দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে অপসাংবাদিকতা। নাম সর্বস্ব কিছু পত্রিকা এবং নিবন্ধনহীন কিছু নিউজ পোর্টালের কথিত সম্পাদক নামধারী ব্যাক্তিরা সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে কার্ড বিক্রি করে মাছ বিক্রেতা কিংবা ড্রাইভার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধীদের সংবাদ পত্রের পরিচয়পত্র বিতরন করছেন এমন অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই উঠে আসছে। আর কার্ডধারী এ ধরনের কথিত সাংবাদিকরা সাংবাদিক পরিচয়ে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে পুরো শহর। পেশাদায়িত্বকে জলাঞ্জলী দিয়ে করে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন অপকর্ম। জেলার বিভিন্ন ভূমি অফিস, থানা, বিআরটি এ কার্য্যালয়ে তাদের পদচারনা লক্ষ্য করা যায়। এমনকি কার্ডধারী কথিত সাংবাদিকরা বিভিন্ন পন্থা দেখিয়ে বø্যাকমেইলিং এবং মাদক ব্যবসাসহ সব ধরনের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। মূলত সাংবাদিক পরিচয়ে তারা এ ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসলেও রহস্যজনক কারনে নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে দায়িত্বশীল কতৃপক্ষ। এদিকে কথিত সম্পাদকদের পয়দাকৃত কথিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন অপকর্মের কারনে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের পেশাদার সাংবাদিকদের। অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া দ্বাদশ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কথিত সাংবাদিকদের দৌরাত্ব লক্ষ্য করা গেছে। কোন ধরনের যাচাই বাছাই ছাড়াই জেলা রিটানিং কর্মকর্তা এবারের নির্বাচনে সহ¯্রাধিক সাংবাদিককে পর্যবেক্ষক কার্ড প্রদান করেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে পেশাদার সাংবাদিকের সংখ্যা কত? জেলা নির্বাচন কমিশনারের এমন দায়িত্বহীনতার কারনে নারায়নগঞ্জে কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এবার অপেশাদার সাংবাদিকদের বিষয়ে মুখ খোলেছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান ও সাংবাদিক নেতা ওমর ফারুক। গত রোববার রাতে এক অনুষ্ঠানে সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, সাংবাদিকতার নামে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে কেউ কেউ। কার বউ কার সঙ্গে চলে যাচ্ছে সেই নিয়ে নিউজ করছে। তাদের নিউজে অনেক ভুল আছে। এই ধরনের সাংবাদিকতা বন্ধ করা উচিত। শামীম ওসমান বলেন, ‘বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মাদক নেই। এই মাদকের সঙ্গে সংযুক্ত আছে রাজনীতিবিদ আর প্রশাসন। যে সাংবাদিকরা এই মাদকের সঙ্গে জড়িত আছেন- আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি তারা একজনও আসল সাংবাদিক না। সাংবাদিকতার নামে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই ধরনের সাংবাদিকতা বন্ধ করা উচিত। সাংবাদিক নেতা ওমর ফাইক বলেন, এখন এমন হয়েছে অনেকে আবার কমিশনে সাংবাদিকতা করেন। যা আমি নিজে প্রত্যক্ষ করেছি।
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯