আজ শনিবার | ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ | বিকাল ৫:০৩

ভুয়া সাংবাদিক আর চাঁদাবাজরা একাকার বিভ্রতকর অবস্থায় পেশাদার সাংবাদিকরা

ডান্ডিবার্তা | ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৩:৩২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র ভুয়া সাংবাদিকের ছড়াছড়ি গাড়িতে প্রেস লিখে করছে চাঁদাবাজি। তারা বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকার জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকে। এতে বিপাকে পড়ছেন পেশাদার সাংবাদিকররা। এছাড়া, তাদের মোটরবাইকেও লাগানো থাকে টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিকার এরা এমনভাবে টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিকার ক্যামেরায় লাগিয়ে নেয় এটা কি টেলিভিশন চ্যানেলের বুঝা বড় দায় এখনত শত শত ইউটিউব টেলিভিশন চ্যানেল বের হয়েছে তা কোনটা আসল আর কোনটা নকল বুঝা বড় দায়। এইসব ভুয়া সাংবাদিকদের ঠাটবাট এমন যে তাদের সাধারণ মানুষ সহজে ধরতে পারেন না। এমনকি পেশাদার সাংবাদিকরাও তাদের দেখে মাঝে মধ্যে বিভ্রান্ত হন। আর ক্যামেরায় জাল স্টিকার লাগিয়ে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করা তাদের পেশায় পরিনত হয়েছে। তাদের আবার শহরে একাধিক স্টিকার ভাড়ায় চলে বিভিন্ন অটো বা মিশুকে। তাদের স্টিকার ভাড়া দিয়ে করা হচ্ছে চাঁদাবাজি। শুধু পুলিশকে উদ্যোগ নিলেই হবে না, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিক ইউনিয়নকে ভুয়া সাংবাদিক চিহ্নিত করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়তো সাংবাদিকদের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাবে আর পেশাদার সাংবাদিকরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়বেন। গণমাধ্যমের কর্মী পরিচয় দিয়ে ভয়াবহ প্রতারণা করছে। তারা পত্রিকায় খবর ছাপানোর ভয় দেখিয়ে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা, এসকল ভূয়া সাংবাদিকদের আখড়া এখন নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র। এতে মূল ধারার সাংবাদিকদের সুনাম ক্ষুণ হচ্ছে। সাংবাদিক পরিচয়ধারী এসব প্রতারকের নানা অপতৎপরতায় থানা পুলিশও অতিষ্ঠ। থানায় অপরাধীদের হয়ে নানা তদবির করাই তাদের কাজ। এ ছাড়া এরা গলায় সাংবাদিক পরিচয়পত্র আর গাড়িতে প্রেস ও সাংবাদিক পরিচয়ধারী এসব প্রতারক চক্র শুধু নামসর্বস্ব পত্রিকার আইডি কার্ড বহনই নয়, এসব পরিচয়পত্র পকেটে রেখে বিভিন্ন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইলের সামনে সাংবাদিক বা প্রেস লেখা স্টিকার লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায় একশ্রেণীর লোকজন। এদের কাজ হলো অবৈধ কারখানা থেকে শুরু করে ফুটপাত এ ২০ থেকে ৫০ টাকার চাঁদাবাজী করা আর রাত হলে থানার গেইটে বিভিন্ন মামলার তদবির করে যা কামানো যায়। বিশেষ করে শত শত নামধারী সাংবাদিকরা দিনের বেলায় সোর্স আর রাতের বেলা বনে যায় সাংবাদিক। অভিযোগ রয়েছে এদের কারনে পুলিশ সদস্যরাও কাজ কর্ম করতে সমস্যার সম্মুখিন হন। নারায়ণগঞ্জে এসব ভুয়া সাংবাদিকদের ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা গেছে। কথিত সাংবাদিক পরিচয় দেয়া এসব ব্যক্তির হাতে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তারা শুধু নামসর্বস্ব পত্রিকা বা অনলাইনের আইডি কার্ড বহনই করেন না বরং তারা নিজেদের মূল ধারার জাতীয় দৈনিক কিংবা টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও মানুষকে জিম্মি করছেন। বেশ কিছু ভুয়া ও অখ্যাত পত্রিকা এবং অনলাইনের সাংবাদিক পরিচয়ে অনেকে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। কারণ, এরা প্রায়ই থানার ভিতরে দারোগাদের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডাবাজিতে মত্ত থাকে। ‘দালাল’ হিসেবে ঘুষ বাণিজ্যে সরাসরি সহায়তা করে, পুলিশের ‘সোর্স’ হিসেবেও তারা বিশ্বস্থ! সাংবাদিক’ পরিচয় দিয়ে নিরীহ লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করছে বলেও বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিক পরিচয়ে এরা ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জমি দখল, দোকানপাট দখল, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়ছে। এই চক্রে বিতর্কিত নারী সদস্যও থাকেন। এরা মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে ‘প্রেস’ কিংবা ‘সংবাদপত্র’ লিখে পুলিশের সামনে দিয়েই নির্বিঘ্নে দাবড়ে বেড়ায়। এদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহন থাকে চোরাই এবং সম্পূর্ণ কাগজপত্রবিহীন। তারা ভূয়া সাংবাদিক আর কথিত সাংবাদিক। এতে করে পেশাদার সাংবাদিকরা আজ নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করেন। অলিতে গলিতে গজিয়ে উঠেছে নাম সর্বস্ব ভূয়া সংগঠন। যার মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সংগঠনগুলোর কারনে ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষ সাংবাদিকের এর উপর থেকে তাদের আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে। পাশাপাশি দেশ ব্যাপী চলছে তাদের কার্ড বাণিজ্য। যাদের সাংবাদিক সম্বন্ধে নূন্যতম জ্ঞানও নেই তাদের হাতে মাত্র এক হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে সাংবাদিক কর্মীর আইডি কার্ড। তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে থানা কমিটি এবং ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে জেলা কমিটি গঠনের অনুমোদনও দেয়া হচ্ছে। তাই এখনই সময় এসেছে পেশাদার প্রকৃত সাংবাদিকরা ঐক্য বদ্ধ হয়ে এদের প্রতিহত করুন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৫৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:১৫
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০২
  • ১১:৪৭
  • ১৫:৩৬
  • ১৭:১৫
  • ১৮:৩১
  • ৬:১৬
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা