ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি মানেই আলোচনা সমালোচনায় গড়া একটি সাংগঠনিক সংসার। ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করার পর থেকেই সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ৩ ভাগের বিভাজনে রয়েছে। তবে বিভক্তির সব কিছুকে ছাড়িয়ে মহানগর বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থ ক্যালেঙ্কারির বোঝাটা যেন দিন দিন বেশ ভারী হতে শুরু করেছে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি অনেকটাই পরিষ্কার মহানগর বিএনপি মানেই টাকার মেশিন। আর সেই টাকার মেশিনের দায়িত্ব যখন আসে নাসিক সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে অর্থ ক্যালেঙ্কারিতে অভিযুক্ত এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেনের হাতে। এ যেন মেঘ না চাইতে মুষলধারে বৃষ্টি। মহানগর বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এক নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, মহানগর বিএনপির কমিটিতে আহবায়ক পদ ভাগিয়ে আনার পর থেকেই খরচাপানির জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করেছেন এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন। কিন্তু সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খানের লাগামহীন ভাষার কাছে বাব বার মুখ থুবড়ে পরেছে তার সব কৌশল। তবে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খানে টিপুকে নিয়েও অর্থ ক্যালেঙ্কারির বিষয় স্থানীয় মিডিয়াতে বেশ আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। বর্তমান সেই অর্থ ক্যালেঙ্কারির বিষয়ে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না থাকলেও, এ বিষয়ে আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত রয়েছেন বেশ এগিয়ে। নাসিক নির্বাচনের ২ কোটি টাকার অভিযোগের উপর কিছুটা জং ধরলেও দলীয় সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীর কাছ থেকে লুফে নিয়েছেন আড়াই লক্ষ টাকা। যদিও সেখান থেকে তার পকেটে ঢুকেছে মাত্র ১ লক্ষ। শুধু তাই নয় এবারের জাতীয় নির্বাচনের পর্বে দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে তার ভূমিকা রহস্য জনক হলেও নিজের অবস্থান থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে থেকেছেন সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তবে সেই আন্দোল সংগ্রামে ভাটা পরে যখন এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হন। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুনা যায় সেই গ্রেফতার নাটকের মহানায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান নিজেই। এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু আটক হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে বেশ ভাটা পরে। আর সেই আন্দোলন সংগ্রামের চাঙ্গা ভাব ফিরিয়ে আনতেই নাকি ২০ লক্ষ টাকা সাখাওয়াত হোসেন খানকে দিয়েছেন নজরুল ইসলাম আজাদ। কিন্তু ব্যর্থ সাখাওয়াত নিজের পকেট ভারি করার জন্য আন্দোলনের সেই ভাটাকে আর জোয়ারে রুপ না দিয়ে পুরো অর্থই রেখেছেন নিজের পকেটে। যার ফলশ্রæতিতে সাখাওয়াতের সভাপতি হওয়ার স্বপ্নে ছাই পরতে শুরু করেছে। কারণ নজরুল ইসলাম আজাদ যখন টাকা দিয়ে ছিলেন তখন তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আর্ন্তজাতিক বিষয়ক হিসেবে। আর বর্তমান তিনি ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক মানে তার হাত দিয়েই মহানগর বিএনপির আগামীর ভবিষ্যত নেতৃত্ব আসবে। তার মানে হলো লোভের কারণেই এ্যাড. সাখাওয়াতের ভবিষ্যত রাজনীতি অনিশ্চয়তার মুখে। যদি আজাদের দেয়া অর্থের ঘটনা সত্যি হয়।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯