ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
শীতল হয়ে আছে ক্ষমতাসীনদের রাজনীতি। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া উপজেলা ও পৌর সভা নির্বাচনে প্রার্থীদের কর্মীদের ছাড়া দলীয় কোন নেতাকর্মীদের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। আড়াইহাজার উপজেলায় এমপি তথা হুইপের নগ্ন হস্তক্ষেপে তার সমর্থিত প্রার্থীকে কলা কৌশলে বিজয়ী করেন। তেমনই রূপগঞ্জে এমপির সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী করে আনেন। কিন্তু সোনারগাঁ ও বন্দরে তার উল্টো ঘটনা ঘটে। এ দুই উপজেলায় এমপিদের সমর্থিত প্রার্থীদের চরম ভাবে ভরাডুবি হয়। সেই সাথে অতি সম্প্রতি কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলায় একাধিক দলীয় প্রার্থী থাকায় নির্বাচনই স্থগীত হয়ে যায়। যদিও চলতি মাসে হওয়ার কথা আছে তবুও নিশ্চিত নয়। সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগে কোন কার্যক্রম বা রাজনৈতিক তৎপরতা চোখে পড়ছে না। সকলেই নিরব হয়ে গেছেন। এদিকে বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজপথে নেমে গেলেও আওয়ামীলীগ এর কোন প্রতিবাদ করছে না। তারা নিরব দর্শকের মত বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি অবলোকন করে যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অন্ত:কোন্দল এর জন্য দায়ি। কর্মীরা বিভিন্ন বলয়ে ভাগ হয়ে যাওয়ায় এখন আওয়ামীলীগের কর্মীরা রাজনীতিতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কর্মীদের অভিমত, সবকিছু খাচ্ছে নেতারা আর ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কর্মীরা। এমন রাজনীতি না করার চেয়ে ঘরে বসে নিরব থাকা উত্তম। বির্তকিত লোকদের কমিটিতে স্থান দেয়া, অযোগ্য লোকদের হাতে নেতৃত্ব দেয়া এসব ত্যাগী নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারছে না। যার কারণে কর্মীরা রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অনিহা প্রকাশ করেছ। বন্দর আওয়ামীলীগের দিকে তাকালে দেখা যায়, বন্দরে এখন আর আওয়ামীলীগ বলতে কিছু নেই। বন্দর আওয়ামীলীগ যেন দাঁড়াতেই পারছে না। আর এজন্য দায়ি বন্দরের শীর্ষ নেতারা। তারা কর্মীদের অবমূল্যায়ন আর নিজের কাছের বা চাটুকারদের বেশী প্রাধ্যান্য ও সুযোগ সুবিধা দেয়ার ফলে বন্দরে আওয়ামীলীগ দিন দিন নিশ্চিহৃ হয়ে যাচ্ছে। এখন যারাই আছে তারা এখন শহর কেন্দ্রীক রাজনীতি করতে পছন্দ করেন। যার কারণে বন্দরে আওয়ামীলীগ অনেক দুর্বল। সোনাগাঁয়ে আওয়ামীলীগ শক্তিশালী থাকলেও তার চেয়ে বেশী শক্তিশালী জাতীয়পার্টি। সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের বির্তকিত নেতারা নেতৃত্বে থাকায় দলীয় প্রার্থীর ভারাডুবি ঘটে। যদিও সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের নেতা বিজয়ী হয়েছেন তথাপি তিনি আওয়ামীলীগ সমর্থিত ছিলেন না। তাতে বরা যায় সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের পরাজয় হয়েছে। এতকিছু ঘটার ও আওয়ামীলীগ জেগে উঠছে না। তাদের রাজনীতি নিরব হয়ে আছে।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯