ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সোনারগাঁয়ে বিএনপি দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। আজারুল ইসলাম মান্নান সভাপতি হওয়ার পর থেকে সোনারগাঁয়ে দলীয় অঙ্গ সংগঠনের কোন কমিটি করতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা হতাশ। আর এ কারণে সোনারগাঁয়ে বিএনপি মাথা তুলে দাাঁড়াতে পারছে না। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন। এই বদলি মান্নানের কারণে আমরা আজ সর্বশান্ত, না পাইলাম ভালো নেতা, না পারলাম ভালো ভাবে রাজনীতি করতে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির কারণে আমরা এমনিতেই কোনঠাসা। মামলা হামলা খেয়ে সর্ব শান্ত। তার ওপর মান্নান আমাদের রাজনৈতিক ভাবে কোন খোঁজ খবর নেয়নি।কোন দিন ডাকেনি। সে তার তোষামোদিদের নিয়ে ব্যস্ত। সে সোনারগাঁয়ে কোন কমিটি গঠন করতে করেনি। বিএনপি মূলধন দল, যুবদল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, কোন কমিটি হয়নি তার এ অপসাশন আমলে। আমরা এই অযোগ্য, অথর্ব, নেতার নেতৃত্ব মানি না। সোনারগাঁয়ে শিক্ষিত, মার্জিত, ভদ্র একজন সভাপতি দেওয়া হোক। আগামী দেশনায়ক তারেক রহমানের কাছে আমাদের এই প্রত্যাশা আমরা বিএনপির রাজনীতি করি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ভালোবেসে, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক, তারুণ্যের শক্তি, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা সোনারগাঁ বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করতে চাই। কিন্তু বাপ ছেলের কারণে, সোনারগাঁ বিএনপি আজ শেষ হতে চলেছে। আমরা তার নেতৃত্ব মানি না, মানবো না, সোনারগাঁয়ে বিএনপিতে বাপ ছেলের অপশাসন আর চলবে না। তা থেকে মুক্তি পেয়ে আমরা সোনারগাঁয়ে বিএনপিকে একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক দল হিসেবে গঠন করতে চাই। সোনারগাঁ বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান নিজেই দলীয় সভাপতি, তার বেয়ারা ছেলে হতে চায় জেলা যুবদলের সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারি হয়ে মান সম্মান সব শেষ করছে। কমিটি বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। তার বেয়াদব পিএস সোনারগাঁ যুবদলের সভাপতি হতে চায়। এক কমিটি ছেড়ে আরেক কমিটিতে লাফালাফি করে, বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের কমিটি যেন, তার বাপ দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি। ওদের এই তিনজনের কারণে সোনারগাঁ বিএনপি সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। প্রকৃত দল প্রেমিক, জিয়া প্রেমিক বিএনপি’র নেতারা মান্নান, সজিব, পিএস সেলিমকে চায় না। তাদেরকে দল থেকে যেন বহিষ্কার করা হয়, চিরদিনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এসব কথা বলেছেন তৃণমূলের প্রকৃত বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। সোনারগাঁ বিএনপির প্রকৃত নেতাকর্মীরা, আজ বড়ই লজ্জা আছে, তারা এত শক্তিশালী একটি সংগঠন হয়েও সোনারগাঁয়ে কোন আন্দোলন সংগ্রাম করতে পারছে না, নতজানু মান্নানের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে। তিনি সোনারগায় আসেন আওয়ামীলীগ নেতাদের ম্যানেজ করে। আওয়ামী লীগের নেতাদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে, পুলিশ প্রশাসনকে টাকা দিয়ে। বর্তমান সরকারের আমলে মান্নান যে কয়টা আন্দোলন করেছে, মিটিং মিছিল করেছে, তার কোম্পানির মেইল ফ্যাক্টরির ভিতরে, তার বাড়িতে, খোলা মাঠে কোন আন্দোলন সংগ্রাম, মিছিল মিটিং করতে পারেন নাই তিনি। মেইল ফ্যাক্টরির ভিতরে, তার নিজের বাড়িতে, আন্দোলন মিছিল মিটিং করতে গিয়েও লক্ষ লক্ষ টাকা প্রশাসনকে, পুলিশকে, আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে দিয়ে, হাতে পায়ে ধরে, নতজানু হয়ে তিনি তার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেন। আর মুখে বলেন, তিনি রাজপথ কাপানো নেতা।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯