ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
এবার বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ নিরব হয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাচনে ভরাডুবির পর বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের আর তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে তারা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচনের আগে অনেক হাক ডাক ও হুমকি ধমকি থাকলেও নির্বাচনের পর তারা মুখ লুকিয়ে ফেলেছেন। তবে উপজেলা নির্বাচনে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়ে বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে বলে বন্দরের অনেকে মনে করছেন। তবে নির্বাচনে ভরাডুবির পর বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে এক রকম হতাশা বিরাজ করছে। দলে নেই কোন কর্মসূচি। আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতেও সভাপতি উপস্থিত হননি। একজন সহসভাপতি দিয়ে নামে মাত্র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেন দায় সারাভাবে। ছিল কোন শীর্ষ নেতা। কর্মীদেরও উপস্থিতি ছিল কম। সব মিলিয়ে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ যেন ব্যাকফুটে চলে গেছে। তবে বন্দর উপজেলায় আওয়ামীলীগের দু’টি অংশ দুই ভাবে রাজনীতি করছেন। একটি অংশ এম এ রশিদের পক্ষে অপরটি কাউন্সিলর সিরাজের পক্ষে। সিরাজের পক্ষে নেতারা সক্রিয় থাকলেও এম এ রশিদের পক্ষের নেতারা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। অনেকে বলছেন নির্বাচনের আগে এম এ রশিদ যে ভাবে হুমকি দিয়েছেন আর বড় বড় কথা বলেছেন তার প্রতিফলন ঘটাতে পারেননি। নির্বাচনে ভরাডুবির পর তিনি নিজেকে লুকিয়ে রেখেন। যেহেতু তিনি বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের পর তিনি বিজয়ী চেয়ারম্যানকে আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া। কিন্তু তিনি দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন। তার পরাজয়ে তার নিয়ন্ত্রনের নেতাকর্মীরা লজ্জায় পড়েছেন। তারা মনে করেছিলেন যেহেতু দল ক্ষমতায় তাই দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নির্বাচনের ফলাফল তাদের পক্ষে নিবেন। ভোটে যাই হোক বিজয় তাদের হবে। এমন মনে করে তারা হুমকি দেয়া শুরু করেন। কিন্তু নির্বাচনে তাদের আশা পুরন হয়নি। উল্টো তাদের হুমকি তাদের উপর গিয়ে পড়েছে। এখন লজ্জায় নিজেদের লুকিয়ে রাখাটাই তারা ভাল মনে করছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। এতে করে হারিয়ে যাচ্ছে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ। যার কারণে দল রক্ষায় একটি পক্ষ মাঠে রয়েছে। তারা চাচ্ছেন নেতৃত্বে পরির্বতন করে হলেও দল রক্ষা করা জরুরী। এক এমএ রশিদের জন্য দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে তা মেনে নেয়া যায় না। তাই আওয়ামীলীগের তরুণ নেতারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দল রক্ষায় মাঠে নেমেছেন।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯