ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
যার আছে তারই সব, যার নেই শুধুই শূন্য তার। নারায়ণগঞ্জে অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের পদ-পদবির ক্ষেত্রে যেন এটিই নিয়ম। বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক পদ পেয়ে বসে আছেন কেউ কেউ। আবার যোগ্যতা থাকলেও সর্বত্র পদবঞ্চিত হচ্ছেন অনেকেই। দল ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের পদ বণ্টনে এমন বৈষম্য দলটিতে নতুন নেতৃত্ব বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। জানা গেছে, ছাত্রলীগের শতাধিক সাবেক নেতা বর্তমানে কোনো পর্যায়ের পদে নেই। আওয়ামীলীগের তৃণমূলের অনেক নেতার অবস্থাও একই। দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হলেও দীর্ঘদিন পদবঞ্চিত থাকায় তাদের অনেকেই হতাশায় ভুগছেন। অথচ দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি গ্রহণ করা হয়। অর্থাৎ, একজন নেতা একটির বেশি পদে থাকতে পারবেন না। এটি পুরোপুরি কার্যকর হলে বঞ্চনার হার অনেক কমে যেত। জানা গেছে, নীতি গ্রহণের পর শুরুর দিকে অনেক নেতা একাধিক পদ ছেড়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে উদাসীনতা তৈরি হয়। ফলে দীর্ঘ সময়েও ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর হয়নি। জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগে পদ পদবী দখলে থাকা অনেক নেতাই দলের অঙ্গসংগঠনগুলের পদ দখল করে রেখেছে। অঙ্গসংগঠনগুলো মেয়াদোত্তীর্ন হওয়ার পরও কাউস্নিলের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। ফলে হতাশ হয়ে রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেক সম্ভাবনাময় নেতৃত্ব। জানা যায়, আওয়ামীলীগ সভানেত্রী দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা যে কোনো মূল্যে ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন। দল পুনর্গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে নেতাদের অনেকেই জেলা বা উপজেলার শীর্ষ পদ ছাড়লেও তৃণমূলের রাজত্ব ধরে রাখতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেন। কোন পদে থাকলে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে, তা নিয়েও অনেকে চিন্তিত হন। অনেকে আবার নিজে দায়িত্ব ছাড়লেও পরিবারের সদস্য অথবা বিশ্বস্ত অনুগতদের জেলার শীর্ষ পদে বসিয়েছেন। জেলা আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন নেতা বলেন, এক নেতা এক পদ নীতি দ্রæত বাস্তবায়ন করা উচিত। তাহলে তরুণ এবং নতুন নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে এবং দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। কারণ একাধিক পদে থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা যায় না। তবে একাধিক পদে থাকা কয়েক নেতা জানান, দলের প্রয়োজনে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের নীতিনির্ধারকরা চাইলে, তখনই পদ ছেড়ে দেবেন। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ হাই বলেন, নারায়নগঞ্জে সিনিয়র অনেক নেতাই একাধিক পদ পদবী দখলে রেখেছেন। ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃতভাবেই হউক না কেন একাধিক পদ দখল করে রাখা নেতারা তাদের পদ পদবী ছাড়তে রাজী নন। এসকল নেতাদের খামখেয়ালীর কারনেই যোগ্যতা থাকা স্বত্তে¡ও এক প্রকার অভিমান থেকেই রাজনীতি থেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। তবে, এক নেতা একাধিক পদ দখল করে রাখা ব্যাক্তিদের তালিকা প্রনয়ন করা হয়েছে। খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ কামনা করা হবে।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলন চলাকালেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের বলতে শুনেছি, কেন্দ্রের নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে মাঠে আছি। ওই সময় অনেকেই ছিলেন বেশ প্রাণবন্ত। অতীতের মতোই অনেকের ভাষ্য ছিল- ‘শেখের বেটি’ থাকতে ভয় নাই। তিনি ‘শেষ রক্তবিন্দু থাকতে লড়ে যাবেন।’ অর্থাৎ ওই সময় তাদের বিশ্বাস ছিল, সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯