ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নাজুক অবস্থায় রয়েছে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের রাজনীতি। দল ক্ষমতায় থাকলেও দলের মধ্যে নেই ঐক্যতা। একে অপরের বিরুদ্ধে করে যাচ্ছে কাঁদা ছুড়াছুড়ি। একে অপরকে ঘায়েল করতে উঠেপড়ি লেগেছে। আর এ ধরনের বিরোধ নারায়ণগঞ্জ আওয়মীলীগের নতুন নয়। বারবার কেন্দ্র এ বিরোধ মিঠাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। গত ২ বছর পূর্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন হয়। কমিটি গঠনের পরপরেই জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজ নিজ বলয় নিয়ে বিভক্ত হয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। একইভাবে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন হাই ও বাদল। যদিও কমিটি গঠনের শুরুতেই মনে করা হয়েছিলো যে, জেলা আওয়ামীলীগের কমিটি শামীম ওসমানের একক নিয়ন্ত্রণে গঠিত হয়েছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র দেখা যাচ্ছে ভিন্ন। হাইয়ের নেতৃত্বে আইভী বলয়ের কর্মকান্ডে নেতাকর্মীদের উপস্থিতির সংখ্যা বেশি। যেখানে বাদল বলয়ে ভাটা। কমিটি গঠনের সম্মেলনের দিন ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে হাই ও বাদলকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘সারাদেশে কে কি করে সব জানি। ভালো হয়ে যান। কমিটি করতে ভাগাভাগি করবেন না।’ তবে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদকের এমন নির্দেশনার এক সপ্তাহ না যেতেই জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই ভাগ হয়ে যান। শহীদ বাদল নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের বলয়ে রাজনীতি করেন। তিনি শামীম ওসমানের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। এদিকে মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী শামীম ওসমানের বিরোধী হিসেবে পরিচিত। নেতাকর্মীরা জানান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শামসুজ্জোহার কবরে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সেদিন সভাপতি আব্দুল হাইকে সঙ্গে দেখা যায়নি। তবে মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা সহ এমপি শামীম ওসমানের অনুগামী নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন। এরপর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে মহান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। হাইয়ের শ্রদ্ধা জানাতে এখানে আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলকে দেখা যায়নি। তবে আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, সাবেক সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বাবলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান বাচ্চু, আরজু রহমান ভূঁইয়া, সিকদার গোলাম রসুল, মো. ছানাউল্লাহ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ইকবাল পারভেজ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুন্দর আলী সহ জেলা আওয়ামীলীগের বিগত কমিটির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। এখানে বেশির ভাগ নেতাকর্মীরা এমপি শামীম ওসমানের বিরোধী হিসেবে পরিচিত। তবে আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো কয়েক ঘন্টা পর শহীদ বাদলও তার অনুগামী হাতে গোনা কয়েকজন নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বাদলের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবু জাফর চৌধূরী বিরু। এ দুউ নেতা পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন। এভাবে দীর্ঘ দিন ধরে নিজেদের মধ্যে বিরোধ চলায় বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলন চলাকালেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের বলতে শুনেছি, কেন্দ্রের নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে মাঠে আছি। ওই সময় অনেকেই ছিলেন বেশ প্রাণবন্ত। অতীতের মতোই অনেকের ভাষ্য ছিল- ‘শেখের বেটি’ থাকতে ভয় নাই। তিনি ‘শেষ রক্তবিন্দু থাকতে লড়ে যাবেন।’ অর্থাৎ ওই সময় তাদের বিশ্বাস ছিল, সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯