ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সংবাদপত্রকে সমাজের দর্পন আর সাংবাদিককে জাতির বিবেক বলা হলেও নারায়ণগঞ্জে এ প্রেক্ষাপট সম্পূর্ন ভিন্নচিত্রে। জেলায় প্রায় আড়াইহাজারের অধিক পরিমানে সাংবাদিক থাকলেও তারা বেশীরভাগই এ পেশাকে বিভিন্ন অপরাধমুলক কাজে জড়িয়েছে। বিভিন্ন পেশা থেকে এসে সাংবাদিক বনে গিয়েই শুরু করে তাদের অপরাধকর্ম। এ পেশাটি সহজলভ্য হিসেবে রুপান্তরিত করে সাংবাদিকতার আড়ালে মাদক ব্যবসা,বøাকমেইলিং এবং পুলিশের সোর্সের কাজেও নেমেছে সাংবাদিক রুপী কিছু অপরাধীরা। শহর ও শহরতলীতে ব্যাপক তথ্যানুসন্ধানে জানা যায় যে, সাংবাদিক নামটি ব্যবহার করে প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের সাথে সুসর্ম্পক তৈরী করেই তারা টাকার প্রতি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। বিভিন্ন নামে বেনামে পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালের পরিচয় দিয়ে মাঠ দাপড়িয়ে বেড়ানো উক্ত সাংবাদিকদের প্রধান কাজই হলো সাধারন মানুষকে হয়রানী করে টাকা উপার্জন করা। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিষয়ে বিভিন্ন এলাকায় সাংবাদিক পরিচয়ে উক্ত অপরাধীরা নিজেদেরকে পুলিশের সাথে থেকেই চালাচ্ছে বিভিন্ন অপরাধ। এরা বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নিজেদেরকে কখনও পুলিশ ও ডিবি পরিচয়ে সাধারন মানুষের সাথে বøাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কয়েকমাস পুর্বে ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকা ও দেওভোগ এলাকায় এরুপ ঘটনা ঘটলে তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলেও সাংবাদিক পরিচয়ে এরা রক্ষা পেয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আনাচে-কানাচে ঘুরে ঘুরে কোথায় কি অপরাধ হচ্ছে তা খুজে বের করা মাত্রই অভিযান চালাচ্ছে উক্ত নামধারী সাংবাদিকরা। আবার বর্তমানে পুলিশের সাথে থেকে সোর্সের কাজ করাটাও যেন তাদের জন্য অবধারিত হয়ে পড়েছে। থানা কিংবা ডিবিপুলিশের সাথে কন্ট্রাক করেই এরা মাদক বিক্রেতাদের আটক করাচ্ছে এবং তাদেরকে আবার উক্ত আটকের পরিবারের সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে আনছে উক্ত সাংবাদিকরুপী সোর্সরা। জেলার সর্বত্রই এ নামধারী ব্যক্তিদের কারনেই নাকি সাংসদ শামীম ওসমান মাদকবিরোধী প্রত্যাশা সংগঠনটি সফলতার মুখ দেখতে পারছেনা এমনটাই দাবী প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় বসবাসকারীদের। কারন প্রতিটি পাড়া-মহল্লাতে কোন চিহিৃত মাদকব্যবসায়ীদেরকে মাদকসহ থানা পুলিশ কিংবা গোয়েন্দা পুলিশ আটক করলেই উক্ত গুনধররা তাদের স্বজন পরিচয় দিয়ে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকেই আটক মাদক ব্যবসায়ীদেরকে ছাড়িয়ে রাখছেন। এ ক্ষেত্রে অনকেটাই নিরুপায় হয়ে যায় পুলিশ। কারন পুলিশ যদি উক্ত গুনধরদের কথা না রাখে তাহলেই শুরু হয় পুলিশের বিরুদ্ধে বিষোধগার। সম্প্রতি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ দিয়ে কয়েকজন গুনধর ফতুল্লায় সজল নামে এক মাদক বিক্রেতার বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে মাদক বিক্রেতা সজল না পেয়ে তার ঘরে তল্লাশী চালিয়ে সজলের এনআইডি কার্ড নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উক্ত এনআইডি কার্ড সজলকে পেতে হলে মোটা অংকের টাকাও গুনতে হয়েছিলো। উক্ত মাদক বিক্রেতা সজল এখন সেই ডিবির দারোগা সোর্স হিসেবে কাজ করছে। ফতুল্লা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে উক্ত ডিবি দারোগা দিয়ে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করিয়ে ৫০ হাজার টাকা নেয় সেই গুনধররা। পরে দারোগা সাহেবকে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে বাকী ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন উক্ত গুনধর সাংবাদিকরা। এছাড়া বর্তমানে উক্ত এলাকার মাদক বিক্রেতারা উক্ত গুনধরদের ভয়ে ভীতস্থ। কারন টাকার জন্য এরা যে কোন সময়ে যেকোন মানুষকেই বিপদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এভাবেই পুলিশকে বিতর্কিত করে নিজেরা টাকা কামানোর জন্য পুলিশকে ঢাল হিসেবেই ব্যবহার করছে কথিত এ গুনধররা সাংবাদিকরা দাবী আপামর সাধারন মানুষের। যার ফলে মাদকসহ আসামী গ্রেফতার কিংবা উদ্ধার নিয়েও পুলিশের প্রতি সাধারন মানুষের বিরুপ প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি করাচ্ছে উক্ত গুনধররা। পাশাপাশি সাংবাদিকের এ পেশা কলুষিত করে তুলছে এ সকল সোর্সরুপীরা। যার ফলে সাংবাদিকের প্রতি সাধারন মানুষের যে সম্মানটুকু রয়েছে তাও বিলিন করে তুলছে তারা। ফতুল্লাসহ পুরো জেলাই এখন মাদকের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে। পুলিশের একাধিক সংস্থা যখন মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আটক করতে তৎপরতা দেখাচ্ছে ঠিক সেখানে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে সাংবাদিকরুপী এ সকল সোর্সরা। কারন সর্ম্পকের সুত্রে অনেক পুলিশ সদস্য অভিযানের বিষয়টি তাদের সাথে শেয়ার করার ফলে মাদক বিক্রেতাদেরকে আটক করতে গিয়ে সফল হচ্ছেনা পুলিশ। কারন উক্ত গুনধর সোর্সরাই নাকি অনেকাংশে মাদক স্পটগুলো নিয়ন্তন করে থাকেন বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়। বিভিন্ন মাদক স্পটগুলোর কাছ থেকে তারা নিয়মিতভাবে মাসোহারা নিচ্ছেন। যার ফলে মাদক বিক্রেতাদেরকে পুলিশ আটক করলে বাজ পাখির মত উড়াল ঘটনাস্থলে হাজির হচ্ছেন উক্ত ব্যক্তিরা। পরে পুলিশের সাথে দর কষাকষির মাধ্যমেই তাদেরকে মুক্ত করে থাকেন। মাদক উদ্ধারে পুলিশের কাজে এভাবে প্রতিনিয়ত বাধা প্রদান হওয়ায় থানার অফিসার ইনচার্জরাও ক্ষুদ্ধ উক্ত সাংবাদিকরুপী সোর্সদের উপর। সাংবাদিক নাম ব্যবহার করে যেসকল অপরাধীরা পুলিশের সোর্সের কাজ ও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে একাট্রা হওয়ার আহবান জানান প্রকৃত সংবাদকর্মীরা। জেলার ফতুল্লা থানা এলাকাকে মাদকমুক্ত করতে এবং সাংসদ শামীম ওসমানের প্রত্যাশা সংগঠনের সফলতার জন্য চিহিৃত মাদক বিক্রেতাসহ সাংবাদিক নামধারী এ সকল সোর্সদের চিহিৃত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী সর্বস্তরের সাধারন মানুষের।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলন চলাকালেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের বলতে শুনেছি, কেন্দ্রের নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে মাঠে আছি। ওই সময় অনেকেই ছিলেন বেশ প্রাণবন্ত। অতীতের মতোই অনেকের ভাষ্য ছিল- ‘শেখের বেটি’ থাকতে ভয় নাই। তিনি ‘শেষ রক্তবিন্দু থাকতে লড়ে যাবেন।’ অর্থাৎ ওই সময় তাদের বিশ্বাস ছিল, সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯