ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর আওয়ামীলীগে শনি ভর করেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আওয়ামীলীগ নেতারা। অধিকাংশ আওয়ামীলীগ নেতা চাচ্ছেন নতুন নেতৃত্ব। পুরনোদের হাতে আওয়ামীলীগ নিরাপদ নয় এমন অভিমত ত্যাগী নেতাদের। বন্দরে আওয়ামীলীগ সঠিক নেতৃত্বের অভাবে ছন্নছাড়া। বর্তমান নেতা কর্মীদের কথা না ভেবে নিজের চিন্তা করায় ধীরে ধীরে কর্মীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দলের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। তাই বন্দরে আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন নেতা বানানোর পরিকল্পনা করছেন। এনিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। আজ সোমবারও তাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠকে স্থান পাচ্ছে বর্তমান সভাপতি এম এ রশিদ বিরোধীরা। রশিদকে হটিয়ে তারা নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করে দলকে চাঙ্গা করতে। আর এ জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একাধিক প্রার্থীর কথা শুনা যাচ্ছে। তারা সকলে বসে ঐক্যমতের ভিত্তিতে নতুন করে খসরা কমিটির তালিকা করে কেন্দ্রে ও জেলা কমিটির কাছে জমা দিবেন বলে যানা গেছে। এ থেকে বাদ পড়ছেন এম এ রশিদ পন্থিরা। যদি তারা তাদের কাতারে ফিরে আসে তবে পরবর্তিতে তাদেরও দলে স্থান দেয়া হবে বলে সূত্র জানায়। এদিকে নির্ভরযোগ্য এক সূত্র থেকে জানা যায়, এম এ রশিদ বিরোধীরা ইতিমধ্যে জেলা কমিটির সাথে আলোচনা করেই নতুন কমিটি গঠনে হাত দিয়েছে। তবে বিষয়টি অতি গোপন ভাবে করা হবে। কমিটি জমার পর তারা তা প্রকাশ করবে। নেতাকর্মীদের চরম ক্ষোভ থেকে এম এ রশিদের অহমিকার কারনে নেতা কর্মীরা এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে তারা জানান। নেতা কর্মীরা বলেন, আওয়ামীলীগ এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় আর এখন যদি আওয়ামীলীগের এ দুরবস্থা হয় তবে লজ্ঝা ছাড়া কিছুই নয়। আর এজন্য দায়ি নেতৃত্ব দানকারী নেতাদের। যারা দলকে সুসংগঠিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা নিজেদের আখের গুছাতে ব্যস্ত থাকায় কর্মীরা বছরের পর বছর অবহেলিত। তাই তারা দলকে রক্ষার জন্য এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। তারা বলেন, একজন রশিদ দল থেকে জড়ে গেলে দলের কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু দলের অধিকাংশ নেতা অবহেলিত হলে দলের জন্য চরম বিপর্যয়। আর এর জন্য নেতা এম এ রশিদ। তার নেতৃত্ব দেয়ার মত অভিজ্ঞতা নেই। যদি থাকতো তবে দলের আজ এ অবস্থা হতো না। দেখা গেছে বন্দরে আওয়ামীলীগের এমপি নেই, উপজেলা চেয়ারম্যান নেই। অধিকাংশ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নেই। শুধু তাই নয় সিটি করপোরেশনের অধিনে বন্দরে ৯টি ওয়ার্ডেও ২জন ছাড়া আর কোন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর নেই। আর বিপর্যয়ের জন্য নেতৃত্বর অভাবই বড় বাধা হয়েছে। আজ যদি নেতা শক্তিশালী ও সাংগঠনিক হতেন তবে বন্দরে আওয়ামীলীগের এ চরম দুর্দশা হতো না। তাই তারা আওয়ামীলীগ রক্সায় নতুন ভাবে পদক্ষেপ নিয়েছেন নেতারা।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলন চলাকালেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের বলতে শুনেছি, কেন্দ্রের নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে মাঠে আছি। ওই সময় অনেকেই ছিলেন বেশ প্রাণবন্ত। অতীতের মতোই অনেকের ভাষ্য ছিল- ‘শেখের বেটি’ থাকতে ভয় নাই। তিনি ‘শেষ রক্তবিন্দু থাকতে লড়ে যাবেন।’ অর্থাৎ ওই সময় তাদের বিশ্বাস ছিল, সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯