তহসিলদার আতাউরের ঘুষ বানিজ্য তুঙ্গে

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মদনগঞ্জ তহসিল অফিসের তহসিলদার আতাউরকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে বলে প্রতিয়মান হচ্ছেনা। পূর্বের ন্যায় এখনো দেদারছে চলছে ঘুষ বানিজ্য। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় আতাউর রহমান নানা কৌশলে সাধারন মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অনৈতিক ভাবে কামিয়ে নিচ্ছে অবৈধ টাকা। নামজারি খাজনাসহ নানা প্রয়োজনে তহসিল অফিসে গেলে উৎকোচ ব্যাতিত কোন কাজই হচ্ছেনা। নিয়ম মেনে রেজিষ্ট্রির পর নামজারি করতে গেলে তহসিলদার আতাউরের কাছের লোকজন নানা কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে থাকে। যদি কোন ব্যাক্তি তাদের ছলচাতুরীকে অগ্রাহ্য করে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে নামজারির জন্য নথি জমা দেয় তখন তহসিল অফিস থেকে তদন্তের নামে কালক্ষেপন করে উক্ত ফাইলটি খারিজ করে দেয়। ভুক্তভূগি ব্যাক্তি একান্ত বাধ্য হয়ে তাদের দাবীকৃত টাকা পরিশোধ করে জমির নামজারি করাতে বাধ্য হয়। মদনগঞ্জ তহসিল অফিসের তহসিলদার এলাকার মানুষ হওয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে নানা জনকে হয়রানী করে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, তহসিলদার আতাউরের বাড়ি বন্দর চৌধুরী বাড়ি ঝাউতলা হওয়ায় তার দাপটে আমরা কোনঠাসা। ন্যায়নীতি বিবর্জিত ভাবে টাকা কামানোই তার একমাত্র নেশা। খোজ নিয়ে জানা যায়, তহসিলদার আতাউর ছাত্র জীবনে জামাত শিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। বিএনপি সরকার আমলে সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ পান। স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলেও টাকার জোরে কতিপয় অসৎ কর্মকর্তার বদৌলতে এই সকল কর্মকর্তারা আজও বুক ফুলিয়ে কামিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। জানা যায়, উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে নামজারি খারিজ করে টাকার বিনিময়ে কাজ করে তহসিলদার আতাউর ইতিমধ্যেই আলোচনায় এসেছেন। সাধারন ভূক্তভূগি মানুষ অসৎ এই সকল তথাকথিত সরকারি কর্মকর্তাদের অপহাত থেকে মুক্তি চায়। উচ্চ মহলের চোখের অন্ধত্ব থেকে মুক্ত হলেও বলিষ্ট পদক্ষেপ নিলে সাধারন মানুষ হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে পারে। এ ব্যপারে তহসীলদার আতাউরেরমোবাইলে ফোন তিনি রিসিভ করেননি।