ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সরকার বিরোধী একের পর এক আন্দোলন চালিয়ে আসছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার পরও একের পর এক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে এখন হযবরল অবস্থা বিরাজ করছে। এখানকার বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে রীতিমতো মারামারিতে জড়াচ্ছেন। এ নিয়ে হতাশ দলটির সাধারণ নেতাকর্মী; ক্ষুব্ধ হাইকমান্ডও। এই সময়ে নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরোধ দলকে দুর্বল করা ছাড়া আর কিছু নয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে, বিষয়টিকে অন্য ভাবে দেখছে শীর্ষ পর্যায়ের ওই নেতারা। তাদের মতে, ভুল বোঝাবুঝি থাকতে পারে, কিন্তু বিরোধ নেই। জানা গেছে, ডজনখানেক নেতার দিকনির্দেশনায় পরিচালিত হয় নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। তারা সকলেই বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন অথবা ছিলেন। তাদের প্রত্যেকের রয়েছে বিশাল কর্মী বাহিনীর পাশাপাশি কেন্দ্রে ভালো পরিচয়ও। তাদের মধ্যে কয়েকজন হলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দীপু ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামানের, মহানগর বিএনপির আহŸায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু প্রমুখ। জানা যায়, বর্তমানে মহানগর বিএনপির কর্তৃত্ব আহŸায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর হাতে। মহানগরের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের কমিটিতে স্থান পাওয়ার বিষয়েও তাদের অনুসারীরাইিএগিয়ে থাকে। অন্য দিকে, দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরও বিএনপির বিদ্রোহী গ্রæপের নেতৃত্ব রয়েছে মহানগর বিএনপির মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ও মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দু সবুর খান সেন্টু। মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তাদের মাঝে বাড়তে শুরু করে দূরুত্ব। যদিও শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থকে বহিষ্কার করা হয়েছে আতাউর রহমান মুকুলকে। তবুও দল ফেরার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। এমনকি মহানগর বিএনপির বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রনও তিনি করে আসছেন। খোজঁ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলেই হয়ে থাকে। আর এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে বর্তমান জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সাথে। যা এখণ অনেকটা ওপেন সিক্রেট। যার কোরণে জেলা বিএনপির তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অনেকটা আলাদা ভাবে কর্মসূচি পালন করছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ সাবেকরা অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নেতৃত্বে রাজনীতিতে সক্রিয়। আর বর্তমান কমিটির অনেকেই গিয়াসউদ্দিন এর সাথে। জেলার শীর্ষ এই দুই নেতাকে অনেক সময় একে অপরে বিরুদ্ধে তিকর্য বক্তব্য দিতেও শোনা গেছে। এছাড়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে অনেকটা প্রভাব রয়েছে রূপগঞ্জের দুই বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দীপু ও কাজী মনিরুজ্জামানের। তারা দুইজনেই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। এই দুই নেতার মধ্যকার বিরোধও বাড়ছে দিন দিন। বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা বললেও, তলে তলে জনসম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে এই দুই নেতা। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে এই দুই নেতার আস্থাভাজনরা মনোনয়ন চাইবেন, যাতে কোন সন্দেহ নাই। আর এসব বিষয় নিয়ে তাদের সমর্থকেরাও প্রায় বিরোধে জড়ায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও খোদ বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতে, এমন সময়ে এসে দলে দ্ব›দ্ব ক্ষতিকর। এতে, দলের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে তৃণমুল কর্মী ও সাধারণ জনগনের আস্থা। এখন এগুলো না মিটলে সামনে আরও ক্ষতি হতে পারে।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯