কাশীপুরে সুরুজ হত্যাকারীদের ফঁসির দাবিতে সমাবেশ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সুরুজ মিয়া হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কাশীপুর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়। ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম আহাম্মদ এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী। ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন কবিরের সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সাত্তার, ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা নাজমুল আলম সাজন, কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শামিম আহাম্মেদ, নিহতের পুত্র যুবলীগ নেতা মুন্না মিয়া, কাশীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খলিল প্রমূখ।এসময় নিহতের পুত্র মুন্না মিয়া বলেন, কি অপরাধ ছিল আমার বাবার? হীরা-সাল্লু একজনের কাছে চাঁদা চেয়েছিল, আমার বাবা এটার প্রতিবাদ করেছিল। যার কারনে তাকে জীবন দিতে হলো। আমার দুই ভাই এখনো হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। আমরা জানি হীরা-সাল্লুদের লালন-পালন করে। হোন্ডাবহর নিয়ে কারা ঘুরে। তাদের অফিসে কারা মিটিং করেছিল। সকল ফুটেজ আমাদের হাতে আছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হীরা-সাল্লুর ক্রসফায়ার দাবি করছি। তিনি আরো বলেন, আজকে এখানে প্রতিবাদ সভা হচ্ছে। যখন ওরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছিল, তখন যদি এমন প্রতিবাদ হতো তাহলে আমার বাবাকে জীবন দিতে হতো না। যদি আমি ন্যায্য বিচার না পাই, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিতে আমিও সন্ত্রাসী হয়ে যাবো। আমাদের কাশীপুরের রাজনৈতিক অভিবাবক শ্রদ্ধেয় এম সাইফুল্লাহ বাদল অসুস্থ্য শরীরেও সার্বক্ষনিক আমার ও আমার পরিবারের খোঁজ-খবর রাখছেন- এটার আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। কাশীপুরের যুব সমাজের আইকন ও আমার রাজনৈতিক গুরু নাজমুল হাসান সাজনকে নিয়ে যারা টানাটানি করছেন- তারা আমার বাবার মূল হত্যাকারী। সুতরাং আপনারা সাবধান হয়ে যান। আপনারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করবেন না। সাজন কাকা আমার পরিবারের অভিবাবক।