ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
কোটা আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের এক ধরনের নীরবতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই কথা বলেছেন। বিশেষ করে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রতিদিনই তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে যে সমস্ত কথাবার্তা বলছেন তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং দায়িত্বশীল। এবং সরকারের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে। কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী। তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে চমৎকার ভাবে সার্বিক বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছেন। জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও কোটা আন্দোলন নিয়ে কথা বলেছেন। কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। কিন্তু কোটা আন্দোলনের বিষয়টি শুধু সরকারের বিষয় নয়, এটি একটি রাজনৈতিক বিষয়। এতে একটি রাজনীতিকরণ ঘটেছে। এবং এই রাজনীতিকরণের ফলে এর একটি রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে। কোটা সংস্কার নিয়ে এখনও পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরকে নীরব দেখা যাচ্ছে। হেভিওয়েট নেতারা কোটা আন্দোলন নিয়ে তেমন কোনও কথা বলছেন না। আওয়ামী লীগের জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলেন আমির হোসেন আমু। আমির হোসেন আমু এখন পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে মুখ খোলেননি। তাকে কোনও কথাও বলতে দেখা যায়নি। অথচ একটা সময় ছাত্রলীগের মধ্যে তার বিপুল প্রভাব ছিল। জাতীয় পর্যায়ে তার একটা পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা রয়েছে। কোটা আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং আরেক হেভিওয়েট নেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীকেও। মতিয়া চৌধুরী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন কিন্তু কোটা আন্দোলন নিয়ে তার মধ্যে এক ধরনের নীরবতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমকেও এখন পর্যন্ত কোটা আন্দোলন নিয়ে কোনও কথা বলতে দেখা যায়নি। কথা বলেননি আওয়ামী লীগের আরেক নেতা তোফায়েল আহমেদও। তবে তোফায়েল আহমেদের পারিবারিক সূত্র বলছে, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। এমনি নিজেকে রাজনীতি থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। তাই তার বিষয়টি হয়তো সহানুভূতির সঙ্গে দেখা যায়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে যারা মন্ত্রী হয়েছেন, তাদেরকেও কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ছাড়াও প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক কোটা সংস্কার নিয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে এখন পর্যন্ত কথা বলেননি। অথচ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন সংকট সৃষ্টি হয়েছে, সেই সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে কোনও রকম কথা বলতে দেখা যাচ্ছেনা। কথা বলছেন না আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও। তবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে বাহাউদ্দিন নাছিম কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সরব রয়েছেন। বিভিন্ন ফোরামে তিনি কথা বলছেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন যে, ছাত্রলীগ যেমন অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভাবে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন তেমনি যুবলীগ সহ অন্যান্য সংগঠনগুলোরও কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে কথা বলা উচিত। কোটা নিয়ে যারা বিভ্রান্তি তৈরি করছে সেই বিভ্রান্ত দূর করার জন্য জনপ্রিয় নেতাদের কথা বলা উচিত। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা যাদেরকে পছন্দ করেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা পরিচিত তাদের এ নিয়ে প্রকৃত তথ্য শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরার দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালনে এখন পর্যন্ত আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে।
ই-২৬ পি-১ কলাম-১
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলন চলাকালেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের বলতে শুনেছি, কেন্দ্রের নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে মাঠে আছি। ওই সময় অনেকেই ছিলেন বেশ প্রাণবন্ত। অতীতের মতোই অনেকের ভাষ্য ছিল- ‘শেখের বেটি’ থাকতে ভয় নাই। তিনি ‘শেষ রক্তবিন্দু থাকতে লড়ে যাবেন।’ অর্থাৎ ওই সময় তাদের বিশ্বাস ছিল, সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯