আজ বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১ | ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ | সকাল ৮:১৩

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করা ঠিক নয়: কাদের

ডান্ডিবার্তা | ১৫ জুলাই, ২০২৪ | ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করা ঠিক নয়। এটা আমাদের আবেগের জায়গা। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তাদের জন্য ভাতাসহ বিভিন্ন সহায়তার ব্যবস্থা করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে দল করার কথা এরশাদ সাহেব ভাবেননি। এখন লাঠিয়াল বাহিনী বানানোর চেষ্টা চলছে।’ গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার বিকালে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জিএম কাদের বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে। ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিদের বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতেই আমাদের মুক্তি সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিরা আমাদের মধ্যে একটি এলিট শ্রেণি তৈরি করে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল।’ ‘এখন আওয়ামী লীগ এসে যা করেছে, তাতে একদিকে আওয়ামী লীগ আরেক দিকে দেশের জনগণ। ভাষাকে ব্যবহার করে পাকিস্তানিরা বৈষম্য সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তার প্রতিবাদেই একুশে ফেব্রæয়ারি জীবন দিয়ে আমাদের ভাইয়েরা বৈষ্যমের প্রতিবাদ করেছিল। আমাদের শহীদ মিনার হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করার প্রতীক।’ তিনি উল্লেখ করেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আইন করে সর্বস্তরে বাংলা প্রচলন নিশ্চিত করেছিলেন। স্বাধীনতার চেতনা ছিল বৈষম্যমুক্ত নিজেদের একটি দেশ। বৈষম্যহীন একটি নিজের রাষ্ট্র— যেখানে ন্যয়বিচারভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। জিএম কাদের বলেন, ‘চাকরিতে স্বল্প সংখ্যক কোটা থাকতে পারে অনগ্রসর ও প্রতিবন্ধীদের জন্য। অনগ্রসর বা আমাদের সঙ্গে যারা সমান তালে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না, তাদের জন্য স্বল্প সংখ্যক কোটা থাকতে পারে। সেটা প্রথম ও দ্বিতীয় নয়, সব শ্রেণির জন্য কার্যকর করা উচিত।’ ‘বিচার বিভাগের প্রতি আমাদের আস্থা আছে, আমরা আস্থা রাখবো। আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন, চিরদিন তারা ক্ষমতায় থাকবে না। রাষ্ট্রের সুযোগসুবিধা আগামী প্রজন্মের জন্য সমতার ভিত্তিতে নিশ্চিত করতে হবে।’ এরশাদ সম্পর্কে জিএম কাদের বলেন, ‘পল্লীবন্ধু সারাজীবনই নিয়োজিত ছিলেন জনগণের কল্যাণে। ছোটবেলা থেকেই তিনি অত্যন্ত দুরন্ত ও মেধাবী ছিলেন। ছাত্রজীবনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতেন। একইসঙ্গে সাহিত্য চর্চায়ও তিনি আগ্রহী ছিলেন। ছাত্রজীবনে সাহিত্য ম্যাগাজিন সম্পাদনা করতেন তিনি। তিনি যেখানেই ছিলেন সবাই তাকে এক নামে চিনতেন।’ ‘সেনাবাহিনীতেও একদিকে কৃতি খেলোয়াড় ছিলেন। একইসঙ্গে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ক্ষমতা হস্তান্তর করলেন, আর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তখন শুধু বিএনপি’র কিছু সংখ্যক নেতা ছাড়া সব রাজনৈতিক দল ও আপামর জনগণ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। জনগণ আনন্দ উল্লাস করেছিল।’ ‘তখন আওয়ামী লীগের মুখপাত্র দৈনিক বাংলার বাণী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্বাগত জানিয়ে শিরোনাম করেছিল। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এটা ছাড়া আর কোনও গতান্তর ছিল না। তখনকার আইন অনুযায়ী এটা হয়তো বৈধ ছিল না। একটা দেশের মালিক যদি জনগণ হয়, সে দেশের মালিকের প্রত্যাশা পূরণ যদি কোনও আইনে অবৈধ হয়, তাহলে সেই আইনটি ভুল। সেই আইনটি সঠিক আইন নয়।’ জাপা চেয়ারম্যান যোগ করেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে যে আইনে সেটি হচ্ছে প্রজাতন্ত্রের আইন। এরশাদ চার বছর দেশ পরিচালনার পরে নির্বাচন দিয়েছিলেন। এই সময় তিনি দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়েছিলেন। তার সময় আইনের প্রতি হস্তক্ষেপ করা হতো না। আইনের চোখে সবাই সমান ছিল।’ তিনি বলেন, ‘১৯৮৬ সালে তিনি নির্বাচিত হলেন। তখন বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দেশ পরিচালনার সময়কে দেশের মানুষ স্বর্ণযুগ মনে করে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ছিল, ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল। জনগণের কল্যাণে যা যা দরকার ছিল, তিনি তা করেছিলেন। জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তিনি সব কাজ করতেন। তিনি ছিলেন গণতন্ত্রমনা, জনগণের প্রয়োজনে সব দাবি পূরণে তিনি কখনও কার্পণ্য করেননি। উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে কোথাও যেন দুর্নীতি না হয়, সে ব্যাপারে সোচ্চার ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:২৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৮:০৬
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৩২
  • ১১:৫৭
  • ১৬:১৯
  • ১৮:০৬
  • ১৯:২০
  • ৫:৪৪
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024