ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বিএনপির রাজনীতি করে আগের মতো সাহস পাচ্ছেন না নেতাকর্মী। কেন্দ্রীয় নেতাদের ইশারায় অদক্ষ ও দুর্বল নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত হয় কমিটি। নিষ্ক্রিয়রা কমিটিতে নাম লিখিয়ে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীকে করে ফেলেন ‘বোতলবন্দি’। এমন অবমূল্যায়নে দলের অনেকেই হতাশ ও ক্ষুব্ধ। দীর্ঘদিন ধরে আহŸায়ক কমিটির উপরেই বর করে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে মহানগর বিএনপি। ফলে সরকারবিরোধী আন্দোলনে আগেই ফেল মেরেছেন মহানগরের নেতারা। দায়িত্বশীল নেতাদের অকার্যকর ভূমিকা, কর্মীর পাশে না দাঁড়ানো এবং সমন্বয়হীনতায় জাতীয় নির্বাচনের পর দলে বড় ধরনের তালগোল পেকেছে। পাশাপাশি মামলা-হামলা মোকাবিলা করতে করতে একরকম ‘কুপোকাত’ দলটির কর্মীরা। এর মধ্যেই দলটির ঘরোয়া বিবাদ আরও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে গেছে। অভিযোগ আছে, এ দলাদলিতে আশকারা দিচ্ছেন খোদ কেন্দ্রীয় নেতারাই। নেতাকর্মী জানান, কারাবন্দি হওয়ার পর তাদের মামলা পরিচালনা থেকে শুরু করে চিকিৎসা, কারাগারের খরচ– সবকিছু বহন করতে হয়েছে পরিবারকে। এতে ত্যক্ত-বিরক্ত অনেকে রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়েছেন। রাজনীতি করে আর ‘রাজা’ হতে চাইছেন না তারা। অন্যদিকে, বিএনপির অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সামনে রেখে অনেক হতাশ কর্মী নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করেছেন। অনেকে নিজের ব্যক্তিগত আর কর্মজীবনকে প্রাধান্য দিতে শুরু করেছেন।এমন হযবরল পরিস্থিতির মধ্যেও ঘুরে দাঁড়ানোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার চেষ্টা করছে বিএনপি। এই যেমন– গেল রোজার মাসে প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় ইফতার মাহফিল করে সাধারণ নেতাকর্মীকে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করেছে। তবে তাতেও খুব একটা কাজ হয়নি। কোনোভাবেই আগের মতো কর্মসূচি জমাতে পারেনি দলটি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দু’বছরের ধারাবাহিক কর্মসূচিতে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু মহানগরের সক্ষমতার জানান দিলেও সর্বশেষ আড়াই মাসের চূড়ান্ত আন্দোলনে এর প্রতিফলন ছিল না। মহানগরে টার্গেট করে সক্রিয় আর যোগ্যদের কারাবন্দি করার পর হাল ছেড়ে দিয়েছেন অন্যরা। দলের ভিতর ত্রিমুখী বলয় আর নেতারা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় ‘হাল’ ছেড়ে দিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। সবচেয়ে বেশি মামলা আর কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মহানগরের নেতারা। আবার বিভক্তি, ফটোসেশন আর সমন্বয়হীনতা বেশি ছিল এই মহানগর বিএনপির নেতাদের মাঝেই। সূত্র জানায়, দীর্ঘ সনয় ধরে আহŸায়ক কমিটির মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে মহানগর বিএনপির কর্মকান্ড। মহানগর বিএনপির আহŸায়ক এড.সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব টিপুর নেতৃত্বে একের পর এক সরকার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আলোচনায় আসে তারা। আন্দোলন করতে গিয়ে হামলা ও মানলার স্বীকারও হয়েছেন তারা। জেল খেটে জামিনে বের হয়ে এসে পূনরায় সরকার বিরোধী আন্দোলনে তারা মাঠে নেমে পড়েন। তবে, নেতাদের মাঝে অনৈক্য এবং বিভেদের কারনে সরকার বিরোধী আন্দোলনে সফলতা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন? মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে, কোনো কোন্দল নেই। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে হামলা-মামলা মোকাবিলায় নেতাকর্মী আজ সর্বস্বান্ত। তবুও আমরা হাল ছেড়ে দেইনি। সরকার বিরোধী আন্দোলনে চলমান থাকবে। প্রসঙ্গত, বিগত আন্দোলনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে এখানকার প্রভাবশালী নেতা তৈমূর আলম খন্দকার ও এ টি এম কামালকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়। পরে গত জাতীয় নির্বাচনের আগে তৈমূর কথিত কিংস পার্টি ‘তৃণমূল বিএনপির’ মহাসচিবের দায়িত্ব পেয়ে নির্বাচনেও অংশ নেন। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে এ দুই নেতাকে নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও তারাই ছিলেন নেতাকর্মীর কাছে পরিচিত মুখ। তাদের জায়গায় সে রকম কোনো নেতা তৈরি করতে পারেনি বিএনপি।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলন চলাকালেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের বলতে শুনেছি, কেন্দ্রের নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে মাঠে আছি। ওই সময় অনেকেই ছিলেন বেশ প্রাণবন্ত। অতীতের মতোই অনেকের ভাষ্য ছিল- ‘শেখের বেটি’ থাকতে ভয় নাই। তিনি ‘শেষ রক্তবিন্দু থাকতে লড়ে যাবেন।’ অর্থাৎ ওই সময় তাদের বিশ্বাস ছিল, সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯