ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে ভুতুরে বিলের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক মাস যাবত ভুতুরে বিল আসা শুরু করলেও এতদিন তা সহনীয় ছিল। গত জুন মাসের বিল এ সপ্তাহে আসা শুরু করলে দেখা যায়, অধিকাংশ গ্রহকের বিলই অন্যান্য মাসের চাইতে কয়েকগুন বেশী এসেছে। রহস্যজনক বিষয় হলো, মিটারে রিডিং অতিরিক্ত আসা শুরু করেছে। এ ব্যপারে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলেও তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। গত কয়েক মাস ধরে পশ্চিম দেওভোগ এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ দুলারী রহমানের মিটারে গড়ে ৩ হাজার টাকা বিল আসলেও মে মাসের বিল আসে ৪ হাজার টাকার কিছু বেশী। হঠৎ করে গতকাল সোমবার জুন মাসের বিল হাতে পেয়ে তিনি দেখতে পান এবার বিল এসেছে ৩গুন। এবারে তার বিদ্যুতের বিল ১০ হাজার টাকারও বেশী এসছে। মে মাসের চাইতে জুন মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহার কম করা সত্বেও এবারে ৩গুন বিদ্যুৎ বিল আসায় হতবাক তিনি। একই অভিযোগ একাধিক গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যেখান থেকে রিডিং কন্টোল করা হয় সেখান থেকেই ভুতুরে বিলের সৃষ্টি। যে কারনে গ্রাহকরা কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও তাদের মিটারে অতিরিক্ত ইউনিট যোগ হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ হিসাবে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের ব্যটারী চালিত অটো বাইক ও রিকশাগুলি অবৈধ ভাবে দেওভোগ মাদ্রাসা থেকে শুরু করে কাশীপুর ও আশেপাশের এলাকায় অবাধে ব্যটারীগুলি চার্জ করে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের অসুধু কিছু কর্মকর্তা এইসব বিদ্যুৎ চুরির সাথে জড়িত থাকলেও বিদ্যুৎ বিভাগে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে না। যদিও গত ফেব্রæয়ারি মাসে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংসদবৃন্দ, মেয়র, প্রশাসন ও পেশাজীবী সংগঠনের যৌথ মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক ঘোষনা দেন ১৫ ফেব্রæয়ারির মধ্যে কোন কোন জায়গায় অবৈধ ভাবে ব্যটারী চালিত রিকশার ব্যটারী চার্হ করা হয় তা অনুসন্ধান চালিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু জেলা প্রশাসকের সেই আশ^াস নগরবাসীর কাছে আশ^াস হিসাবেই রয়ে গেছে। আর এর মাসুল গুনছে নারায়ণগঞ্জের বিদ্যুগ্রহকরা। টার্গেট পূর্ন করার নামে গ্রাহকদের মিটারে সেন্ট্রাল থেকে ইউনিট বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এর ফলে প্রতিটি গ্রাহকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। কতিপয় অসাধু বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের কারণে সরকারের ভাবমূতি ও জনপ্রিয়তা সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে অতিরিক্ত এবং ভুতুরে বিদ্যুৎ বিল বন্ধ করা জরুরী বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করে।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলন চলাকালেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের বলতে শুনেছি, কেন্দ্রের নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে মাঠে আছি। ওই সময় অনেকেই ছিলেন বেশ প্রাণবন্ত। অতীতের মতোই অনেকের ভাষ্য ছিল- ‘শেখের বেটি’ থাকতে ভয় নাই। তিনি ‘শেষ রক্তবিন্দু থাকতে লড়ে যাবেন।’ অর্থাৎ ওই সময় তাদের বিশ্বাস ছিল, সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯