ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরের ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাফিজুর রহমানের ফুটপাত ও অটো-সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজির সংবাদে এরাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে পুলিশী ঝামেলা এড়াতে নাম প্রকাশ না করে বলেন, প্রতি মাসে লক্ষাধীক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ইন্সিপেক্টর হাফিজ। তাকে চাঁদা না দিয়ে কেহ মদনপুর স্ট্যান্ডে ব্যবসা বা গাড়ি চালাতে পারে না। তার একটি গোপন বাহিনী রয়েছে যারা প্রতিদিন চাঁদা তুলে তার কাছে পৌছে দেন। আবুল ও সেলিম পরিবহ থেকে চাঁদা তুলে স্থানীয় নামধারী পরিবহন নেতা আমির হোসেনের কাছে পৌছে দেন। আর আমির নিয়মিত হাফিজের কাছে চাঁদার ভাগ পৌছে দেন। গত মাসের ৭জুন মুরাদপুরে প্রকাশ্যে খুন হন মনিরুজ্জামান মনু। মনুর পরিবারের অভিযোগ ধামগড় ফাঁড়ির ইনচার্জ হাফিজের সাথে খুনীরা হত্যাকান্ড ঘটানোর আগে মদনপুর স্ট্যান্ড সংলগ্ন মুরাদপুরে আল বারাকা হাসপাতালে বসে গোপন মিটিং করে। এই মিটিং থেকে উঠে গিয়েই খুনীরা মনুকে খুন করে। আল বারাকা হাসপাতালের যে কক্ষে মিটিং করা হয়েছে ঐ সময় ঐ কক্ষের সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে রাখা হয় হাফিজের নির্দেশে। এ হাফিজের কারণে মনু হত্যাকারীদের গ্রেফতারে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে বলে নিহতের পরিবারের দাবি। এ ব্যপারে মনু হত্যার তদন্তকারী কর্মকর্তা কামাতাল তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ সাব্বির আহাম্মেদ জানান, মনু হত্যাকান্ডের অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩জনতে গ্রেফতার করেছি। আগে আসামী ধরতে ধামগড় ফাঁড়ি পুলিশ নিতাম এখন আর নেই না। তবে এ মামলার চার্জসীট দ্রæত দেয়া হবে। প্রকৃত পক্ষে এ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার কথাছিল ধামগড় অথবা থানা। কিন্তু এসপি মহোদয় আমাকে নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে ধামগড় ফাঁড়ির ইনচার্জের বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করব না। এদিকে ধামগড় ফাঁড়ির ইনচার্জ হাফিজের কর্মকান্ডে খনেক কনস্টেবল নাখোশ। স্থানীয়রা জানান, ইন্সিপেক্টর হাফিজের সাথে মদনপুর এলাকার অনেক অপরাধীদের সাথে সখ্যতা রয়েছে। যার কারণে এ অঞ্চলে অপরাদ প্রবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তার কারনে এ অঞ্চলের আইন শৃঙ্খলা অবনতি হচ্ছে। তার কারনে চাঁদাবজা ও মাদক ব্যবসায়ীরা সক্রীয়। আর এ জন্যই অপরাধীরা যেন নির্বিঘেœ অপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়াতে সুযোগ পাচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, মদনপুরে হাফিজকে ম্যানেজ করে সব ধরনের অপরাধ করা সম্ভব। তার কারণে এ অঞ্চলে বেড়েছে কিশোর গ্যং ও মাদক ব্যবসা। তাই ধামগড় ফাঁড়ি থেকে এ ধরনের অফিসারকে অপসারন করা জরুরী। এসব ব্যপারে ধামগড় ফাঁড়ির ইনচার্জের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলন চলাকালেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের বলতে শুনেছি, কেন্দ্রের নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে মাঠে আছি। ওই সময় অনেকেই ছিলেন বেশ প্রাণবন্ত। অতীতের মতোই অনেকের ভাষ্য ছিল- ‘শেখের বেটি’ থাকতে ভয় নাই। তিনি ‘শেষ রক্তবিন্দু থাকতে লড়ে যাবেন।’ অর্থাৎ ওই সময় তাদের বিশ্বাস ছিল, সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯