আজ মঙ্গলবার | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২ আশ্বিন ১৪৩১ | ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ | রাত ২:৫২

না’গঞ্জে শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জুডিশিয়াল ভবনটি অব্যহৃত

ডান্ডিবার্তা | ১৬ জুলাই, ২০২৪ | ১০:০২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ শহরের শায়েস্তা খান সড়কে ৫ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট ভবন। ৩৮ কোটি টাকা বায়ে নির্মিত এই ভবনটি এখনও অলস অবস্থায় পড়ে আছে। এদিকে, নতুন ভবন প্রস্তুত থাকা সত্তেও আইনজীবীদের বাধার মুখে এখনো পুরনো ভবনেই পরিচালিত হচ্ছে আদালতের বিচার কার্যক্রম। স্থানীয় সংসদ সদস্য ভবনটি মেডিকেল কলেজ করার প্রস্তাবনা রাখলেও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হচ্ছে না। ফলে বছরের পর বছর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ। নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের বাংলাদেশের ৬৪ ‘জেলা সদরে চীফ জুডিসিয়াল ভবন নির্মাণের প্রকল্প খহণ করে সরকার। এ প্রকল্পের অধীনে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শহরের শায়েস্তাখান সড়কের পাশে ৬ তলা বিশিষ্ট জুডিসিয়াল ভবন নির্মাণের কাজ হাতে নয়ে জেলা গণপূর্ত বিভাগ। ৩৮ কোটি ৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৭ বছর পর ২০১৯ সালে ভবনটি নির্মান কাজ শেষ করে গণপূর্ত। তবে আইনজীবীদের বাধার মুখে এখনো ভবনটি হস্তান্তর করতে পারেনি দপ্তরটি। সহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে কিন্তু আইনজীবীদের অনীহার কারণে হস্তান্তর করা সম্ভ হচ্ছে না। ভবনটি এখনো আমাদের তত্ত¡াবধানে আছে। হস্তান্তর না হওয়ায় বছর বছর ভবনটির নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে আমাদের। আইনজীবীরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত এলাকা থেকে নবনির্মিত চিফ জুডিশিয়ার ম্যাজিস্টেট আদালত ভবনের দূরত্ব দুই কিলোমিটার। দুই আদালতের মধ্যকার এই দূরত্বের কারণে বিচারক, অপরাধী মামলার নথিপত্রের নিরাপত্তা জড়িত। একই সাথে বিচারক, অপরাধী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার বিষয়ও রয়েছে। এছাড়া শহরের মধ্যে সিজেএম ভবন হলে শহরের যানজট পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটবে। আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতিহাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, দেশের সব জেলাতেই ম্যাজিস্টেট আদালত এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কম্পাউন্ড পাশাপাশি থাকে। ব্যতীক্রম শুধু নারায়ণগঞ্জে। এত দূরত্বে ভবন নির্মাণ না করার বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে একাধিকবার আপত্তি জানানো হয়েছিল। কিন্তু কেউ কথা শোনেনি। আইনজীবীরা বলছেন, অনেক সময় একই আসামীর দুই আদালতে হাজিরা থাকে। সেক্ষেত্রে বিচারপ্রার্থীদের দুই কিলোমিটার রাস্তা যাতায়ত করে একবার জজ কোর্ট, আরেকবার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে উপস্থিত হতে হবে। এতে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে। আইন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভবনটি পরিদর্শন করেছেন মন্তব্য করে এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, ২০০৯ সালে আইনজীবী সমিতির এসব বিষয় তুলে ধরে মন্ত্রণালয়ে একাধিক চিঠি পাঠিয়েছে। আইনমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, অন্য বিচারপতিরা নারায়ণগঞ্জে একাধিকবার এসেছে এবং নবনির্মিত ভবন পরিদর্শন করে গেছেন। তারাও আমাদের সাথে একমত হয়েছে কিন্তু এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেননি। ফলে সময়ের সঙ্গে ভবনটির নির্মাণ কাজ ২৩টি সরকারি দপ্তরের অফিস রয়েছে যাদের নিজস্ব কোনো ভবন নেই। সেসব সরকারি কার্ধালয়গুলো অব্যবহৃত ভবনে স্থানান্তর করার জন্য আমরা ভাবছি। জুডিশিয়াল ভবনে যদি সরকারি অফিসগুলো স্থানান্তর করা যায়, তাহলে একই ভবনে অনেক কিছু পাওয়া সম্ভব হবে সাথে থ বিচারক, অপরাধী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার বিষয়ও রয়েছে। এছাড়া শহরের মধ্যে সিজেএম ভবন হলে শহরের যানজট পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, দেশের সব জেলাতেই ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কম্পাউন্ড পাশাপাশি থাকে। ব্যতীক্রম শুধু নারায়ণগঞ্ডে। এত দূরতে ভবন নির্মাণ না করার বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে একাধিকবার আপত্তি চিঠি পাঠিয়েছে। আইনমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, অন্য বিচারপতিরা নারায়ণগঞ্জে একাধিকবার, এসেছে এবং নবনির্মিত ভবন পরির্রশন করে গেছেন। তারাও আমাদের সাথে একমত হয়েছে কিন্তু এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে সময়ের সঙ্গে ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অব্যবহৃত ভবনটিতে কেউ হাসপাতাল করতে বলছে, কেউ প্রশাসনিক ভবন। কিন্তু কোন সিদ্ধান্তই আমরা পাচ্ছি না। শত শত কোটি টাকার ভবন শুধু নষ্ট হচ্ছে। ভবনটি ফেলে না রেখে একটা সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবি জানান। বিভিন্ন সময় অব্যবহৃত সিজেএম ভবনটি হার্ট ইনস্টিটিউট অথবা মেডিকেল কলেজ করার প্রস্তাবনা রেখেছেন ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান। এ বিষয়ে একাধিকবার জাতীয় সংসদেও কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু এখনো এ বিষয় নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। গণপূর্ত বিভাগের জেলা নির্বাহী মো. আহসান হাবীব বলেন, সংসদ সদস্য যে প্রস্তাবনা রেখেছেন সেটা করা সম্ভব। এছাড়া জেলায় ২৩টি সরকারি দপ্তরের অফিস রয়েছে যাদের নিজস্ব কোনো ভবন নেই। সেসব সরকারি কার্ষালয়গুলো অব্যবহৃত ভবনে স্থানান্তর করার বিষয়েও আমরা ভাবছি। জুডিসিয়াল ভবনে যদি সরকারি অফিসগুলো স্থানান্তর করা যায়, তাহলে একই ভবনে অনেক কিছু পাওয়া সম্ভব হবে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, অব্যবহৃত ভবনটির বিষয়ে আমরা ভাবছি। ভবনটি ব্যবহারের বিষয়ে বিকল্প কিছু প্রস্তাবনা রয়েছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:২৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৮:০৬
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৩২
  • ১১:৫৭
  • ১৬:১৯
  • ১৮:০৬
  • ১৯:২০
  • ৫:৪৪
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024