ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
যেমনটি মনে করা হয়েছিল, তেমনটি হয়েছে। কোটা আন্দোলন যে শুধু কোটা সংস্কার আন্দোলন নয়, তা এখন স্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে সারা দেশে যে তাÐব চলছে তা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করেছে যে কোটা আন্দোলনের একটা পরিকল্পিত লক্ষ্য ছিল। কোটা আন্দোলন এখন সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ পরিগ্রহ করেছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত সংবাদে সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ বা পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে এবং স্পষ্টত এই আন্দোলনে বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো জড়িয়ে গেছে। প্রথম থেকেই কোটা আন্দোলনকে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছিল। এই আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক মদদ রয়েছে বলেও বাংলা ইনস্ইাডারের পক্ষ থেকে একাধিকবার উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারের প্রস্তুতিহীনতা এবং যেকোন কোটা আন্দোলনকে গুরুত্ব না দেওয়া এবং ছাত্রলীগকে সামনে নিয়ে আসার কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আজ ঢাকা পুরোপুরিভাবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দখলে চলে গেছে এবং এখানে ছাত্রলীগ পর্যুদস্ত হয়েছে। এটি এখন জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করেছে। আন্দোলনের পটভূমি তৈরি হয়েছে এর মধ্য দিয়ে। এর ফায়দা লুটার জন্য এখন রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে। বিএনপি কোটা আন্দোলনের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত ঘোষণা করেছে। আজ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে কোটা আন্দোলনকারীদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে কোটা আন্দোলনকে সমর্থনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের ক্যাডার এবং নেতাকর্মীদেরকে আজ মাঠে দেখা গেছে। এখন এটি আর কোটা আন্দোলন নেই। এখন এটি সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ পরিগ্রহ করেছে। এখন দেখার বিষয় সরকার কীভাবে এই আন্দোলনকে মোকাবেলা করে। উল্লেখ্য, পয়লা জুলাই থেকে যে কোটা আন্দোলন শুরু হয়েছিল তখন থেকেই একটি সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য ছিল এবং কোটা আন্দোলনকারীদের পেছনে বিএনপি এবং জামায়াত জোট ছিল। এখন বিএনপি এবং জামায়াত প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেছে। আজ ঢাকার রাজপথে যে তাÐব তাতে স্পষ্টতই সরকার ব্যাকফুটে চলে গেছে। এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী এটি নিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারক মহল নিশ্চয়ই আলোচনা করবেন। তবে এই আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি এবং লাগাম যদি এখনই টেনে না ধরা যায় তাহলে সরকারের জন্য বড় ধরনের সংকট তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আজকে কোটা আন্দোলনকারীদের সারাদেশে যে তাÐব এবং ভাঙচুর, এর ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে নেতিবাচক একটি মনোভাব তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। যে কারণে তারা এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আবার এর ভিন্ন চিত্রও রয়েছে। কোন কোন সাধারণ মানুষ মনে করছে জনগণের দুর্ভোগ, জিনিসপত্রের উর্ধ্বগতি দাম, অর্থনীতির সংকট, বিদ্যুৎ সংকট, গ্যাস সংকট এর সঙ্গে কোটা আন্দোলন যুক্ত হয়ে একটি সরকার বিরোধী আন্দোলন হিসেবে ক্রমশ দানা বেঁধে উঠছে। এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত মোকাবিলা করেননি। তাছাড়া ছাত্রলীগকে দিয়ে কোটা আন্দোলনের সিদ্ধান্তহীনতা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছে। সবকিছু মিলিয়ে সামনের দিনগুলোতে সরকারের জন্য কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে উঠে এসেছে। সরকার কিভাবে এই আন্দোলন মোকাবিলা করবে সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলন চলাকালেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের বলতে শুনেছি, কেন্দ্রের নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে মাঠে আছি। ওই সময় অনেকেই ছিলেন বেশ প্রাণবন্ত। অতীতের মতোই অনেকের ভাষ্য ছিল- ‘শেখের বেটি’ থাকতে ভয় নাই। তিনি ‘শেষ রক্তবিন্দু থাকতে লড়ে যাবেন।’ অর্থাৎ ওই সময় তাদের বিশ্বাস ছিল, সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯