আজ বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১ | ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ | সকাল ৮:০২

গণমাধ্যমে আওয়ামীলীগ দুর্বল কেন?

ডান্ডিবার্তা | ২৭ জুলাই, ২০২৪ | ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
দেশব্যাপী তান্ডবে আঞ্চলিক পত্রিকাগুলি দুর্বৃত্তদের তান্ডব সঠিক ভাবে তুলে ধরলেও কোন কোন জেলায় কিছু গণমাধ্যম সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে এমন অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে গোপনে গোপনে। নামধারী সাংবাদিকরা বিভিন্ন ভাবে মাঠে থেকে সরকার বিরোধী কর্মকান্ডকে উস্কে দিচ্ছে। সরকারি তালিকাভ’ক্ত নয় এমন নামসর্বস্ব গণমাধ্যমের দাবিদার অর্থের বিনিময়ে নাশকতাকারীদের সাথে গোপনে গোপনে সৎভাব রেখে যোগাযোগ করে চলেছে এমনটাই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। দেশে এখন ষড়যন্ত্র এবং আন্দোলনের দু’টি অংশ চলছে। একটি দৃশ্যমান অংশ যেটি মাঠে চলছে। সরকার পতনের লক্ষ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, পেশাদার সন্ত্রাসীরা এক জোট হয়ে দেশে নাশকতা সৃষ্টি করেছে। একটি ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা করে সরকারকে হটানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলো। অন্যটি সাইবার জগতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভার্চুয়াল দুনিয়ায় একটি দৃশ্য ছিলো যেই দৃশ্যে সরকারকে নানাভাবে অপপ্রচারের শিকার হতে হয়েছে। এই ঘটনাগুলোকে বিকৃত করে, অপ-তথ্য প্রকাশ করে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। সরকার মাঠের আন্দোলনকে দমন করে মোটামুটি স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পেরেছে। বিশেষ করে সেনা মোতায়নের পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষও যে হত্যা, বিভীষিকা এবং তাÐব হয়েছে তা নিয়ে বিস্মৃত এবং হতবাক। তারা এধরনের পরিস্থিতিকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ বলেই মনে করছেন। এই যুদ্ধে দৃশ্যতই সরকার বিজয়ী হয়েছে এবং সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। সাধারণ মানুষ আর যাই হোক, এই ধরনের ভাঙচুর, বিশেষ করে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সেতু ভবনের মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ভাঙচুরকে সমর্থন করেনি। তারা এই আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের তথ্যগুলো আমাদের মূল ধারার টেলিভিশন বা সংবাদপত্রে যেভাবে আসছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসছে তার উল্টোভাবে। কিছুদিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ যেতে পারেনি। কিন্তু সাইবার যুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী বিশ্বব্যাপী তাদের অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। আর একারণেই আন্তর্জাতিক পরিমÐলে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল, বিভ্রান্তিকর তথ্যগুলো ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিতও হয়েছে। আর এই যুদ্ধে আওয়ামী লীগ শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। এখন যখন ইন্টারনেট খুলে দেয়া হয়েছে, গতকাল থেকে ইউটিউব চালু হয়েছে তখন দেখা গেছে ইন্টারনেট জগত পুরোটা বিএনপি-জামায়াতের। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীরদের দখলে। সেখানে এমন সব আজগুবি, বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে যা কল্পনারও অতীত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ানো হয়েছে র‌্যাব নাকি হেলিকপ্টার থেকে গুলি করেছে। র‌্যাব কখনোই হেলিকপ্টারে করে গুলি করেনি। হেলিকপ্টার থেকে টহল দিয়েছে, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। সেটিকে গুলিবর্ষণ হিসেবে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পুলিশ নির্মমভাবে ছাত্রদের হত্যা করেছে। কিন্তু পুলিশ পিটুনি খেয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো। সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। ছাত্রদের সাথে কোন ধরনের সহিংসতায় না জড়ানোর জন্য এবং রক্তপাত এড়ানোর জন্যই পুলিশ এ অবস্থান নিয়েছে। পুলিশের সহনশীলতার কারণেই এই আন্দোলনের সাথে যখন সন্ত্রাসীরা যুক্ত হন তখন আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিলো। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বীভৎস মিথ্যা এবং বিকৃত ছবি প্রচার করা হয়েছে। বিএনপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রকাশ করেছে যা আসলে মিথ্যা এবং সেখানে অতীতের বিভিন্ন সন্ত্রাস, সহিংসতার ঘটনাকে জোড়া লাগিয়ে সেটি সা¤প্রতিক সময়ের সহিংসতা হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রবর্তক। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিল এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই বাংলাদেশ আজ তথ্য প্রযুক্তিতে নীরব বিপ্লব করেছে। কিন্তু এই সাইবার যুদ্ধে কেন আওয়ামী লীগ শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী গর্ব করে বলেছিলেন, তার এক লাখ সাইবার যোদ্ধা মাঠে নামানো হয়েছে। সেই যোদ্ধারা এখন কোথায়? আওয়ামী লীগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেন শোচনীয়ভাবে হেরে গেল? রাজনীতির কৌশলে এবং আন্দোলন দমনের ক্ষেত্রে সরকার যতোটা ভালো করেছে ঠিক ততটাই ব্যর্থ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর কারণ কী? এর কারণ হলো, আওয়ামী লীগের নেতাদের আত্মতুষ্টি, অহংকার এবং তাদের এ ব্যাপারে মনোযোগী না হওয়া। সাইবার এই যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে নানারকম নেতিবাচক তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। আর একারণেই তথ্য প্রযুক্তির এই ক্ষেত্রটির দিকে নতুন করে নজর দিতে হবে। অপ-তথ্যে সয়লাব হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক তথ্য দিয়ে এক ধরনের আবহ সৃষ্টি করার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সুস্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে এখনই। আর এ জন্য আওয়ামীলীগকে শুধু রাজধানীর কিছু মিডিয়ার উপর নির্ভর করলেই হবে না। দেশের গুরুত্বপূর্ন জেলাগুলির পেশাদার সাংবাদিকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগসহ আঞ্চলিক গণমাধ্যমগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের সুবিধা অসুবিধা দেখভাল করা জরুরী বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। যদিও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধাকদের পক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলার গুরুত্বপূর্ন গণমাধ্যমগুলির সাথে বিশেষ করে আঞ্চলিক প্রিন্ট মিডিয়ার সাথে বৈঠক করে আওয়ামীলীগের পক্ষে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য প্রচারসহ অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে আঞ্চলিক পত্রিকাগুলিকে সহযোগিতার আশ^াস দিলেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় আঞ্চলিক প্রিন্ট মিডিয়া অনেকটাই হতাশ। এ ভিষয়টি আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারকদের নতুন করে চিন্তা ভাবনা প্রয়োজন বলে বিভিন্ন জেলার গণমাধ্যম কর্মীরা মনে করেন। কারণ আওয়ামীলীগ বিরোধী অধিকাংশ প্রিন্ট মিডিয়া বিভিন্ন কায়দায় সরকারি সুবিধা হাতিয়ে নিয়ে চলছে। যা আওয়ামীলীগের জন্য সুখকর নয়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:২৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৮:০৬
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৩২
  • ১১:৫৭
  • ১৬:১৯
  • ১৮:০৬
  • ১৯:২০
  • ৫:৪৪
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024