ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
কোটা সংস্কার আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছে বিএনপি। কেন্দ্রের নির্দেশনায় সাধারন ছাত্রদের সনর্থন দিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন নারায়নগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এ ইস্যুতে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর জেরে বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এ আন্দোলনে নিজেদের সমর্থনের কথা বললেও মাঠের সহিংসতার জন্য দায়ী করা হচ্ছে বিএনপিকে। আওয়ামীলীগে নারায়নগঞ্জে তান্ডবের জব্য বিএনপি-জামায়াতকে দোষারোপ করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকেও দাবি করা হচ্ছে নাশকতায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এ অবস্থায় বিএনপি ফের বেকায়দায় পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে কোনো কর্মসূচিই দিতে পারছে না দলটি। চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে এক গুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল বিএনপি। এখন উল্টো গ্রেফতার আতঙ্ক তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। গা ঢাকা দিয়েছেন নেতারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে সারা দেশে একের পর এক মামলা হতে থাকে। এসব মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের আটক করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে এখন পর্যন্ত কয়েকশ নেতাকর্মী আটকের খবর দিচ্ছে বিএনপির দফতর সেল। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন জানান, তাদের জেলায় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে একাধিক মামলা হয়েছে। মামলায় শত শত বিএনপি নেতাকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি অনেক। এ পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ৭০-৮০ জনকে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নামে আলাদা মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, ইন্টারনেট না থাকায় কেন্দ্রের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। নেতাকর্মীরা আতঙ্কে আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাসাবাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করে ভাঙচুর করছে। নেতাদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে। আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে। হয়তো আগামী সপ্তাহে কিছু কর্মসূচি আসতে পারে। জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক খোঁকন বলেন, দল থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আমাদের শত শত নেতাকর্মী গ্রেফতার হচ্ছেন। ইন্টারনেট না থাকায় আমরা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তারপরও বিভিন্ন উপায়ে আমরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। এগুলো একসঙ্গে করে বিভিন্ন দূতাবাসসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রেরণ করা হবে। তিনি বলেন, সরকার যে বিএনপিকে দোষারোপ করছে তার কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই। সরকার শুধু ভাঙচুরের ঘটনার ভিডিও ক‚টনীতিকদের দেখিয়েছে। কিন্তু হত্যার চিত্র দেখায়নি। সরকারের দায়িত্ব নাশকতাকারীকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা। ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এড.আঃবারী ভূউয়া বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন বিএনপির ওপর চাপিয়ে ঢালাওভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমন ঘটনা কিন্তু নতুন নয়। আমরা এগুলো রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার পাশাপাশি আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। শিগগিরই নীতিনির্ধারকরা বৈঠক করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন। তিনি বলেন, বিএনপির ওপর সবসময় দায় চাপানোর চেষ্টা করে সরকার। এবার ইন্টারনেট বন্ধ করে সবকিছু থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। যাতে মানুষ সঠিক তথ্য জানতে না পারে। সারা দেশে কারা সহিংসতা করেছে এটি সরকার তদন্ত করে বিচার করুক। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীদের শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভেবে নির্বিচারে গ্রেফতার করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিএনপি এসব সহিংস ঘটনার তদন্ত করতে পারে। বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রথমেই সরকার ছাত্রদের সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে পারত। সেটি না করে তারা এটিকে উসকে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা ছাত্রদের আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়েছি। বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই তাদের নিজস্ব এজেন্ডা নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এর বাইরে কিছু নয়। মহানগর বিএনপির আহŸায়ক সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আমাদের অনুক‚লে নয়। মাঠ পর্যায়ের শত শত নেতাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রতিদিন গ্রেফতার অভিযান চলছে। দেখে মনে হচ্ছে গত বছরের ২৮ অক্টোবরের মতোই বিএনপিকে ক্র্যাকডাউন করতে যাচ্ছে। সরকারের মনোভাব বুঝে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে বিএনপি আবারও আন্দোলনের চালে ভুল করেছে। সংবাদ সম্মেলন করে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরাসরি সমর্থন দেওয়া আমাদের উচিত হয়নি। ছাত্রদলও একই কাজ করেছে। এতে সরকার নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের ছুঁতো পেয়েছে। এখন পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় বোঝা যাচ্ছে না।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯