ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
কোটা সংস্কারের দাবিতে চলা আন্দোলনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে চালানো হয়েছে তাÐব। গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় আগুন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ভবন, জেলা পার্সপোট অফিস, পিবিআই ভবন, ২নং রেলগেইটস্থ পুলিশ বক্স এবং নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের একাধিক যানবাহন পোড়ানো হয়েছে। জেলার সানবোর্ড, চিটাগাং রোড এবং শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়া এবং ২নং রেলগেইটসহ পরিবহন ষ্ট্যান্ড এলাকায় সবচেয়ে বেশি নাশকতা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, এ এলাকাগুলো বিএনপি ও জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এর আগেও বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে বড় ধরনের তাÐব চালিয়েছে তারা। এবারের হামলা-ভাঙচুর-আগুনের ধরনও একই রকম। শিক্ষার্থীদের দাবির আড়ালে তারা মূলত নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। তবে বিএনপির নেতারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দলটির জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, তারা শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন, তবে আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততা নেই। জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘আন্দোলনের নামে চলমান নাশকতায় শিক্ষার্থীদের কোনো সংশ্লিষ্টতা মেলেনি। বিভিন্ন তথ্য, ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বেশির ভাগ ঘটনায় হামলাকারীরা মধ্যবয়সি। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, তারা বিএনপি-জামায়াতের কর্মী। মূলত ১৭ জুলাই থেকে শুরু হয় নাশকতা। সেদিন পবিত্র আশুরার ছুটি থাকলেও আন্দোলনকারীরা তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। এর মধ্যে জেলার সাইনবোর্ডে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়। এরপর ১৮ জুলাই নাশকতার পরিমাণ বেড়ে যায়। এদিনে পুলিশের গাড়ীতে হামলা চালিয়ে গাড়ী ভাংচুর করে, এ ছাড়া ২নং রেলগেইট অবস্থিত পুলিশ বক্সে আগুন, শহরের বাস ষ্ট্যান্ডে শীতল পরিবহনে, আগুন, জেলা পুলিশের তদন্ত বিভাগ পিবিআই ভবনে আগুন, নাসিকে আগুনসহ শহরের একটি অভিজাত ক্লাবে হামলা ভাংচুরসহ ব্যাপক লুটপাট চালায় দুষ্কৃতিকারীরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, নারায়ণগঞ্জে জামায়াতের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী রয়েছেন। ২০১৩-১৫ কিংবা ২০১৮ সালে হরতাল-অবরোধসহ রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে ওই এলাকায় ব্যাপক নাশকতা ঘটায় তারা। এবারও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সেখান থেকেই শুরু হয় নাশকতা। তারা সড়ক অবরোধ করে আগুন দিয়ে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, হামলাকারীদের দেখে শিক্ষার্থী মনে হয়নি। কারণ তাদের বড় অংশ মধ্যবয়সি এবং সঙ্গে ছিল টোকাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আন্দোলনের নামে যেভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করা হয়েছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এমন সহিংসতা শুধু বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরই করতে পারে। গত ১০ বছর ধরে তারা বহু চেষ্টা করেও সরকার পতন করতে পারেনি। এবার শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে ভর করে সরকারের পতন ঘটাতে মরণ কামড় দিয়ে মাঠে নেমেছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এক নেতা বলেন, কোঠা সংষ্কার আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জে তান্ডব চালানোর পূর্ব মুহুর্তে যারা রাজাকার হিসেবে নিজেদেরকে দাবি করেছে, সেখানে আমরা শিবিরের সাবেক ও বর্তমান অনেক নেতা-কর্মীকে দেখেছি। বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় যারা আগুন দিয়েছে তারা কোটা সংস্থার আন্দোলনের কেউ নন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত বিবৃতি দিয়েছেন। এ থেকেই স্পষ্টভাবে বলা যায়, এ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে নাশকতামূলক কাজ করছে বিএনপি, জামায়াত ও শিবির।’ গত কয়েক দিনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় নিহতের সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯