ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করে সরকার পতন ঘটানোর মহা পরিকল্পনা নিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর এখন দলটি নিজেই নানা রকম সংকটে পড়েছে। দলের ভেতর হতাশা এবং অস্বস্তি আরও বেড়েছে। দলের নেতাদের মধ্যে বিভক্তি, অবিশ্বাস প্রবল আকার ধারণ করেছে। সা¤প্রতিক সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আর এই সমস্ত নিয়ে বিএনপির মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন সংকট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কোটা আন্দোলনে নাক গলিয়ে বিএনপি এখন নিজেই সংকটে পড়েছে। বিএনপির মধ্যে এখন পাঁচটি সংকট দৃশ্যমান হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে; নেতাদের নতুন করে গ্রেপ্তার: ২৮ অক্টোবরের তাÐবের পর বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আইনের আওতায় আনা হয়েছিল। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আস্তে আস্তে এই সব নেতাদেরকে ছেড়ে দেওয়া শুরু হয়। আবার বিএনপি নতুন করে প্রকাশ্য রাজনীতি শুরু করার চেষ্টা করে দল গোছানো শুরু করে। কিন্তু এর মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর আবার বিএনপিতে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এর ফলে আবারও দলের শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। অনেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। দলের ভেতর সন্দেহ অবিশ্বাস: কোটা সংস্কার আন্দোলনের ব্যর্থতার পর বিএনপির মধ্যে পরস্পরকে সন্দেহ, অবিশ্বাস ক্রমশ দানা বেঁধে উঠেছে। দলের নেতারা একে অন্যকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। বিশেষ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন এখনও গ্রেপ্তার হলেন না, রিজভীকে কেন গ্রেপ্তার করা হল ইত্যাদি নানা প্রশ্ন এখন বিএনপিতে পল্লবিত হচ্ছে। বিএনপিতে যখন সাংগঠনিক পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তখন বিএনপির ভেতরে ধরপাকড় দলটিকে আবার বিভক্তির মুখে নিয়ে গেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। জামাতের সঙ্গে সম্পর্ক: বিএনপিতে এখন আবার জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গত শুক্রবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নামে দেওয়া বিবৃতিতে জামায়াত সহ সকল রাজনৈতিক দলকে এক দফার ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার আহŸান জানানো হয়েছে। তা নিয়ে বিএনপিতে সুস্পষ্টভাবে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। ঐকমত্য প্রক্রিয়ায় জামায়াত কেন-এই প্রশ্ন উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরেই জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি দূরত্ব বজায় রেখে চলছে। কিন্তু এখন আবার জামায়াতকে নিয়ে আন্দোলনের বিষয়টি দলের অনেক শীর্ষ নেতাই স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারেনি। তারা এর ফলে আন্তর্জাতিক পরিমÐলে বিএনপির অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মনে করছে। তারেককে নিয়ে অস্বস্তি: বিএনপিতে এখন সবচেয়ে বেশি তোলপাড় চলছে তারেক জিয়াকে নিয়ে। তারেক জিয়া দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে পরামর্শ না করে, তাদের মতামতকে উপেক্ষা করে একতরফা ভাবে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে যাচ্ছেন।এই সমস্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরিণাম ভোগ করতে হচ্ছে যারা বাংলাদেশে অবস্থান করেন সেই সমস্ত নেতাদেরকে। তারেক জিয়ার হঠকারী রাজনীতির কারণে অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন, অনেকে আটক হচ্ছেন। এ কারণে বিএনপির মধ্যে এখন একটা তারেক বিরোধী মনোভাব প্রবল আকারে দেখা দিয়েছে। বিএনপির অনেক নেতা বলছেন, তারেক জিয়া নিজে নিরাপদ অবস্থানে থেকে দলকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এটি কখনোই কাম্য হতে পারে না। এধরনের হঠকারী রাজনীতির কারণে বিএনপিকে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। রাজনীতিতে দিক নির্দেশনাহীন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঝুলে পড়া বিএনপিকে নিয়ে এখন নতুন প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপি আসলে কি চায়। তাদেরকে রাজনীতিতে এখন পরগাছা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। একেক সময় একেক আন্দোলনের ওপর ভর করে তারা সরকার হটাতে চায় এবং নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনে। বিএনপির সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য কি, তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি কি ইত্যাদি এখনও অস্পষ্ট। ফলে ক্রমশ বিএনপি একটি পরগাছা রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণকে প্রতিষ্ঠিক হচ্ছে।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯