ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
১৪ দলের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে। এব্যাপারে সরকারকে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ১৪ দলের পক্ষ থেকে গত সেমবার রাতে আহŸান জানানো হয়। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের একদিন পরে গতকাল মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিছুল হক জানিয়েছেন আজ বুধবার নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাÐে জড়িত থাকার কারণে এই দলটিকে নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার সরকারের আছে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী সংগঠনকে এর আগেও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এখন জামায়াতের রাজনীতিকেও নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে জামায়াতের রাজনীতি যদি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে তার প্রভাব রাজনীতিতে কী পড়বে? ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করেছিল। আর সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল গঠন করা হয় এবং একে একে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে। এই বিচারে মূল আক্রান্ত দল ছিলো জামাত ইসলাম। এর আগে ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে এবং জামাতের দাঁড়িপাল্লা প্রতীক অবৈধ ঘোষণা করে। ফলে জামায়াত একটি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে তখন থেকেই কাজ করছে। এবং দলীয় প্রতীক ব্যবহার করেও তারা নির্বাচন করতে পারছে না। এমন বাস্তবতায় অনেকে মনে করেছিলো জামাতের রাজনীতি বোধহয় আস্তে আস্তে নিষ্পেষিত হয়ে যাবে। জামাত ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা দেখা যায় ভিন্ন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, আব্বাস আলী খান, আলী আহসান মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর মতো ঘৃণীত যুদ্ধাপরাধীরা দÐিত হবার পরও জামায়াত নিঃশেষ হয়ে যায়নি। বরং জামাত সংগঠিত হয়েছে এবং সা¤প্রতিক সময়ে সারাদেশে যে সহিংসতা এবং তাÐব পরিচালনা হয়েছে তার বøæ-প্রিন্ট জামাত কর্তৃক প্রণীত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরকম পরিস্থিতিতে দু’টি বিষয় সামনে এসেছে— প্রথমত জামাত যে একটি সন্ত্রাসী দল এবং তারা যে সবসময় সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যকে মদদ দেয় এটি প্রমাণিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত জামাতের যে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সারাদেশে বিস্তৃত তা পরিষ্কার হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে সকলের সামনে যে প্রশ্নটি মুখ্য হয়ে উঠেছে সেটি হলো এরকম একটি শক্তিশালী অবস্থানে থাকা জামাতের রাজনীতি যদি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে তার প্রভাব রাজনীতিতে কি পড়বে? এর আগেও রাজনীতিতে জামাত নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছিল। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে জামাতের অপকর্মের জন্য তাদের নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সরকার নানা বাস্তবতা বিবেচনা করে জামাতকে নিষিদ্ধ করেনি। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতেও জামাতকে নিষিদ্ধ করার একটি রিট পিটিশন বিচারাধীন আছে। সেখানেও সরকার ইচ্ছে করেই মনোযোগ দেয়নি। কারণ সরকারের মধ্যে একটি ভাবনা ছিলো, জামাতকে যদি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে জামাতের জঙ্গি এবং গুপ্ত তৎপরতা বাড়বে। জামাত সন্ত্রাস-সহিংসতার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিবে। তখন তাকে একেবারেই জবাবদিহিতার মধ্যে রাখা যাবে না। আর একারণেই সরকার জামাতকে তখন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি। কিন্তু এখন যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং ১৪ দল থেকে বিষয়টি এসেছে তখন সরকার বাধ্য হয়েই এটি করেছে। তবে এর ফলে জামাতের সহিংসতা তৎপরতা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতোদিন যেভাবে অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে জামাত অবৈধভাবে তাদের কর্মকাÐ পরিচালনা করেছিলো এখনো তার অবৈধ কর্মকাÐ পরিচালনা অব্যাহত রাখবে। তবে আগে যেমন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা যেত বা জবাবদিহিতার আওতায় আনা যেত এখন সেটি আর করা যাবে না। ফলে জামাত নানারকম জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী সংগঠনের ওপর ভর করে তাদের অপ-তৎপরতা অব্যাহত রাখার চেষ্টা নতুন করে করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলন চলাকালেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের বলতে শুনেছি, কেন্দ্রের নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে মাঠে আছি। ওই সময় অনেকেই ছিলেন বেশ প্রাণবন্ত। অতীতের মতোই অনেকের ভাষ্য ছিল- ‘শেখের বেটি’ থাকতে ভয় নাই। তিনি ‘শেষ রক্তবিন্দু থাকতে লড়ে যাবেন।’ অর্থাৎ ওই সময় তাদের বিশ্বাস ছিল, সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯