আজ শুক্রবার | ১ নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬ | সকাল ৮:৩২

ডিবি কার্যালয় থেকে ফিরে ৩ সমন্নয়কারী যতদিন জুলুম-ততদিন লড়াই চলবে

ডান্ডিবার্তা | ০২ আগস্ট, ২০২৪ | ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গতকাল বৃস্পতিবার তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পেয়ে এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। সেখান থেকেই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ডিবিতে ছয়জন আমরা একসঙ্গে ছিলাম না। খাওয়ার সময় এবং কনফারেন্সের সময় আমাদের দেখা হয়েছে। সেখানেও আমাদের সবার কথা-বার্তা হয় নাই। বিষয়গুলো নিয়ে আমরা একসঙ্গে বসে কথা বলব।’ হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ছয়জনকে ছয়ভাবে ট্রিট করেছে। আমি এমনও শুনছি যে, ঝুলাইয়া পিটাইছে। এখন সার্বিকভাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সবাই এক সাথে কথা বলব। আর আমরা গত সাত-আট দিন দেশে কী হইছে, কিছুই জানি না।’ ডিবি কার্যালয়ে ৩২ ঘণ্টা অনশন করেছেন জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বোঝেনই তো, সাত দিন এক ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। তারপর লাস্ট ৩২ ঘন্টা ধরে অনশন। একটু স্বাভাবিক হয়ে সবাই মিলে একটা লিখিত বক্তব্য দেব।’ ডিবি হেফাজত থেকে মুক্ত হয়ে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লড়াই চালিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজত থেকে সারজিসসহ ছয় সমন্বয়ককে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পর সারজিস ফেসবুকে লিখেছেন, কথা দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের থেকে কাউকে গ্রেফতার করবেন না, মামলা দিয়ে হয়রানি করবেন না। আপনারা কথা রাখেননি। আপনারা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর আঘাত করেছেন। সারা দেশে আমার স্কুল কলেজের ভাইবোনদের ওপর লাঠিচার্জ করেছেন। যাকে ইচ্ছা তাকে জেলে পাঠিয়েছেন। আন্দোলনকারীকে খুঁজে না পেলে বাসা থেকে ভাইকে তুলে নিয়েছেন, বাবাকে হুমকি দিয়েছেন। মাশরুর তার উদাহরণ। সারজিস আরও লিখেছেন, যারা একটিবারের জন্যও এ আন্দোলনে এসেছেন তারা শান্তিতে ঘুমাতে পারেন না, গ্রেফতারের ভয়ে থাকে। এমন অনেকে আছে যাদের পরিবার এখনো তাদের খোঁজ পায়নি। এমন তো হওয়া উচিত ছিল না! কোথায় মহাখালীর সেতু ভবন আর কোথায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়! অথচ আপনারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে মহাখালীর সেতুভবনে হামলার জন্য গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলেন। সঙ্গে আছেন আসিফ মাহতাব স্যার, মাশরুরসহ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অসংখ্য শিক্ষার্থী। সারজিসের স্ট্যাটাসে লেখা হয়েছে, রিকশা থেকে নামিয়ে প্রিজনভ্যানে তুলছেন, বাসা থেকে তুলে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমার বোনদের রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছেন। কী ভাবছেন? এভাবেই সবকিছু শেষ হয়ে যাবে? ৬ দিনের ডিবি হেফাজত দিয়ে ছয়জনকে আটকে রাখা যায় কিন্তু এই বাংলাদেশের পুরো তরুণ প্রজন্মকে কিভাবে আটকে রাখবেন? দূর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছেন প্রতিনিয়ত সেগুলো কিভাবে নিবৃত করবেন। ‘পুলিশ ভাইদের উদ্দেশ্যে একটা কথা বলি। এ দেশের মানুষের ক্ষোভ আপনাদের উপর নয়, পুলিশের উপর নয়। এই ক্ষোভ আপনার গায়ের ওই পোশাকটার উপর। যে পোশাকটাকে ইউজ করে বছরের পর বছর আপনাদের দিয়ে এ দেশের অসংখ্য মানুষকে দমন-পীড়ন করা হয়েছে, অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে, জেল আর আদালতের প্রাঙ্গনে চক্কর কাটানো হয়েছে, সেই পোশাকটার উপর। ওই পোশাকটা ছেড়ে আসুন আমাদের সাথে, বুকে টেনে নিব।’ ‘এ পথ যেহেতু সত্যের পথ, ন্যায়ের পথ, তাই যেকোনো কিছু মোকাবেলা করতে আমরা বিন্দুমাত্র বিচলিত নই। যতদিন না এ বাংলাদেশ আন্দোলনকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে ; গণগ্রেপ্তার, জুলুম, নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে ; ততদিন এ লড়াই চলবে।’ এই আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া শেষ ব্যক্তিটি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউই মুক্ত নই। এই গণগ্রেফতার গণ ঘৃণার নামান্তর।’ ‘আমাদের মুক্তি তখনই সম্পূর্ণ হবে, যখন এই আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া শেষ ব্যক্তিটিও মুক্তি পাবেন। এই গণগ্রেফতার কেবল নিরপরাধ মানুষের অধিকার হরণ নয়, বরং আমাদের সমগ্র সমাজের ওপর চাপিয়ে দেয়া একটি নিষ্ঠুরতার প্রতিফলন।’ তিনি লিখেছেন,‘এটি মুক্তচিন্তা ও মানবাধিকারের প্রতি এক ভয়ানক আঘাত। আমাদের এই আন্দোলন শুধুমাত্র ব্যক্তির মুক্তির জন্য নয়, বরং বৈষম্য, নিপীড়ন, গণগ্রেফতার এবং ছাত্র নির্যাতনের বিরুদ্ধে। এই আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া শেষ ব্যক্তিটি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’ গত শনিবার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে হেফাজতে ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের মুক্তির পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়েছিল। আজকে তারা নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই জানালে চলে যাওয়ায় বাধা দেয়া হয়নি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৬
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:২৩
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫১
  • ১১:৪৫
  • ১৫:৪৩
  • ১৭:২৩
  • ১৮:৩৮
  • ৬:০৪
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা