ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আইভীর পিএস আবুলের অনৈতিক কর্মকান্ডের সংবাদ প্রকাশের পর সিটি করপোরেশনের অনেকের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে দাবি করেন এই আবুলের সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রæত অপসারন ও আইনের আওয়াতায় আনা জরুরী। গত ৫ বছর নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং ২০১১ সাল থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দ্বায়িত্বে ছিলেন আইভী। মেয়রের দীর্ঘ সময়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তার অনেক কর্মকর্তাও টাকার কুমির বনে গেছেন। যাদের মধ্যে মো.আবুল হোসেন। যিনি ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা পরে তিনি মেয়রের পিএস হন। শহরের মীনা বাজার এলাকায় একটি ক্রয়কৃত ফ্লাটে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তিনি। গত কয়েকদিন পুর্বে একটি বেসরকারী টেলিভিশনে সাবেক মেয়র আইভীর পিএস আবুলের বিরুদ্ধে একটি সংবাদও প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যায় যে,মেয়র আইভীর পাশে থেকে বিপুল পরিমানে অর্থসম্পদের মালিক বনে যাওয়ারও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। একাধিক সুত্রে জানা যায়,আবুলের বাবা একসময়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে লুঙ্গি বিক্রি করতেন। মেয়র আইভী চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তার পিএস পদে আসীন হন তিনি। দীর্ঘ ২০ বছরেরও বেশী সময়ে মেয়রের পাশে থেকে টাকার কুমিড় বনে গেছেন তিনি। সংবাদে উল্লেখ করা হয় যে,বেতন মাত্র ৩৬ হাজার টাকা হলেও চলাচল পুরোটাই রাজকীয়। শহরে ফার্নিচারের দোকানের পাশপাশি রয়েছে একাধিক ফ্লাট এবং বন্দরেও রয়েছে তার ও তার স্ত্রীর নামে প্রচুর জমি। এছাড়াও বিশে^র কয়েকটি দেশেও ভ্রমন করেছেন এ কর্তাবাবু। সিটি কর্পোরেশেনের ষ্টাফদের নামে ফ্লাট বরাদ্ধ থাকলেও তা বিতরন না করে অন্যত্র বিক্রি করার অভিযাগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে আরিফ নামে একব্যক্তির চাকুরী হলেও সেখানে তাকে নিয়োগ না দিয়ে একটি স্কুলে তাকে দেয়া হয় সিটি কর্পোরেশনের পরিবর্তে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, বন্দরের সাবদি এলাকায় আবুল হোসেন নামে-বেনামে প্রচুর জমি কিনেছেন। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের যে কয়টি বিল্ডিং নির্মান করে ফ্লাট হিসেবে বিক্রি করেছেন তার কয়েকটি বিল্ডিংয়ে নাকি ফ্লাট রয়েছে আবুলের নামে। তিনি বর্তমানে মীনা বাজার এলাকায় যে বিল্ডিংয়ে বসবাস করছেন সেটাও নাকি নিজের অর্থ্যায়নে ক্রয় করা। একজন মেয়রের পিএস এর দ্বায়িত্ব পেয়ে বেপরোয়াভাবে অনৈতিকভাবে অর্থ উপার্জনে উঠেপড়ে নেমেছিলেন এ আবুল হোসেন। তার এ অনৈতিক কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরন বিশ^াস, ফুড এন্ড স্যানিটেশন অফিসার থেকে উচ্ছেদ অফিসার হিরন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীলের বিয়াই এনসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র পাল,সিটি কর্পোরেশনের জমাদার ওয়াসিমগং। উল্লেখিত কর্তাবাবুরা সিটি কর্পোরেশনের অধীনে থেকে নগরীর ফুটপাট থেকে চাদাঁ আদায়, ২নং রেলগেইট এলাকায় অবৈধভাবে বন্ধন ও উৎসব কাউন্টার স্থাপন করে টাকা উত্তোলন, সিএনজি ষ্ট্যান্ড থেকে মাসিকহারে চাদাঁ উত্তোলন, চাষাড়া শহীদ মিনারের ফুচকা বিক্রেতাদের কাছ থেকেও নিয়মিতভাবে টাকা আদায় করতেন। সিটি কর্পোরেশনের অধীনে থাকা মেথরের কাছ থেকেও মাসিক ৫শত টাকা হারে অনৈতিকভাবে নিতেও দ্বিধাবোধ করেননি তারা। এমনকি কোন নিন্মস্তরের ষ্টাফরা যদি কাজে একটু ভুল করতো তাদের কাছ থেকেও টাকা নেয়া হতো। এছাড়াও সনাতন ধর্মের মুর্তি ভাঙ্গারও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র অন্যকে ফাসাঁনোর জন্য। সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন পদে চাকুরীরত অনেক ষ্টাফরা এতদিন এ আবুল ও শ্যামলগংদের কাছে জিম্মি ছিলেন বলে জানা যায়। পান থেকে চুন খসলেই ঐসকল ষ্টাফদের বিরুদ্ধে শুরু করতেন অনৈতিকভাবে টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল। ৩৬ হাজার টাকা বেতন পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করার পাশাপাশি কিভাবে প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক হলেন আবুল হোসেন তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন বিভিন্ন কর্মচারীরা। দূর্নীতি করা ছাড়া কোনভাবে এত বিত্তভৈবরের মালিক হওয়া সম্ভব নয়ও বলে জানান তারা। তারা আবুল হোসেন, শ্যামল পাল,হিরনসহ সঙ্গীয়দের অবৈধভাবে পন্থায় উপার্জিত টাকার হিসাব প্রদর্শনেরও দাবী জানান। এছাড়াও মেয়র আইভীর গাড়ির চালক বিল্লাল হোসেন এবং মেয়রের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কনষ্টেবল শফিকও কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ারও তথ্য উঠে আসে উক্ত প্রতিবেদনে। তবে সিটি কর্পোরেশনের কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, এ সবের মুলে রয়েছেন কাউন্সিলর অসিত বরন বিশ^াস। আবুল এর মত অসিত বরন বিশ^াসের অর্থসম্পত্তির বিষয়টিও নজরে আসা উচিত বলে মনে করছেন তারা। অনতিবিলম্বে আবুল হোসেনসহ তার সঙ্গীয়দের বিরুদ্ধে দ্রæত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মহোদয়ের প্রতি অনুরোধ জানান। দ্রæত আবুল ও তার সহযোগিদের গ্রেফতার দাবি করেন।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯