ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সোনারগাঁ উপজেলার আমিনপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) উম্মে রুমানা করিমের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। পদে পদে ঘুষ-দুর্নীতির কারণে এখানে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা। স¤প্রতি তার নিজ দপ্তরে বসে সেবাগ্রহীতাদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ (ঘুষ) গ্রহণের একটি ভিডিও ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এলাকাবাসী। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি তার দপ্তরে বসে প্রকাশ্যে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের থেকে নগদ অর্থ গ্রহণ করছেন। আর তাকে সহযোগিতায় রয়েছেন মোজাম্মেল ও মামুন নামের দুজন ওমেদার। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উম্মে রোমানা করিম এই ইউনিয়ন ভূমি অফিসে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, জমির মাঠপর্চা নিতে এই ভূমি অফিসে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দিতে হয়। আর কর্মকর্তার সবচেয়ে বড় দুর্নীতির জায়গা হল জমির মিউটিশন করা ও খাজনা কাটানো। জমি ক্রয় করার পরে প্রত্যেক জমির মালিককেই বাধ্যতামূলক জমির রেকর্ড (মিউটিশন) করতে হয়। সরকারি ধার্য অনুযায়ী মিউটিশন ফি ১১৭৫ টাকা। কিন্তু ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা উম্মে রোমানা করিম জমির মালিকদেরকে বিভিন্নভাবে এটা ওটা বুঝিয়ে হয়রানি করে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার চুক্তি করেন জমির মিউটিশনের জন্য। ১০ টাকা খাজনার জন্য গুনতে হয় ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। জমির মালিকেরা নিরুপায় হয়ে কর্মকর্তার ফাঁদে পা দিয়ে হাজার হাজার টাকা গচ্ছা দেয়। মতিন নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, এখানে কম ঘুষে বেশি ঘোরাঘুরি, বেশি ঘুষে কাজ তাড়াতাড়ি। আমি বাড়ির জমির খাজনা দিতে এসেছিলাম। আমার থেকে খাজনার রশিদে উল্লিখিত টাকার থেকে বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে। আদমপুর বাজার এলাকার ইউনুছ মাদবর নামে একজন বলেন, আমাকে আমার বাবা জমি দলিল করে দিয়েছে, সেই জমি মিউটেশন করতে এসেছি। তিনি আমার থেকে ৭ হাজার টাকা নিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক ভুক্তভোগী বলেন, গত দুই মাস আগে আমি জমির খাজনা দিতে আমিনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে ভূমি কর্মকর্তা আমাকে ১৫০ টাকার একটি খাজনার চেক কেটে দিয়ে ২ হাজার টাকা নিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা জানান, আমিনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দুর্নীতি এমন চরমে পৌঁছেছে। সরকারি নীতিমালার বাইরে চুক্তি অনুযায়ী মোটা অঙ্কের ঘুষ ছাড়া কোনো নামজারি হয় না। নামজারির জন্য ১০ হাজার থেকে মোটা অঙ্ক আদায় করা হয় উপজেলা ভূমি অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন স্তরে ভাগ দেওয়ার কথা বলে। আমিনপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা উম্মে রোমানা করিমের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি গ্রাহকদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা সালেহা নূর বলেন, আমাদের কাছে এর আগেও আমিনপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা উম্মে রোমানা করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। তদন্ত শেষে দ্রæত তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ই-
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলন চলাকালেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের বলতে শুনেছি, কেন্দ্রের নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে মাঠে আছি। ওই সময় অনেকেই ছিলেন বেশ প্রাণবন্ত। অতীতের মতোই অনেকের ভাষ্য ছিল- ‘শেখের বেটি’ থাকতে ভয় নাই। তিনি ‘শেষ রক্তবিন্দু থাকতে লড়ে যাবেন।’ অর্থাৎ ওই সময় তাদের বিশ্বাস ছিল, সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯