আজ শনিবার | ৯ নভেম্বর ২০২৪ | ২৪ কার্তিক ১৪৩১ | ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ | রাত ১০:৩৬

ক্ষমতার দম্ভে বেপরোয়া ছিলেন তারা!

ডান্ডিবার্তা | ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ফতুল্লার বক্তাবলীর পূর্ব গোপালনগরে থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত চেয়ারম্যান ও বক্তাবলী ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মাস্টারের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে তারা। ১৫/১৬ বছর আগেও নুন আন্তে পান্তা ফুরাতো যাদের, আওয়ামী লীগের আমলে তারাই হয়ে উঠেন বক্তাবলীর গোপালনগর এলাকার ক্ষমতাধর লোক। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে গড়ে তোলেন নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। তারা এলাকায় শুরু করেন ত্রাসের রামরাজত্ব। ২০০৮ সালের আগেও তারা গার্মেন্টসে, মাছ ধরাসহ ইটভাটায় কাজ করতো। শওকত চেয়ারম্যান ও জাহাঙ্গীর মেম্বারের ছত্রছায়ায় রাজনীতিতে জড়িয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ-অপকর্ম করে অন্যতম প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন তারা। এরা হলেন- পূর্ব গোপালনগর এলাকার মৃত. ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে সুলতান, সেকান্দার বেপারীর ছেলে মোঃ ইসমাইল, হাসেম মুদির ছেলে ফালান মুদি ও ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মাস্টারের ভাই জামান। তারা সকলেই থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত চেয়ারম্যান ও বক্তাবলী ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মাস্টারের ঘনিষ্ট লোক ও আত্মীয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে ভিড়তে থাকেন। এক পর্যায়ে থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত চেয়ারম্যান ও বক্তাবলী ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মাস্টারের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যুক্ত হন। সরকারি দলে যোগ দিয়েই তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে তারা গড়ে তোলেন ছাত্রলীগের ‘ভাতিজা তামিম ও রোমান বাহিনী’, মাদক স¤্রাট ‘জামান বাহিনী’ ও ‘রুবেল মাস্টার ও ভাতিজা আব্দুল্লাহ বাহিনী’, ছাত্রলীগের ‘রিফাত দর্জি ও রাব্বি বাহিনী’। এই দুই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২০০-২৫০ জন। তাদের কাজই হচ্ছে এলাকায় মানুষের জমি দখল, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ ও লুটপাট করা। এলাকাবাসী আরও জানান, পূর্ব গোপালনগর এলাকার মৃত. ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে সুলতান। ২০০৮ সালের আগে সুলতান বিসিকে গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের আমলে ভুমিদস্যুতা, নদী থেকে মাটি উত্তোলন, ঝুট ব্যবসা, পূর্ব গোপালনগর এলাকায় তার নিয়ন্ত্রণে জুয়ার আসর সহ জমি দখল, চাঁদাবাজি ও লুটপাট সহ নানান অপকর্ম করে বেড়িয়েছেন তিনি। শওকত চেয়ারম্যান ও জাহাঙ্গীর মাস্টারের ঘনিষ্ট ও আস্থাভাজন লোক সেকান্দার বেপারীর ছেলে মোঃ ইসমাইল। ২০০৮ সালের আগে ইসমাইল ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ রুমা গার্মেন্টসে আয়রনম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের আমলে ভুমিদস্যুতা, পূর্ব গোপালনগর এলাকায় নিজ বসত বাড়ির সামনে তার নিয়ন্ত্রণে জুয়ার আসর সহ জমি দখল, মাদক ব্যবসা, নারী কেলেংকারী, চাঁদাবাজি ও লুটপাট সহ নানান অপকর্ম করে বেড়িয়েছেন তিনি। অপরদিকে হাসেম মুদির ছেলে ফালান মুদি ও ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মাস্টারের ভাই জামান। ২০০৮ সালের আগে ফালান মুদি এলাকায় ঘুরে ঘুরে নদীতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতো, মানুষের জমিতে বদলা দিতো ও ইটভাটায় কাজ করতো। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের আমলে ভুমিদস্যুতা, নদী থেকে মাটি উত্তোলন, ঝুট ব্যবসা, ডিস ব্যবসা দখল, জুয়ার আসর সহ জমি দখল, চাঁদাবাজি ও লুটপাট সহ নানান অপকর্ম করে বেড়িয়েছেন। অন্যদিকে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মাস্টারের ভাই জামান ২০০৮ সালের দিকেও ফতুল্লার পঞ্চবটিতে গামছা বিক্রি করতো। জাহাঙ্গীর মাস্টার মেম্বার হওয়ার পর থেকেই তার আপন ছোট ভাই জামানের এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের সূচনা ঘটে। পরবর্তীতে ভুমিদস্যুতা, অবৈধ বালুর ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি ও লুটপাট সহ নানান অপকর্ম করে বেড়িয়েছেন এই জামান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলেন, এরা সকলেই এলাকার উদীয়মান ভুমিদস্যু, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। আওয়ামী লীগের আমলে তারা বিভিন্ন সময় স্থানীয় এমপি ও শওকত চেয়ারম্যান এবং জাহাঙ্গীর মেম্বার সহ রাজনৈতিক সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা বলে পরিচয় দিত। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৮
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:২১
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫৩
  • ১১:৪৫
  • ১৫:৪১
  • ১৭:২১
  • ১৮:৩৬
  • ৬:০৬
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা