বন্দর প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সাবেক সহ- সভাপতি আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল বলেছেন, আমাদের বিপক্ষে অনেকেই অনেক কথার ফুলঝুঁড়ি ছুঁড়ে দেন যার কোন ভিত্তি নেই। আমারা বানের পানিতে শ্যাওলার সঙ্গে ভেসে আসা পদ্ম নই। আপনারা ভাল করেই জানেন আমার চাচা জালাল হাজী নারায়ণগঞ্জের বিএনপি’র জন্মদাতা। আমার ভাই এডভোকেট আবুল কালাম একাধিকবার এমপি ছিলেন। আমি পর পর দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম, আমার ভাতিজা আবুল কাউছার আশা বর্তমানে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গতকাল রোববার বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ডের কবিলের মোড়ে বিএনপি’র ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে মহানগর বিএনপি আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আতাউর রহমান মুকুল আরো বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী আমার নেত্রী যখন নির্দেশ দেন তখন আমরা আমাদের নবীগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ডে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় কর্মসূচী করেছিলাম তখন কোথায় ছিলেন সাখাওয়াত-টিপু কোথায় ছিলেন তৈমুর সাহেব? তখন আমাদের নেতা-কর্মীরাই সেইদিন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। গত সরকার বিরোধী আন্দোলনে আমার বিরুদ্ধে ২টা মামলা হয়েছে, সোনারগাঁ এবং নারায়ণগঞ্জ থানায়। আমি যদি আওয়ামীলীগের পক্ষে থাকতাম তাহলে আমার নামে মামলা হবে কেনো? আমি মামলা খেলেও বাসা ছেড়ে যাইনি। বর্তমানে কিছু নামধারী নেতা বিএনপির লেবাসধারণ করে লুটপাটের রাজত্ব গড়ে তুলেছে। তারেক রহমান আমার নেতা উনি কিন্তু বার বার বলে দিচ্ছেন যারা লুটতরাজে জড়িত থাকবে তাদের সঙ্গে দলের কোন সম্পর্ক থাকবেনা। আপনারা জনগনমুখী হন,নির্বাচন মুখী হন। সামনে ভাল সময় আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এইতো গত ২ বছর আগে আওয়ামী পুলিশের গুলিতে আমাদের য কর্মী শাওন নিহত হয়েছে সেই শাওন হত্যা হয়না। আমি সাখাওয়াতকে বলেছিলাম আধা ঘন্টা পরে যাও আমি মাত্র ৫মিনিটের জন্য সেইখানে পৌঁছাতে পারিনি। আমিতো মনে করি শাওন হত্যার এক নাম্বার আসামী সাখাওয়াতই হওয়া উচিত ছিল। হাজার হাজার লোক নিয়ে আমি যখন সেখানে গিয়েছিলাম তখন কিন্তু আওয়ামী পুলিশ আর গুলি চালাতে পারেনি। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, মহানগর বিএনপি সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, মনিরুজ্জামান মনির, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ আওলাদ হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ আহাম্মেদ টিটু, মহানগর বিএনপি নেতা আলহাজ্ব হান্নান সরকার, গোলাম নবী মুরাদ, সুলতান আহাম্মদ ভূইয়া ও বন্দর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এডঃ আনিছ। মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মোস্তাকের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা দিদার খন্দকার, ২০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মেজবাহউদ্দিন স্বপন, কলগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শহীদ মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক হাবিব মেম্বার, সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাবিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অহিদ ভূইয়া, মনা মেম্বার, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ মেম্বার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফারুক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস রাজিব, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সস্পাদক পাপ্পু আহমেদ, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নেছারউদ্দিন, আফজাল হোসেন জনি, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন নেতা আব্দুর রাজ্জাক সফিকুর রহমান, মোরশেদ আলম, মোঃ শামীম, ফারুকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, আসাবুদ্দিন মিয়া, শাহাদাত হোসেন, মোঃ মামুন, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ রাসেল, মোঃ সোহেল, মধু মিয়া, মোঃ মাসুম, ২০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মেজবাহউদ্দিন স্বপন, মোঃ শাহিন, নাদিম মাহমুদ, ২১নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা বিডিআর মনির, রোমান, রাসেল, শহীদ জামান, ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আল মামুন, মোঃ হুমায়ূন কবির, মোঃ আলম, আল আমিনসহ বন্দর থানা ও উপজেলা বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯