বিএনপিকে বির্তকিত করছে নামধারীরা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে বন্দরে বিএনপির পরিচয় দিয়ে একটি পক্ষ দখলবাজিতে মেতে উঠেছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহŸায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নাম ভাঙ্গিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন জমেন বিরুদ্ধে মামলা, কর্ণফুলী ডক ইয়ার্ডে লুটপাট ও বন্দর খেয়াঘাট স্ট্যান্ড দখলের পায়তারা করছে। তারা গভীর রাত পর্যন্ত ঘাটে মহড়া এসে মহড়া দিতে দেখা যায়। যারা বিগত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামীলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের বিভিন্ন তকমা দিয়ে কোনঠাসা করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এখন বিএনপির ত্যাগী নেতার্কীদের দমানোর মিশনে নেমেছেন। মুলত বন্দরে সাখাওয়াত ও টিপুর নাম ভাঙ্গিয়ে একটি পক্ষ বিএনপিকে দুর্বল করতে মিশনে নেমেছেন সুবিধাভোগীরা। স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পর বন্দরের বিভিন্ন সেক্টুর নিয়ন্ত্রণে নেমেছেন কতিপয় নামধারী বিএনপি নেতারা। বন্দরের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনের পর বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে একটি উশৃঙ্খল যুবক লুটপাট ও দখলবাজিসহ চাঁদাবাজিতে নেমেছে। যার একটি অডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। সাখাওয়াত পন্থি এক যুবদল নেতা এক ব্যবসায়ীকে মামলা থেকে নাম কাটানোর কথা বলে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। এদিকে বন্দর থানা যুবলীগের নেতা ও থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদের দখলীয় বন্দর খেয়াঘাটের অটো স্ট্যান্ড ও বাজার দখলের জন্য সাখাওয়াত পন্থি কাজী সোহাগ দলবল নিয়ে গভীর রাতে এসে মহড়া দেয়। এর আগেও সে স্ট্যান্ড দখল করতে এসে তোপের মুখে পড়ে। এছাড়া অনেকে বিএনপির লেবাস লাগিয়ে ড্রেজার ও জমিদখলবাজি চালিয়ে যেতে সে এই কৌশল নেয়। এতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়। গত সোমবার তিনগাঁও এলাকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান তছনছ করে দেয়া সাখাওয়াত পস্থি লোকেরা। এনিয়ে বন্দরের সর্বত্র সমালোচা চলছে।