ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের কাছে বির্তকিত হয়েছে বিএনপি। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দুঃশাসনের পর সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে ও শান্তিতে থাকতে চেয়েছিলো। কিন্তু পট পরিবর্তন হতেই প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে অরাজকতা ও নৈরাজ্য চালিয়ে বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মীরা বিএনপির দুর্নাম করছে। দলের শীর্ষ নেতারা তাদের নিবৃত হবার হুশিয়ারি দিলেও তাতে কর্নপাত করছে না কেহ। যে যার মত করে চালিয়ে যাচ্ছে দখলবাজি ও নৈরাজ্য। এ কতদিনে বিএনপি নেতাকর্মীদের দ্বারা বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, ঘাট দখল, বাজার দখল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, মামলাবাজি করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। ঘটনার সাথে নূন্যতম সম্পর্ক না থাকা ব্যক্তিদের মামলায় জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মামলাগুলোতে আসামী করা হয়েছে অগনিত। একই সময়ে একই ব্যক্তি একাধিক স্থানে হামলায় জড়িত ছিলেন এমন তথ্য উঠে এসেছে খোদ এজাহারে। যা স্বাভাবিক ভাবেই স্পষ্ট করে দেয় মামলার নেপথ্যের উদ্দেশ্য। গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ যেভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে প্রতিপক্ষকে। তেমনি গায়েবী মামলা দিয়ে আসামী করে হয়রানী করেছে বহু মানুষকে। ঠিক একই প্রক্রিয়ায় প্রতিপক্ষকে হয়রানি করতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, মামলায় আসামী করে রীতিমত চাঁদাবাজি করা হচ্ছে চার্জশীট থেকে বাদ দেয়ার জন্য। এমনকি চাঁদা চাওয়ার পর তা না দেয়ায় তাকেও জড়িয়ে দেয়া হয়েছে মামলায়। বিএনপির এমন কার্যক্রমে বিব্রত দলের কেন্দ্রিয় নেতারা। স¤প্রতি দলের মহাসচিব পুলিশের প্রতি অনুরোধ করেছেন গণহারে মামলায় আসামী না করতে। মামলা দায়েরের পূর্বে যেন তদন্ত করে নেয়া হয়। এছাড়া সকল মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সাবেক সরকারের শীর্ষব্যক্তিদের নাম না দিতেও অনুরোধ করেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাদের অতি বিশৃঙ্খলার কারনে পদচ্যুত করারও ঘটনা ঘটেছে। এসব কাজে স্পষ্ট হয় বিএনপির কার্যক্রম বর্তমানে সুবিধাজনক স্থানে নেই। মুখে উদার গণতন্ত্রের কথা বললেও নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ তা মানে না। ফ্যাসিবাদী রাজস্ব চালানো আওয়ামী লীগের মতই চেপে বসতে চান সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের উপর। এমন পরিস্থিতি তৈরী করার কারনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে সর্বত্র বিএনপির কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। অন্যদিকে একই সময়ে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের দ্বারা নির্যাতিত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী প্রকাশ্যে কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে। দলটির নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত হয়েছে আওয়ামী লীগের দ্বারা। কিন্তু রাজনীতিতে ফিরেই সবাইকে ক্ষমা করে দেয়ার বার্তা দিয়েছে দলটির নেতারা। পাশাপাশি এখন পর্যন্ত দলের উদ্যোগে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। মামলা, শোডাউন, আনন্দ মিছিল কিংবা দখলবাজি না করে নিজেদের গোছানোর কাজে হাত দিয়েছেন তারা। নারায়ণগঞ্জে অন্তত ১০টি নিহত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে দলটি। এছাড়া আহত বেশ কয়েকটি পরিবারেও পৌঁছে দেয়া হয়েছে আর্থিক সহায়তা। আলোচিত সুমাইয়া হত্যাকান্ডের পর তার শিশু কন্যার সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছে দলটি। নিয়মিত মানবিক কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছেন তারা। ঘরোয়া বৈঠকের মাধ্যমেই নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন গণমাধ্যমে। বন্যা দুর্যোগে নিজেদের কর্মকান্ডের দ্বারা প্রশংসা কুড়িয়েছেন। রাজনৈতিন দল হিসেবে জামায়াতের এমন আচরণ স্বাভাবিক ভাবেই দাগ কেটেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। একদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের নৈরাজ্য, যা ঠেকাতে ব্যার্থ হয়েছে নেতারা। অন্যদিকে জামায়াতের তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে কোন নৈরাজ্য করার অভিযোগ তো পাওয়াই যায়নি, উপরন্ত নেতারাও অগ্রিম সতর্ক করে দিয়েছেন বিশৃঙ্খলা না করতে। দলের এমন আচরণের কারণে বাড়তি সহানূভুতি পাচ্ছে সাধারণ মানুষের। এই আচরণ আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলেও মন্তব্য করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা। স্পষ্ট বার্তা পাওয়ার পরেও বিএনপি যদি না শুধরে নেয়, তবে আগামীতে ভোটের লড়াইয়ে বড় বিপদ অপেক্ষা করবে তাদের জন্য।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯