না’গঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের মামলায় জড়িত পুলিশদের আসামী করার দাবি

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের পতনের আন্দোলনে ২০২২ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ধারাবাহিক আন্দোলনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন তৎকালীন পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের নির্দেশে ডিবির এসআই মাহফুজুর রহমান কনক এক কনস্টেবলের চাইনিজ রাইফেল নিয়ে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে। সেই গুলিতে আমার সহযোদ্ধা যুবদল কর্মী শাওন প্রধান নিহত হয়। এবং অসংখ্য নেতাকর্মী সেদিন গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়। সেইগুলি এখনো শরীরে বহন করে নেতাকর্মীরা এখনো কাতরাচ্ছে। সেদিনের সেই ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা মনে করে নেতাকর্মীদের মনে এখনও পিড়া দিচ্ছে। সেইদিন এসপি রাসেল ও এসআই কনকসহ যারা এ দায়িত্বে ছিল তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করার দাবি জানিয়েছে যুবদলের নেতাকর্মীরা। গতকাল সোমবার ফতুল্লায় নিহত শাওনের কবর জেয়ারত শেষে তারা দাবি তুলেন। বিএনপির একাধিক নেতা দাবি করেছেন আমরা অন্যায় ভাবে কারো বিরুদ্ধে মামলা হউক এটা যেমন চাইনা তেমনই অন্যায়ের সাথে জড়িত কেউ যাতে রেহাই না পায় সেদিকেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে খেয়াল রাখার আহবান জানান। তারা বলেন, গত ১৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জ শহরে এবং ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় শামীম ওসমানের নেতৃত্বে কারা প্রকাশ্যে দিবালোকে শত শত গুলি ছুড়ে শিশু রিয়া গোপসহ একাধিক হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাদের বিচার বিশেষ ট্রইব্যুনালে করতে হবে। সেদিনের ঘটনায় কারা ছিল সেই ভিডিও সমগ্র দেশবাসীর রক্ষিত আছে। তাছাড়া পুলিশের প্রত্যক্ষ মদদে নারায়ণগঞ্জে ১৭জন গুলিতে নিহত হলেও কোন মামলায় সেই সময়কার এসপি গোলাম মোস্তফা রাসেল এবং সদর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁ থানার ওসিসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। এমনকি এ পর্যন্ত যে ১৭টি হত্যা মামরা হয়েছে তার একটিতে পুলিশদের আসামী করা হয়নি। নারায়ণগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পুলিশ ও আওয়ামী সমন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহতদের পক্ষে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১৭টি হত্যা মামলাসহ ২১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫টি হত্যা মামলায় ও শামীম ওসমান ১৭টি হত্যা মামলার আসামী। নারায়ণগঞ্জবাসীর দাবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সদ্য বিদায়ী পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল ও নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থাকার সদ্য বিদায়ী ওসি শাহাদাত হোসেন অতিরিক্ত বল প্রয়োগসহ ১৯ জুলাই শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে তার ক্যাডার বাহিনীর গুলি বর্ষনকালে এসপি ও ওসি এইসব ক্যাডারদের দুরত্ব বজায় রেখে পাহাড়া দিয়ে রাখেন। তাদের বিরুদ্ধে অনতি বিলম্বে হত্যা মামলাসহ ১৯ জুলাই আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত রিয়া গোপসহ অন্যান্য হত্যাকান্ডে সম্পৃক্তদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিশেষ ট্রইব্যুনালে বিচার করা হউক।