ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, চাঁদাবাজি করলে শুধু চাঁদাবাজকে ধরবো না। সেই ইউনিয়ন কমিটিই ভেঙে দেব আমি। অনেকে বলতে পারেন আমি কে কমিটি ভাঙার। সেটাও বলে দেই। অনেকে বলেন বিশেষ করে ফতুল্লায় অনেকে বলেন যে এইতো জেলা কমিটি নাই, প্রেসিডেন্ট নাই। প্রেসিডেন্ট শেষ করে দিচ্ছি। তাহলে আজ কার সাথে কথা বলছেন, সে আছে কী নাই। এগুলো বলে, কারণ চাঁদাবাজরা গিয়াসউদ্দিনকে ভয় পায়। কারণ গিয়াসউদ্দিন চাঁদাবাজদের প্রশ্রয় দেয় না। গত সোমবার সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ওরা টাকার বান্ডেল নিয়ে ঘোরে যে একে সরাতে হবে। এদের কথায় কান দিবেন না। এরা খারাপ লোক। যারা লুটপাট করছে এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেবেন। ওদের কোন ছাড় নেই। তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জকে চাঁদা মুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে সমস্ত শিল্প কারখানা পাহাড়া দিতে হবে। মালিকরা যেন শিল্প কারখানা পরিচালনা করতে পারে সেজন্য সহায়তা করতে হবে। যারা দুষ্কৃতকারী, লুন্ঠনকারী। যারা অপকর্মে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। এগুলো প্রতিরোধ করতে হলে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করতে হবে। কিন্তু সেটা কী আমরা করি? নাহ্ করি না। আমি হতাশ, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির এত শক্ত ঘাটি। এখানে দলীয় পরিচয়ে হোক বা ওই সন্ত্রাসীদের প্রেতাত্মারা হোক। আমরা কেন তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারি না, কথা বলতে পারি না। দেশ গড়ার জন্য এটাই উপযুক্ত সময়। আমাদের মনে রাখতে হবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যেন না হয়, প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। পাঁচ তারিখে স্বাধীনতা এসেছে। ছয় থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত আপনারা কী জানেন না কারা লুটপাট করেছে, কারা অগ্নিসংযোগ করছে। কারা এখনও চাঁদাবাজি করছে। সবাই জানেন, কিন্তু ঐক্য নেই তাই প্রতিবাদ নেই। তিনি বলেন, এ সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এখন যদি এই কারখানাগুলো না চলে তাহলে কীভাবে আমরা এই ক্ষত কাটিয়ে উঠবো। এই শিল্প জনগণের টাকায়, ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে এই শিল্প গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা ওদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেব। কিন্তু শিল্প কারখানায় আগুন দেয়া ও লুটপাট করা চলবে না। গিয়াসউদ্দিন বলেন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাÐ করেনি এমন কারও বিরুদ্ধে মামলা করবেন না। নিরপরাধ ব্যাক্তিদের নাম দিয়ে এসকল মামলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। কেউ কারও নামে মিথ্যা মামলা দিবেন না। আমার কাছে অভিযোগ আসে বিএনপি করত আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, তাদের নামও এসকল মামলায়। এগুলো পরিহার করতে হবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতারা হুশিয়ারি করে দিয়েছে বিএনপির নামে যারা চাঁদাবাজি বা দখলবাজি করবে তাদের পুলিশে ধরিয়ে দিবেন। এসকল নেতা কর্মীদের দায় নিবে না বিএনপি। তার পরেও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় দখলবাজি চলছেই। এক বিএনপির লোক মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতার ভিজিটিং কার্ড ব্যবহার করে গামেন্টর্স থেকে ঝুট নামাতে গিয়েছে। এছাড়া আরেক যুবদল নেতা এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মামলায় না জড়ানোর নাম করে শীর্ষ নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে মোটা অঙ্গর টাকা দাবি করেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যে শহর ময় বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯