ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
মাত্র ৩৬ দিনের আন্দোলনে হারিয়ে গেছে শেখ পরিবার ও আওয়ামীলীগ। এই ৩৬ দিন ছিল নাটকীয়তা ও ঘটনা বহুল। আওয়ামীলীগের দু:শাসনে হাফিয়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষ। আওয়ামীলীগ এক টানা ১৬ বছর ক্ষমতা আকড়ে রেখে যেভাবে দেশকে জিম্মি করে রেখেছিল তার যেন অবসান হয়েছে। সাধারণ মানুষ যেন ফিরে পেয়েছে বাক স্বাধীনতা। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসেই বাংলাদেশকে পুলিশি স্টেটে পরিণত করে। আর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাবস্থায় কতিপয় পুলিশও দলীয় ভূমিকা পালন করতে গিয়ে ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। আওয়ামীলীগ হত্যা, গুমসহ দেশের প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি এতটাই বেড়েছে যার কোন সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। শেখ পরিবারের লোকেরা বিভিন্ন প্রকল্পের নামে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি ডলার। সেই টাকা পাচার করেছে বিদেশে। শেখ হাসিনার ছেলে মেয়ে বোনসহ তাদের আত্বিরাও দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে। অনেকে হয়ে বিধবা, অনেকে হয়েছে সন্তান হারা, অনেকে হয়েছে বাবা হারা। যারা আওয়ামলিীগের বিরোধীতা করত তাদের দমন করাই ছিল শেখ হাসিনার প্রধান কাজ। আর এভাবেই বিনা ভোটে দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতাকে আকড়ে রেখে দেশটাকে তলানীনে নিয়ে গেছে। যার কারনে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়ে। আর সেই ক্ষোভ থেকেই ঘটে এ বিপ্লব। যে বিপ্লবে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হলেন। মূলত: জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে যা হয়েছে, তা একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন। যে রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থার পতন হলো, তা একধরনের স্বৈরাচারী, কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা ছিল। এর ভিত্তিই ছিল বিরোধী সব সংগঠন, সেটা ব্যাংকই হোক, কোম্পানি বা রাজনৈতিক দল হোকÍএগুলো ভেঙে ফেলা, দুর্বল করা এবং ভেতর থেকে চূর্ণ করে দেওয়া। আর জনগণের মধ্যে একটা ভয় ছড়িয়ে দেওয়া যে আমার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে গায়েব হয়ে যাবে। ছাত্রদের আন্দোলন যখন গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত হলো, এটা উৎখাত হলো। এই সাফল্যের কারণ এর কোনো সংগঠিত ভিত্তি ছিল না। আওয়ামী লীগ চেষ্টা করেছিল গোলাগুলি করে ভয়টাকে পুনরুৎপাদিত করতে, কিন্তু তারা ব্যর্থ হলো। যে শক্তি সরকারব্যবস্থাকে চূর্ণ করল, সেটি অসংগঠিত রাস্তার শক্তি। এরা কিন্তু আজীবন রাস্তায় থাকতে পারবে না। এখন আমাদের অর্জনগুলো বাস্তবমুখী করতে হলে নিয়মকানুনের মধ্যে আসতে হবে। পাশাপাশি সেই নিয়মগুলোকে কার্যকর ও সমর্থন করার মতো সংগঠন তৈরি করতে হবে। আমাদের ভালো নিয়মকানুন আছে। কিন্তু যারা ক্ষমতাশালী সংগঠন বা সংস্থা, তারা যদি এই নিয়মকানুন মানতে না চায় এবং তাদের ঠেকানোর মতো যদি কোনো পাল্টা সংগঠন না থাকে, তাহলে আইন যা–ই থাকুক, তা কার্যকর হবে না। আমাদের সেই পাল্টা শক্তি নেই। আওয়ামী লীগ সব পাল্টা শক্তি ভেঙে দিয়েছিল। সমাজে যেসব দাবি উঠছে বা যেসব অর্জন আমাদের হয়েছে, তা টেকসই করার জন্য এখন দরকার পলিটিক্যাল সেটেলমেন্ট। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেলে শেখ পরিবার ও আওয়ামীলীগ। এমনটা মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লষক মহল। শেখ রেহানা, শেখ ফজলেনূর তাপস, শেখ ফজলে সামস পরশ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম তাদের দুর্নীতিতে দলীয় নেতারও অতিষ্ট ছিল বলে জানা গেছে। শেখ হাসিনার দুর্নীতির সেই সকল এমপি, মন্ত্রী যারা ছিল সকলেই শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার তারাও পালিয়ে গেছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে এড. আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, সামসুল হক টুকু, জুনায়েদ আহাম্মেদ পলক, তারভীর আহাম্মেদ সৈকত, সেনা বাহিনীর বির্তকিত কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউল হাসান, দিপু মনি। এছাড়া তাদের দোসরদের মধ্যে মেনন ও ইনুসহ অনেকে। পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, অয়ন ওসমান, আজমেরী ওসমান, শাহ নিজাম, শাহাদাত হোসেন সাজনু, মতিউর রহমান মতি, শাহ জালাল বাদল, নজরুল ইসলাম বাবু, আব্দুল্লাহ আল কায়সার, আব্দুল করিম বাবুসহ শীর্ষ নেতারাই শুধু নয় সাধারণ নেতা কর্মীরাও শেখ হাসিনার অপরাধের দায়ে তারা পালিয়ে গেছে।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯