ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মধ্য সস্তাপুর এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ এস কে শাহিন বাহিনীর হামলায় দুজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে সস্তাপুর এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহজাহান ও আরব আলীর বাড়িতে। আহতরা হলেন সাদ্দাম হোসেন ও ইমন।ভুক্তভোগীরা জানান, মধ্য সস্তাপুর এলাকার হাজী মহব্বতের সন্ত্রাসী পুত্র এসকে শাহীন ও হারুনের নেতৃত্বে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ব্যবসায়ী শাহজাহান ও আরব আলী বাড়ির ঘর ভাংচুর করে। এতে বাধা দেওয়ায় বাড়ির দাড়োয়ান সাদ্দাম হোসেন ও ইমনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এ খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ও সেনা বাহিনী ঘটনা স্কুল পরিদর্শন করেছে। এলাকাবাসী জানান, ফতুল্লা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মধ্য সস্তাপুর (লিংক রোডের) পূর্ব পাশ্বের বিএনপি নামধারী সন্ত্রাসী এস কে শাহীন ও হারুন কখনো বিএনপি,কখনো স্বেচ্ছাসেবক দল,কখনো শ্রমিক দলের পরিচয় দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সাধারন মানুষকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের গণহত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা বলে তাদেরকে মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের বাড়ির ঘর হামলা ও ভাংচুর করে মারধর করা হয়। ভুক্তভোগী শাহজাহান ও আরব আলী বলেন, সন্ত্রাসী শাহিন ও হারুনের নেতৃত্বে তাদের সহযোগী টুকু মিয়ার পুত্র শেখ ইসলাম, জাকির মিয়ার পুত্র হিমেল ও শান্তু সহ ৮০/৯০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িঘরে অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মারধর করে। পরে মসজিদের মাইকে ডাকাত আসছে ঘোষনা দেওয়ার পর এলাকাবাসী এক হলে উক্ত সন্ত্রাসীরা ইটপাট কেল ছুড়তে ছুড়তে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার দাড়োয়ান সাদ্দাম হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ডাকাতি করার উদ্যোশ্য শাহীন, হারুন সহ ৮০/৯০ জন এসে গেট খুলতে বলে। আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে বেদম মারধর করে। মসজিদের মাইকে ডাকাত আসছে ঘোষনা দিলে শাহীন, হারুন সহ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেয়। শাহীন ও হারুন জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এর নাম ব্যবহার করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সহ সাধারন মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অনেক আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের নামে থানায় মামলা দায়ের করিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সচেতন এলাকাবাসীর দাবি বিএনপির নামধারী ছিঁচকে সন্ত্রাসী এসকে শাহীন ও হারুনকে এখনই দমানো না গেলে বিএনপি জনসমর্থন একেবারে নিচে নেমে আসবে। তাই সন্ত্রাসী এসকে শাহীন ও হারুনকে দল থেকে বহিষ্কারসহ আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা ও থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সস্তাপুর এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড আব্দুল বারী ভূইয়া বলেন, শাহীন ও হারুন নামে বিএনপির কোন নেতা নাই। এরা আওয়ামী লীগের অনুচর। এদের বাইন্ধা খবর দিবেন।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯