ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সিদ্ধিরগঞ্জে জ্বালানি তেল সরবরাহের দুটি ডিপো গোদনাইলে অবস্থিত। এখানকার তেল বিমানের জ্বালানি হিসেবে বিমান বন্দরে এবং দেশের বিভিন্ন পাম্প ষ্টেশনে ও কারখানায় ট্যাংকলরির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। নকল তেল তৈরি ও ডিপো থেকে জ্বালানি তেল চুরির এক সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। রাজনীতির পালাবদলে সিন্ডিকেটও পরিবর্তিত হয়। বিগত সরকারের আমলে চোরাই তেলের ব্যবসার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত থানা যুবলীগের নেতা ও ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি। চোরাই তেলের ব্যবসার টাকা রাজনীতিবিদদের পকেটে যাওয়ার পাশাপাশি মাসহারা পেতেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানাপুলিশ, নারায়াগঞ্জ ডিবি পুলিশ ও নামধারী কিছু সংবাদকর্মী। আওয়ামী সরকারের পরিবর্তনের সাথে সাথে স্থানীয় বিএনপির এক নেতা গোদনাইলের পদ্মা ডিপোর চাঁদাবাজি ও চোরাই তেল ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র- জনতার আন্দোলনে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে চোরাই তেল ব্যবসার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রক মতি আত্তগোপনে চলে যায়। এ সুযোগে পদ্মা ওয়েল কোম্পানির গোদনাইল ডিপোর চোরাই তেল ব্যবসার সিন্ডিকেট প্রধান হয়ে উঠেছে স্থানীয় বিএনপির ৬ ওয়ার্ড সাবেক সভাপতি অকিল ভুইয়া। তিনি প্রকাশ্যে জ্বালানি তেলবাহি ট্যাঙ্কলরি থেকে চাঁদা করছেন। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোযোগ মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়সূত্র জানায়, ডিপোর ভিতরে চোরাই তেল ব্যবসার এক অংশ শ্রমিক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খ্যাত ফারুক ও ইলিয়াছ নিয়ন্ত্রণ করেন। সেখান অকিল ভুইয়া পায় সপ্তাহে এক লক্ষ টাকা করে মাসে চার লক্ষ টাকা। চোরাই তেলের পাহারাদারদের জন্য এক লক্ষ টাকা অন্যদের মাঝে ভাগ হয়। এসর টাকা ফারুকের হাত দিয়ে অকিল ভুইয়ার কাছে আসে তার দুই ভাতিজা রাকিব ও আল আমিনের মাধ্যমে। আল আমিন বিগত সময়ে মতির সহচর হিসেবে কাজ করত। জানা যায়, ডিপোর ভিতরে তেল চুরির নিয়ন্ত্রক ফারুক ও অকিল ভুইয়ার বিয়াই ইলিয়াছ ডিপোর সামান্য কর্মচারী হয়েও কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। তাদের ব্যবসা নির্বিঘেœ করতে সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরি ওসমানকে প্রতি মাসে চার লক্ষ টাকা, মতিকে মাসে দুই লক্ষ টাকা দিত। এ ছাড়া মাসিক হারে পুলিশ- প্রশাসন কে দিতে হত মোটা অংকের মাসোহারা। অবৈধ ব্যবসার কিছু টাকা নামধারী সংবাদকর্মীদের পকেটেও যেত। স্থানীয় বাসিন্দা ও সদ্য নিয়োগ পাওয়া জাতীয়তাবাদী কৃষকদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মো. ফয়সাল জানান, বিএনপির নামধারী অকিল ভুইয়া চোরাই তেলের ব্যবসার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোম্পানির লিষ্টেট ঠিকাদার ব্যবসায়ীদের ডিপোতে ঢুকতে বাঁধা দিচ্ছে। তার সাথে যোগ দিয়েছে তার ভাতিজারা; যারা আগে মতির শেল্টারে ছিল। অকিল ভুইয়ার কারনে স্থানীয় বিএনপির বদনাম হচ্ছে। বিষয়টি উদ্ধর্তন মহলে জানানো হয়েছে। অকিল ভুইয়া জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আমার পিছনে লাগছে। আমরা মালিক সমিতির মাধ্যমে ব্যবসা করি। পদ্মা অয়েল ডিপোর ইনচার্জ মো. পিয়ার আলী জানান, ডিপোর বাইরে কি হচ্ছে এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। ভিতরে কোন দূর্নীতি নাই।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলন চলাকালেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের বলতে শুনেছি, কেন্দ্রের নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে মাঠে আছি। ওই সময় অনেকেই ছিলেন বেশ প্রাণবন্ত। অতীতের মতোই অনেকের ভাষ্য ছিল- ‘শেখের বেটি’ থাকতে ভয় নাই। তিনি ‘শেষ রক্তবিন্দু থাকতে লড়ে যাবেন।’ অর্থাৎ ওই সময় তাদের বিশ্বাস ছিল, সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯