ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী বছরব্যাপী পালনকালে উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চললেও চলতি বছরে আন্দোলন দমাতে গিয়ে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বিচারে গুলি করে সহ¯্রধিক ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর আন্দোলনের মুখে ক্ষমতায় টিকে থাকতে না পেরে নেতাকর্মীদের এতিম করে অনেকটা গোপনেই বোন রেহানাকে সাথে নিয়ে গত ৫ আগষ্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। শেখ হাসিনার পলায়নের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দিশেহারা হয়ে পালাতে শুরু করে। শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে পাতি নেতাকর্মীরাও সাধারণ মানুষের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়ে আত্মগোপন করে। শেখ হাসিনার পলায়নের পর অনেক শীর্ষ নেতা গ্রেফতার হলেও অধিকাংশই এখনো আত্মগোপনে। বিগত ১৬ বছরে প্রায় সকল নেতাই নিজেদের আখের গুছাতে পারলেও মাঠ পর্যায়ের কর্মরা তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি। একাধিক মাঠ পর্যায়ের নেতা ক্ষোভের সংগে বলেন, আন্দোলন সংগ্রাম দমাতে কিংবা জনসভায় মাঠ ভরতে আমাদের বিকল্প ছিল না। অথচ শেখ হাসিনার পলায়নের পর আমরা এক কাপড়ে বাড়ি ছাড়লেও কোন নেতাই আমাদের খবর নিচ্ছে না। ইউনিয়ন পর্যায়ের অনেক নেতাই বিগত ১৬ বছরে কোটিপতি হয়েছে। এখন তারা বিএনপি নেতাদের সাথে আতাঁত করে বিএনপি বনে গেছে। আমরা যারা মাঠে শ্লোগান দিতাম তারা এখন পরিবার পরিজন ফেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। পকেটে যাছিল তাও অনেক আগেই শেষ হয়েছে। অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছি। দলের নেতারা আমাদের এখন আর চিনেনা। গত ৫ আগস্ট গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর কোন কোন নেতা পালিয়েছে। আবার কেউ কেউ দেশ ছাড়ার চেষ্টাকালে গ্রেফতারও হয়েছেন। এর বাইরে, নেতাদের মধ্যে এখনও যারা দেশে অবস্থান করছেন, তাদের প্রায় সবাই আত্মগোপনে আছেন। এমন অবস্থায় গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগে চরম নেতৃত্বশূন্যতা দেখা দিয়েছে। এতে সাংগঠনিকভাবে দলটি রীতিমত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা। শহর আওয়ামীলীগের আত্মগোপনে থাকা এক নেতা ক্ষোভের সংগে বলেন, রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া আওয়ামীলীগ নেতা এখন বিএনপি নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে। অথচ আমরা অনাহারে আছি এ কথা তাকে একাধিক বার বলার পরও কোন সহযোগিতা করেনি। অথচ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকতে এই নেতাই আমাদের সাথে একটি সেলফি তোলার জন্য অস্থির হয়ে উঠতো। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের পদধারী এক নেতা মুঠোফোনে জানান, হঠাৎ সরকার পতনে, আমাদের দল এখন দিশাহারা বিপর্যস্ত অবস্থা হয়ে গেছে। একমাস পার হলেও সিনিয়র নেতাদের ফোন দিলেও কেউ ধরে না বা বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। হামলা-মামলা সব মিলিয়ে নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, পদবিহীন নেতাকর্মীদের অনেকে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। একাধিক আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ক্ষোভের সাথে বলেন, আগামীতে আর আওয়ামীলীগ করব না। আওয়ামীলীগ করার অপরাধে আমরা এখন বাড়িঘর ছাড়া। বাইরে গিয়ে কোন কাজ করে পরিবার পরিজনের মুখে খাবার তুলে দিব সেই অবস্থাও এখন আমাদের নেই। অথচ ১৬ বছরে টোকাই থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া দলে অনুপ্রবেশকারীরা এখন বহাল তবিয়তে বিএনপির নেতাকর্মী সেজে শহরময় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের একাধিক পদ প্রত্যাশী নেতা জানান, টানা ক্ষমতায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা দের্দাসে টাকা হাতালো। অর্থ সম্পদ ও বাড়ি-গাড়ি বানালো, আর তাদের পাপের শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের মতো তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। এদিকে, গত ৫ অগাস্টের পর নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশ সক্রিয় নেতাদের দেখা মিলেনি। বরং মামলার আগে কয়েকজনকে আদালতপাড়ায় দেখা গেলেও আসামী হওয়ার পর আত্মগোপনে চলে গেছেন তারা। সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে আওয়ামীলীগ ত্যাগ করা কিংবা রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার প্রবনতা বাড়ছে। অনেকেই বলছেন যেই দলের নেতারা কর্মীদের দু:সময়ে ফেলে রেখে নিজেরা আরাম আয়েশে আত্মগোপনে আছেন এমন দল আর বাকি জীবনে করবনা।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯